বুধবার, ডিসেম্বর ৩১, ২০০৮

প্রিয় শহর, আমি তোমাকে ভালোবেসেছিলাম


তারপর আমি এই শহরে আবার ফিরে আসি। অনেক দূর পথ পেরিয়ে। ততোদিনে আমি ক্লান্ত। আমার শহর প্রবীণ মহাকায় বৃদ্ধ। আমাকে আলিঙ্গনের জন্যে কোন বাহুল্য করার মতোন সুযোগ তার নেই। আমার শেকড় অবশিষ্ট নেই খুব বেশি। অলস সন্ধ্যেতে আমি এই শহরে ঠাণ্ডা পায়ে হেঁটে যাই, পরিচিত মুখ খুঁজি। ভাবি, হৃদ্যতার বোধে কেউ হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলবে, আরে তুই..।

অনুভব করি, আমার স্মৃতিবইয়ের পৃষ্ঠা গুলোতে ততোদিনে অনেক জায়গায় অস্পষ্টতার রেশ বড্ড তীব্র। আমার মনে পড়ে যায়, এই শহরে আমি প্রথম সাইকেলে চড়তে শিখেছিলাম, বন্ধুর সাইকেলের ক্যারিয়ার থেকে মুখ থুবড়ে পড়েছিলাম শহরের মোড়ে। এন্টিবায়োটিক গিলতাম অনেকদিন। নির্বিকার ধূলোমাখা বাতাস আমাকে মনে করিয়ে দেয়, এই শহরে আমি জীবনে একবারের জন্যে সিগ্রেট মুখে দিয়ে ভেবেছিলাম, ধুরো এই জিনিষ খায় নাকি মানুষে। প্রথম প্রেমপত্র পেয়েছিলাম কারও কাছে। লিখেছিলামও দুয়েকটা।

আমি হেঁটে চলি। এইসব স্মৃতির রেশ ধরে ডিসেম্বরের কুয়াশা-ভরা অন্ধকারে শহরের মূল সড়কগুলোর সোডিয়াম লাইট আমাকে যেন বিদ্রুপ করে। নির্বাচনের হৈচৈ এ দোকানপাট বন্ধ থাকা সড়কের সড়কবাতিগুলোকে বড্ড বেমানান মনে হয়। আমি ভুলে যাই, আমার বন্ধুদের কেউ একজন রওনক হয়তো নব্য টেলেকম বেনিয়াদের সুইচরুমে রাত কাটায় অথবা চিকিৎসাবিদ্যার পড়াশুনা শেষ করে কী করবে ভেবে পায় না অজয় হয়তো রাজধানীর কোন হাসপাতাল-ক্লিনিকে ক্ষ্যাপ দেয় টানা ৪৮ ঘন্টা। আমি ভাবি, আমি তো বড্ড ভালো আছি। হোক না, রাত বারোটায় বাড়ি ফিরি। ফিরে গরম জলের স্নান নিয়ে গরম ঘরে নিরাপদ ঘুমে নিমগ্ন তো হতে পারি।

অথবা আনুষ্ঠানিক বিয়ের জন্যে প্রেমিকার মায়ের কাছে কয়েকটা মাস সময় চেয়ে নেয়া বন্ধুটি, যার কোন চাকুরি নেই, নেই কোন অবলম্বন, তার সময় ফুরিয়ে যাবার গল্প শুনে আমি তাকে সান্ত্বনা দিতে পারি না। আমি তার পাশে বসে থাকি অনেকক্ষণ। যে মেয়েটি একসময়ে আমাকে কথা দিয়েছিলো সে আমার সাথে থাকবে, অথচ আমি তাকে ধরে রাখতে পারি নি নিজের ব্যর্থতায়, তার কাছে শুনি, সেও রোজ দৌড়োয়। রাজধানীতে নতুন স্বপ্নের পেছনে সেও ছুটে যায়।

সেই একই সময়ে আমি কোন অকারণে নিজের শহরে নিঃসঙ্গ হাঁটতে থাকি। আমি বড্ড-চেনা পথে হেঁটে গিয়ে ম্যাচ বাক্সের মতোন শাদা দালান দেখি, শহরের পুকুরগুলো ভরাট করে তৈরি করা ঘিঞ্জি মানববসতি দেখি। নক্ষত্রহীন আকাশ দেখি। আবিষ্কার করি, এ আসলে আমারই ভালোবেসে ফেলা আকাশ। আমি নিজেই বদলে গেছি।

তাই বড্ড অচেনা মনে হয় এই নগর, এই আকাশ, এই জীবন। নগরের নিস্তব্ধতা ও উপেক্ষা আমাকে তীরবিদ্ধ করে যায়।
আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, প্রিয় জীবন, প্রিয় শহর, আমি তোমাকে ভালোবেসেছিলাম।

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০০৮

বিজয় এসেছে, কিন্তু যাদের জীবনে পলাশ ফোটে নি, ফোটে নি শিমুল

গত কয়েকদিন আগে বাংলা ব্লগের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম বাঁধ ভাঙার আওয়াজ এর কর্ণধারেরা একটা অদ্ভূত পোস্ট দিয়ে বেশ খানিকটা হৈচৈ এর তৈরি করালেন। ১৬ই ডিসেম্বরে ওনারা ব্লগদিবস পালন করবেন, চা খাবেন, কিন্তু বিজয়ের নাম নিয়ে। ওনাদের কথা শুনে মনে হলো, বিজয়ের চেয়ে সামহোয়্যারের জন্ম বড়। তারা খুব খোঁড়া যুক্তি দেখালেন, বিজয়ের দিন যেহেতু আনন্দের দিন, কাজেই আমরা ওইদিন নাচবো, গাইবো, পান করবো। তাতে সমস্যা কোনখানে?

আমি একটা বই বারবার পড়ি। জাহানারা ইমাম এর "একাত্তুরের দিনগুলি"। ১৬ই ডিসেম্বরে বিজয় এসেছে, কিন্তু ফেরে নি যুদ্ধে যাওয়া বড় ছেলে রুমি, ফেরে নি রুমির বন্ধুদের অনেকেই। মায়ের এক ফোঁটা করে অশ্রু জমিয়ে রাখা সেই ডায়রি আমি বারবার পড়ি। আর বিষাদবোধে আক্রান্ত হই।
১৬ই ডিসেম্বর আমাদের এই প্রজন্মের অনেকে হয়তো কেবল অন্য সব দিবসের মতোই আরেকটা লৌকিকতা বলে মনে করে। তারা ভুলে গেছে, এই দিনে বিজয় এসেছে, কিন্তু বাংলাদেশের কতো পরিবারে এইসব দিন বেদনা ছাড়া আর কিছু মনে করিয়ে দেয় না।

কারও কথা না শুনে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে চলে সীমান্তের ওপাড়ে চলে যাওয়া ডানপিটে ছেলেটির জন্যে বসে ছিলো যে মা, তার অপেক্ষার প্রহর আজো ফুরোয় নি। হয়তো এইদিন আসলেই স্বামীর জন্যে আজো অপেক্ষায় থাকা নববধূটি আজো মনে করে, যুদ্ধ তো শেষ হলো, এই বুঝি দরজায় কড়া নাড়বে কেউ। স্বামীর মরে যাওয়ার দিনটি ভালোমতোন জানা নেই, তাই এখনো হয়তো এই দিনটি আসলে, সামান্য স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে কোরান তেলাওয়াত করে যায় কোন বিধবা। সাঁইত্রিশ বছর যে কাজ তিনি করে গেছেন নিয়ম না ভেঙে।
হয়তো সিথির সিঁদুর মুছে ফেলেছে কতো বঁধূ এই দিনে।
এই দিনটি আসার আগেই সীমান্তের ওপাড়ে শরণার্থী শিবিরে প্রাণ হারিয়েছে যে বৃদ্ধ, তার বংশধরদের কাছে হয়তো আজকের দিনটি কান্না ছাড়া আর কিছু বয়ে আনে না।


বাবার স্মৃতি ভালো করে মনে নেই সেই শিশু যার একাত্তুরে জন্ম তার বয়স আজ সাঁইত্রিশ। এই দিন আসলে সে কেনো অন্যমনা হয়ে যায়? তার দুঃখকে আমরা কি স্পর্শ করতে পেরেছি?

তাহলে, আমরা কেনো বিজয় দিবস আসলে বলবো - আমরা আজ নাচবো, আমরা আজ গাইবো? আমাদের কণ্ঠে কেনো আজ অনুরণন উঠবে- পলাশ ফুটেছে, শিমুল ফুটেছে আজ?
আমাদের সেই অধিকার আছে কি?

বিজয় এসেছে, কিন্তু যাদের জীবনে আজো সাইত্রিশ বছর পরেও পলাশ ফোটে নি, কৃষ্ঞচূড়াও নয়, তাদের সেই দুঃখকে বোঝার মতোন সাধ্য আমার, আমাদের নেই। তাই যারা বলে, বিজয়ের এই দিনে আমরা নাচবো, গাইবো গান - তাদের সাথে আমি কখনোই সহমত হতে পারি না। আমি বেদনাহত হয়ে এই বিদেশ বিভুঁইয়েও আমার ঘরে থাকা লাল-সবুজ পতাকার মাঝখানে রক্ত দিয়ে তৈরি বৃত্তের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকি।



-
এই পোস্টটি কম্যুনিটি ব্লগ বাঁধ ভাঙার আওয়াজ এর জন্যে লেখা
ছবি কৃতজ্ঞতা - froderik ক্রিয়েটিভ কমন্স এর আওতায় ব্যবহৃত

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ০৯, ২০০৮

যে দিন চলে যায়

ভালো আছি?
পাতা ঝরে গেছে সব। স্কুলের রাস্তাগুলো ঝরা পাতায় জমাট হয়ে থাকে। ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়, মাঝেমাঝে বৃষ্টিও। ঠান্ডা বৃষ্টি নেমে আসে রাত ভর। ব্যস্ত একেকটা দিনশেষে প্রায় মাঝরাতে যখন ১২ বর্গমিটারের ছোট্ট আবাসে ফিরে আসার জন্যে সাইকেলে প্যাডেল ঘুরাই, তখন সকালে কীভাবে দিনটা শুরু করেছিলাম, সেটা আর মনে থাকে না। মনে করার মতোন শক্তি পাই না আসলে। বাসায় ফিরে আর একটা দৌড় দিয়ে আসার মতো পর্যাপ্ত সময় পাই না। যেদিন সময় পাই, সেদিন দেখা যায় বৃষ্টিতে আর দৌড়ুতে বেরুতে পারি না।

গত মাসে একটা সিম্পোজিয়াম এর জন্যে প্রসিডিংস পেপার লিখতে হচ্ছিলো, লিখি আর চুল ছিড়ি। চুল কে অবশ্য নিরুপায় হয়ে এমনিতেই বিদায় জানাতে হয় এইরকম স্ট্রেস এর সময়গুলোতে। তাছাড়াও আরো অনেক ঝামেলার সাথে জড়িয়ে পড়ায় ইদানিং, অনেকগুলো কাজ একই দিনে পড়ে যায়, ঠিকঠাক সব করে উঠতে পারি না। সময় বন্টন ঠিকমতো করতে পারি না। সেইসব মিলিয়ে একরকম দৌড়ের উপরে থাকি সবসময়। গত সেমিস্টারে একটা কোর্স নিয়েছিলাম, ফেল করেছি। পঁচা ছাত্র হয়ে গেছি। এখনো ২ ক্রেডিট দরকার। তাই ক্লাসও নিতে হয় দুই-তিনটা।
ভালো না, এইসব ভালো না।

রিসার্চ এর অবস্থা তথৈবচ। ইন্টারনেট ভিত্তিক স্ট্রিমিং প্রোটোকল নিয়ে আমার নাড়াচাড়া করা। সেইখানে অনেক থিওরিজাতীয় বিশ্লেষণ, অনেক সিম্যুলেশন করে সবশেষে সিদ্ধান্তগুলোকে সন্নিবেশ করার পর চূড়ান্ত প্রস্তাবনার জায়গায় এসে আটকে গেছি। মাথা যে আসলে গোময়ে ভর্তি - নতুন করে নতুন ভঙ্গিতে উপলব্ধি করতে থাকি সবসময়।

অবশ্য ভালো না থাকার কাছে এইসব খুব খুব গৌণ। নিরুপায় পুড়ে যাবার গল্প মনে পড়ে সবসময়। সেই গল্পগুলোকে চাপা দিতে চাই। এইখানেও লিখতে ইচ্ছে করে না। কী হবে লিখে?

ধর্ম, বৈষয়িক বাস্তবতা
কয়েক দিন দাড়ি কাটি না। জঙ্গল হয়ে গেছে মুখটা। সপ্তাহ দুয়েক আগ পর্যন্ত ইন্টার্নের জন্যে সেজেগুজে অফিসে যেতে হতো, তাই এইসবের উপায় ছিলো না। এখন ইচ্ছেমতো সাজি, ইচ্ছেমতোন থাকি। চার-পাঁচ দিন দাড়ি পরিষ্কার না করলে বেশ একটা দ্বীনী ভাব চলে আসে। ভয়ে ভয়ে থাকি স্কুলে ইন্দোনেশিয়ান ভাই-বেরাদরেরা আবার দাওয়াত দেবার জন্যে জোর-জবরদস্তি না করেন। ওনারা এই বিদেশ-বিভুঁইয়েও ইসলামের প্রতি ভালোবাসা বজায় রাখার জন্যে সচেষ্ট কি না।

কালকে বোধহয় ঈদ ছিলো। ঈদ-উল-আযহা। লাখে লাখে পশুকে জবাই করে ইসলাম যে কী শিক্ষা দিতে বলেছে - মুহম্মদই ভালো বলতে পারতেন। মাঝখান থেকে, পশু কিনে জবাই করে মাংস বিলি করার স্ট্যাটাস রক্ষার জন্যে পকেট নিয়ে টানাটানির মধ্যবিত্ত পড়ে গেছে শাঁখের করাতে।
আমি মনে করি, এই কোরবানির ব্যাপারটা বাংলাদেশে অনেক পরিবারের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে, তারপরেও বাধ্য হয়ে অগত্যা পালন করে। পাড়া-পড়শী কী বলবে, আত্মীয়স্বজন কী বলবে - এইসব ভেবেই কোরবানি দেয় বহু মানুষ। এইসব ভেবে হতাশা ছাড়া কিছু অনুভব করি না।

দেশে যাবো?

হাতে টাকা ছিলো খরচ করার মতোন। তাই দেশে যাওয়ার জন্যে টিকেট বুক করেছি ক্রিসমাসের মৌসুমে। যাবো কি না এখনো জানি না। ইচ্ছে অনুভব করছি না খু্ব একটা।
জাপানে সবচেয়ে বড় উৎসব - নববর্ষ। পুরনো বছরের শেষে আর নতুন বছরের প্রথমে হালকা ছুটি থাকে, সপ্তাহ খানেক। দেশে যাওয়ার ব্যাপারে সবাই রোমান্টিক হয়ে ওঠে কিংবা আবেগপ্রবণ। আমি সামান্যতম অনুভব করি না এইসব এখন আর। তারপরও ফিরি। অনেকটা নিয়ম মানার জন্যে।

গত বছর এই সময়ে গিয়েছিলাম চারদিনের জন্যে, জনকের অসুস্থতার খবর পেয়ে। যাওয়ার দশ ঘন্টা আগে টিকেট যোগাড় করেছিলাম JAL আর ANA মিলিয়ে। অস্বাভাবিক যাওয়া ছিলো সেটা। স্বাভাবিকভাবে গেলে এদের নিজস্ব ফ্লাইট না থাকায় এবং দামের কারণে কখনোই এদের কাছ টিকেট নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ANA মাইলেজ ক্লাব এর একজন গোল্ড মেম্বার পাশে ছিলেন সেই সময়। তার কল্যাণেই পেয়েছিলাম।

হয়তো দেশে যাবো এইভাবেই, বাড়িতে অস্বস্তিকর বন্দী থাকবো কয়েকদিন। ফিরে আসবো আবার। আগের লাইনে বাড়ি শব্দটা লিখে অনেকক্ষণ লেখা বন্ধ করে ভাবলাম। হাসি আসলো। বাড়ি কী? পরিবার? শেকড়? হাহ হা। কী হাস্যকর এবং অ্যাবসার্ড সবকিছু। হয়তো আপনি বলবেন, যাদের বাড়ি নেই, কখনোই কোন পরিবারে থাকে নি, তাদের কথা ভেবে দেখতে পারো। আমি তাহলে বলবো, তাকে আমার ঈর্ষা হয়।
ব্যক্তিগত গল্পে ফুলস্টপ দিই এবার।


অর্থনীতিতে অন্ধকার?
আজকে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর বৃহৎ নির্মাতা সনি ঘোষণা দিয়েছে, তারা পুরো পৃথিবীতে নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলিয়ে ১৬০০০ কর্মী ছাঁটাই করবে। শক্তিশালি ইয়েন, দুর্বল ডলার ও ইউরো র প্রভাব তো আছেই, তার উপরে মার্কিন এবং ইউরোপীয় বাজারের সংকোচনের ধাক্কার ফলাফল এই রিস্ট্রাকচারিং। এই ধাক্কা সামনে আরো আসবে বলেই মনে হচ্ছে। অন্যদের অবস্থাও খুব একটা সুবিধার নয়।

ফোর্ড, জিএম, ক্রাইসলার এর জন্যে সরকারি সাহায্য আসছে। খবরে বলা হচ্ছে, মার্কিন সরকার নিজেই এসব কোম্পানির অংশবিশেষের শেয়ার নেবে। মজাই পেলাম বেশ। পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার অসুখ হলে তা সারাইয়ের উপায় কি তাহলে সমাজতান্ত্রিক পলিসি? পুঁজিবাদী অর্থনীতির দুর্বল জায়গাগুলো যেন এতোদিনে সবাই একসাথে জেগে উঠেছে। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকগুলোর দুর্দশার কথা বলার দরকার বোধ করছি না। বেয়ার স্টেয়ার্নস এর সাবেক সিইও গ্রীনবার্গ আজ বলেছেন, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং এর যে বিজনেস মডেল ছিলো, তাকে নিয়ে আর আশা না করাই ভালো।
তথাস্তু।

যাই হোক, এই অন্ধকারেও প্রতিদিন নানা স্টিমুল্যান্ট আসে বিভিন্ন সরকারের কাছ থেকে। মার্কেট চাঙা থাকে। সবাই সচল থাকে। আগামীতে পলিসি হয়তো আরো আসবে।
দিনশেষে, অন্ধকার দূর হলেই খুশী হই। কারণ এই সময়ে, এই প্রেক্ষাপটেই আমাদের বাঁচতে হবে আমাদের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়।

-
ছবি - নিজস্ব, কিয়োতো, নভেম্বর ২০০৮