শনিবার, আগস্ট ২৫, ২০০৭

এ আমার দেশ নয়

বিবিসি বাংলা শুনছি এই মুহূর্তে, শনিবারের সকাল। বিবিসি ছাড়া গতি নেই।
মধ্যরাতে কলিংবেল, সম্মানিত বিদ্যাগুরুগণ যান মূর্খদের সাথে - মূর্খ সেনাদের সাথে।
সাইদুর রহমান খান, মলয় কুমার ভৌমিকদেরও মধ্যরাতে যেতে হয় প্রশ্নের উত্তর দিতে। আমি অসহায়বোধ করি।

গত কয়েকদিনে সাংবাদিকদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিডিনিউজ এর বিপ্লব রহমান লিখছেন সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা। পড়ে কেঁদে ফেললাম। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করেনা এইসব।
এ আমার দেশ নয়। এই সেনারা আমার ভাই নয়।

একটু পিছনে ফিরি।
ব্লগার ও সাংবাদিক তাসনিম খলিল গত কয়েক মাস আগে ২৪ ঘন্টা কাটিয়ে এসেছেন যৌথ বাহিনীর আতিথেয়তায়, তিনি বলছেন, যৌথ বাহিনী এখন টেকি - তাদেরকে আপনার জিমেইল আইডি-পাসওয়ার্ড দিতে হবে, তারা ইনবক্সে-আউটবক্সে অ্যাকসেস করবেন, সেলফোনে ইনকামিং-আউটগোয়িং নম্বরের লিস্টি দেখবেন।
আপনি ভার্চুয়ালি কার বা কাদের সাথে উঠেন-বসেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র (!) করেন - তারা সেইসব তথ্য চাইবেন। এমনটাই বলছেন নিজস্ব চেষ্টায় দেশ থেকে পালিয়ে বাঁচা তাসনিম খলিল। তাঁর সহধর্মিণী এক মাস আগে তাসনিমের সাথে মেইল যোগাযোগ ছিল এমন মানুষদের এভাবেই সতর্ক করে দিয়েছেন এক গ্রুপমেইলের মাধ্যমে।

সকালের প্রথম আলো 'র অনলাইন ভার্সন, ছুটির দিনে প্রাণচঞ্চল বিভাগীয় শহর। খবরের আশাবাদী ভাষা আমার মুখে মতি ও আনামের এই জলপাই-পৃষ্ঠপোষকতার জন্যে একদলা থুথু এনে দেয়। সংগ্রাম এর মতো অশ্লীল পত্রিকার সাথে এইসব চাটুকারদের কোন পার্থক্য এখন এই মুহূর্তে নেই।

সোমবার থেকে শুক্রবার - নিজস্ব ব্যক্তিগত কারণে খুব সামান্য সুযোগ পেয়েছি দেশের খবর নেবার।
প্রায় অন্ধকারে আছি - কী হচ্ছে স্বভূমিতে? আমরা পাকিস্তানের মতো কোন ব্যর্থ রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে এগুচ্ছি? কী সেই মোটিভেশন সেনা-শাসকদের এইসব সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করছে?
নিম্নবিত্ত দিনে-আনে দিনে-খায় মানুষ কোথথেকে নিজের স্বজন ও পরিবারের মুখে খাবার দেবে এইসব জরুরি ব্যবস্থায়?

গত কয়েকদিনে আত্মজনের খবরও নেয়া হয়নি - তারাই বা কেমন আছে - কে জানে!
আমি খুব ক্ষুদ্র মানুষ - আত্মজনেরা ভালো থাকলেই আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।

কোন মন্তব্য নেই: