রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০০৭

কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমানকে যে কোন শর্ত ছাড়াই মুক্তি দেয়া হোক

আরিফুর রহমান নামের সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ পিচ্চি ছেলেটা এখন কোথায় কোন জয়েন্ট সেলের অন্ধকার কামরায় রাত কাটাচ্ছে, আমি জানিনা। আমার জানতে ইচ্ছে করছেনা বাচ্চা ছেলেটির পরিবারের অসহায়তার কথা । মোটামুটি ধারণা করতে পারছি সে বাস্তবতা।
শুধু জেনেছি, তাঁর জন্যে কোন আইনজীবী দেয়া সম্ভব হয়নি মহামান্য সরকারের পক্ষ থেকে।

চারদিন আগে, একটি বহুল প্রচলিত তুচ্ছ কৌতুক প্রকাশের জন্যে ফ্রিল্যান্স কার্টুনিস্টকে গ্রেফতার ও হুজুরদের পায়ে ধরে সম্পাদককে মাফ চাওয়ানোর মতো শাস্তি দেবার পর, আমাদের মহামান্যগণ কী ভাবছেন, জানতে ইচ্ছে করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা ও তার প্রেক্ষিতে যে বিক্ষোভ হয় - তাকে "মুহম্মদ" ফকরুদ্দিন ও "মুহম্মদ" মইনুলেরা "অপশক্তি"র কাজ বলে উল্লেখ করেছিলেন। জঙ্গীবাদী সংগঠন হিজবুত তাহরীরের বিক্ষোভের পর তাঁদের সেই মহান শব্দচয়ন কোথায় গেলো? এঁরা তাহলে কি "অপশক্তি" নয়?
নাকি, এই জঙ্গীরা সরকারের "উপশক্তি"?
আমার ভয় হচ্ছে।

আপনার রেমিট্যান্সের হাজার টাকা, কিংবা আমার ট্যাক্সের একটাকা-দুইটাকায় পরিচালিত সরকারের সামান্য একজন বেতনভোগী কর্মচারী খতিব ওবায়দুল হক যখন আয়েশি ভঙ্গিতে মইনুল, মতিউর-১, মতিউর-২ দের নিয়ে তওবা ও কবুল ধরনের বৈঠকে বসেন, তখন আমার ইচ্ছে করে, থুথু নিক্ষেপ করি সেই স্থিরচিত্রে।

মহামান্য সরকার বাহাদুরে থাকা জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ (মইনুল বাদে), যারা চোখ বন্ধ করে আছেন - এবার চোখ খোলেন।
সাপেরা তাদের ডিমে তা দিচ্ছে। ডিম ফুটে বেরুনো বাচ্চারা আরো ভয়ংকর হবে - এটা বলাই বাহুল্য। আপনারা আগামী দিনগুলোতে কী করবেন, তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। আপনারা ক্ষমতা ও মসনদ লুটেপুটে খেয়ে নিন, অসুবিধা নেই। মতিউর ও ওবায়দুল এর বিয়ে পড়ানো হোক, আর হিল্লা করানো হোক - তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ইতিহাস আপনাদের কোন আবর্জনার বাক্সে নিক্ষেপ করবে, আমি বলতে পারছি না।
আমার ও আমার আত্মজনের পিঠে লাথি না মারলেই হলো, আমার মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার চেষ্টা না করলেই হলো।

আপাতত, কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান কে যে কোন শর্ত ছাড়াই মুক্তি দেয়া হোক, দিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই: