সোমবার, মে ২৮, ২০০৭

আত্মহনন, নাটকের বাবরীয়-জলিলীয় অধ্যায় এবং পুঁজিবাদী স্মৃতিশক্তি

মে ২৮ ২০০৭, টোকিও
খবর:
জাপানী মন্ত্রী নিজেকে শেষ করলেন।
--------
কৃষি মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীটি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। নিজেকে মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত।
আত্মহননের সিদ্ধান্ত।
নিজের বেঁচে থাকা সমাজকাঠামোটাই এমন - নিজেকে মুছে ফেলাটা অনেক কলংক থেকে রেহাই দেয়। তাই বেছে নিলেন এই শেষ পথ।
আইনী বাধ্যবাধকতা আছে, আছে মিডিয়ার নোংরা টানা-হেঁচড়া।
বয়স তো আর কম হলো না। এবার ঘুমানো যায়।

এমন পরিণতি হবে - বিরোধীরাও ভাবে নি। মাতসুওকা তোশিকাতসু শেষ চিঠি লিখেছেন ছয়টা। নিজের মন্ত্রকের জন্যে, প্রধানমন্ত্রীর জন্যে ।
দেশের মানুষের জন্যেও আছে একটা ।
হয়তোবা থাকবে অপরাধের স্বীকার এবং ক্ষমা প্রার্থনা ।
হ্যাঁ, দেশবাসী তাঁকে আর মনে রাখবে না ।
পুঁজিবাদী সভ্যতায় জনমানুষের আলাদা কোন স্মৃতিশক্তি থাকে না - মিডিয়ার স্মৃতিই মানুষ ধার নেয়।
তাই।
----------------
মে ২৮ ২০০৭, ঢাকা

আটক হয়েছেন আওয়ামি লীগ এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল এবং বিএনপি নেতা, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুতফুজ্জামান বাবর।
প্রথম জনকে দুষ্টজনেরা "মিথ্যেবাদী রাখাল বালক" বলে থাকেন তাঁর বিখ্যাত "৩০শে এপ্রিল চমক" এর জন্যে, দ্বিতীয় জন আমাদের মিডিয়ার নিয়মিত মুখ - যার কৌতুক আমাদের নিয়মিত আনন্দ দান করতো - জাতির দুঃসময়ে যিনি শত্রুর খোঁজে গর্ত "ডিগ" করতে বের হতেন।

অকর্মণ্য বিরোধী দলের সাধারণ সম্পাদক বর্ষীয়ান মানুষটির কাছে অনেক প্রত্যাশা করা হলে তিনি তাঁর নেত্রীর মতোই হতাশ করতেন ।
বাবর সাহেবের কাছে অবশ্য কোন প্রত্যাশা ছিল না কোনকালে।
চোরাকারবারি, মাফিয়া গডফাদার যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসে - তখন বুঝতে হয় - রাষ্ট্রের শাসনে আছেন বুদ্ধিহীন মানুষ, ভাই-ছেলে সহ দেশ ভাগাভাগি করে ফেলা রাণীর সুযোগ্য বরকন্দাজগণ।

জেনারেলগণ আর কতো নাটক দেখাবেন - আমরা জানি না ।
তবে, নাটকের নতুন অধ্যায়ের শুরু - এটা বলতে পারি। বাবর-জলিল রা ছাড়া পেয়ে যাবেন - আজ হোক আর কাল - আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস এমনটাই বলে।

দেখা যাবে - তাঁরা আবার নির্বাচন করবেন। আমি-আপনি তাঁকে, তাঁদেরকে ভোট দেবো ।
আর মিডিয়া তো এখন স্মৃতিশক্তিহীন পোষ মানানো ঘোড়া।
৫/১০ বছর পর তারাও ভূলবে এইসব।
আমরাও ।

তারপরও ব্যক্তিগত জীবনে নানান বিতিকিচ্ছিরি র মাঝেও আমার অপটিমিস্টিক হতে ইচ্ছে করে।
স্মৃতি ভোলার সেই দিন যেন আসতে দেরি হয় - ইচ্ছে করে সেই প্রত্যাশা করতে ।

শুক্রবার, মে ২৫, ২০০৭

এইসব দিনরাত্রি -২

সাত সকালে আজ দুঃখ সব বৃষ্টি হয়ে পৃথিবী ডুবিয়ে নিয়ে যায় যখন, তখন আমি স্যুট পরে দড়ি গলায় বান্ধার চেষ্টা করি সভ্য হওয়ার জন্যে। সরকারপ্রধান এর সাথে দেখা করতে গিয়ে আবিষ্কার করি, তিনি এক মোটামুটি সুন্দরী নারীকে বিবাহ করেছেন, যিনি কি না সক্কালে ৫০০ কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে এসেছেন।

আমরা, মানে - ব্যানানা নামের তরুণী এবং অন্যেরা প্রধান এর অনুপস্থিতিতে প্রধান-পত্নীর সাথে ফুল সাজাই আর বিস্কুট-চা খাই। ( মানুষ এর নাম ব্যানানা হয় - ব্যাপারটা শোনার পর দম-ফাটানো হাসি আসলেও হাসতে পারি না কারণ, আমার পেটে তখন ইন্দুরের বাচ্চারা বুক-ডন দিতে থাকে )

মন খারাপ করা সন্ধ্যায় আকাশ এর দুঃখ থামেনা। একটা অদ্ভুত এসএমএস আসে, মানে বুঝতে গ্রীক ভাষার ডিকশনারি খুলি ।
একটা বৃত্তে ঘুরপাক খাই।
বৃত্তের পরিধিটা কমে আসে - না বাড়ে - বুঝি না ।

বৃহস্পতিবার, মে ২৪, ২০০৭

এইসব দিনরাত্রি -১

দুঃখের পাজলগুলো খুব কঠিন - লিনিয়ার-টাইম সল্যুশন আছে কি না - এই নিয়ে সন্দেহটা দানা বাঁধে এবং তার সাথে একটা বড় ধরনের তর্কের পর বুঝতে পারি, আমি আসলে অংকে কাঁচা আর তর্কে ফাটা বেলুন ।
আমি একটা ছিচকাঁদুনে - এইটা শোনার পর আরেক মহাজন আমার দিকে অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে অদ্ভূত একটা ভঙি করে ।

আজ সক্কালে হামের ভ্যাকসিন দেওয়ার পর হাত বাঁকা করে ১৫ মিনিট বসে থাকার সময় দেখি - পাশে বসা তরুণী ভ্যাটভ্যাটে চোখে আমার দিকে একটা অদ্ভূত ভঙিতে তাকিয়ে থেকে অনেক ক্ষণ পর বলে - সাত আর পাঁচে যেন কত হয় ?

আমি একটা শ্রাগ কইরা বলি - দুঃখের পাজলের লিনিয়ার-টাইম সল্যুশন থাকার কথা না তো।

শনিবার, মে ১৯, ২০০৭

আবর্জনা, পুতুলীয় মহামান্যগণ এবং অযৌক্তিক রাজ্যচিন্তা

ওরা বিপ্লব নিয়ে আসে । ভাবতেই আবার প্রস্রাবের চাপটা প্রচণ্ড হয়ে উঠলো রাশেদের । ওরা রাতে আসে, আসার দিনটার নাম দেয় বিপ্লব দিবস; এসেই ওরা রাস্তায় ছেলেদের চুল ছাঁটে, মেয়েদের ঘোমটা পরায় ।

ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল , হুমায়ুন আজাদ

----------------------------------------------------------
আবর্জনা সাফ করবে - প্রতিশ্রুতি দিয়ে একদল ফেরেশতা হঠাৎ নেমে এলেন আকাশ থেকে।
তাঁরা নেমে এলেন হঠাতই ।
সময়টা ভীষণ দুর্যোগের ছিলো, ছিলো অন্ধকারের - বোকার বাক্সের লোকেরা রাষ্ট্রীয় প্রাসাদটির সামনে থেকে প্রতিনিয়তই নানা রকম প্রলাপ শুনিয়ে যাচ্ছিলেন ।

তাঁরা এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন।

আমরা বরাবরই ফেরেশতা দের ভয় পাই - কারণ তারা কোন এক অজানা ঈশ্বর সম্প্রদায়ের সমর্থনপুষ্ট।
ফেরেশতাদের আবির্ভাবে আমাদের জবান বন্ধ হয়ে গেলো - খাদ্য গ্রহণ, ত্যাগ, সঙ্গম হয়ে উঠলো আমাদের প্রধান কর্ম।
মহামান্য ফেরেশতাবর্গের সুন্দর বাচনভঙ্গিতে আমরা মুগ্ধ হয়ে হাততালি দিতে দিতে হাতের চামড়া তুলে ফেলি। রাষ্ট্রীয় শূয়রের খোঁয়াড়টিতে আমরা যাদের বসিয়েছিলাম - তাদের ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে - মহামান্যেরা হাত নোংরা করতেই থাকেন ।
আমরা মুগ্ধ হয়ে আশায় বুক বাঁধি, নিজেদের রাষ্ট্রবিষয়ক দুঃস্বপ্নগুলো থেকে মুক্তির সময় এসে গেছে মনে করে ।

সময় কাটতে থাকে।
পদ্মার পানি শুকোতে থাকে ।
(দুর্জনেরা বলেন, সেটা নাকি বিগ ব্রাদারদের চক্রান্ত, আমি অবশ্য তা বলিনা, আসলে এই সময়টায় পদ্মার পানি এমনিতেই কমে যায় - আমার শৈশবের অভিজ্ঞতা তাই বলে)

এদিকে রাজধানী নগরে পায়ে হাঁটার পথ গুলো এতোটাই ঝকঝক করতে থাকে যে - আমরা আমাদের প্রতিবিম্ব দেখতে পাই ।
নিজেদের বাড়িতে আয়না নামের বস্তুটি বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করে ফুটপাতের ঝকঝকে প্রতিফলন দিয়ে নিজেদেরকে সাজাতে থাকি।

তবে ধীরে ধীরে আমরা বধির ও অন্ধ হয়ে যাই ।
আরেকটু বিস্তারিত বললে, আমরা যে তথ্যমাধ্যমগুলো দিয়ে শুনতাম - আর দেখতাম - সেগুলো দিয়ে মহামান্যরা কীভাবে সুর করে সংগীত চর্চা করছেন - সেই বর্ণনা ভেসে আসে ।
লেখার অক্ষরে এবং বোকার বাক্সের পর্দায় আমাদের "কথা বলার ও শোনার অধিকার" ধর্ষিত হতে থাকে ।

তার মাঝেও যেটুকু শুনতে পাই, তাতে যা বুঝতে পারি -
শূয়রের খোঁয়াড়টিতে যারা নিজেদের মধ্যে অশ্লীল কাইজ্যায় লিপ্ত ছিলেন - তারা এতদিন আসলে কোন পাপই করেননি - শুধু চাঁদ কে নিয়ে নিজেদের মাঝে বাজি ধরে গেছেন।
আমরা মুগ্ধ হই আবারও ।

গুরু পাপীদের লঘু পাপে অভিযুক্ত করার নাটকীয় যেসব কূটকচাল - তাতে ব্যস্ত থাকতে গিয়ে রাজ্য উচ্ছন্নে গেলেও তাতে মহামান্যেরা আরো পুতুলীয় হয়ে ওঠেন - এক ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে যান -

যেহেতু, ইতিহাসের অভিজ্ঞতা বলে, এইসময় উলুখাগড়াকে পিষ্ট করতে হয় - তাই

চলেশ রিছিল কে আমরা বাঁচতে দিই না।
রাষ্ট্রীয় আইনী ম্যানুয়ালের ৫৪ নম্বর নিয়মটির বলে নাসিরউদ্দিনরা কোনদিন কারও সাতে-পাঁচে না থেকেও রাষ্ট্রের অতিথিখানায় আপ্যায়িত হতে থাকেন।
তাসনিম খলিল আটক হন, যেহেতু তাঁর নামের পাশে ব্র্যান্ড থাকে, ব্র্যান্ড এর মানুষেরা থাকেন, তিনি অষ্টপ্রহর পরেই বাড়ি ফিরে আসেন ।
কিন্তু, আহমেদ নূরেরা মুক্তি পান না। তার পাশে দাঁড়ানোর মত ক্ষমতাবান শক্তি খুঁজে পাওয়া যায়না ।

রাজ্যটা কে চালায় আমরা বুঝতে পারি না - অনেকে বোঝার চেষ্টাও করি না ।
আট আনা প্রতি মিনিট মুঠোফোন প্যাকেজে আমরা বিভোর হয়ে থাকি , আমাদের আয় থেকে ব্যয় এর ব্যবধান যাদের ঋণাত্মক, তারা কীভাবে কী করবো ভেবে পাই না - ছুটতেই থাকি, ছুটতেই থাকি ।

দ্রব্যমূল্য বস্তুটি আমাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে থাকে, রাজ্যের স্টিয়ারিং ফেরেশতাদের হাতে থাকুক আর শয়তানের - আমাদের আর কিছু যায় আসে না ।
দেশে শান্তির সুবাতাস বইছে - মনে করে ঘুমিয়ে কাটানোটাই বেশি বাস্তব সল্যুশন মনে হয় ।
তাই আমরা ঘুমোতেই থাকি নিশ্চিন্তে।
ফ্যান ছেড়ে - জানলা খুলে দিয়ে ।

যারা ঘুমোতে পারি না, তাদের কাছে রাহু বড় দীর্ঘ মনে হয়।
সুড়ঙ্গের শেষে থাকা আলো আমরা অনুভবও করতে পারি না ।

মে ২০, ২০০৭
--------------

১.ছবি কৃতজ্ঞতা
২.নাসিরউদ্দিন এর উপরে আসিফ নজরুল এর কলাম এর স্ক্রীনশট

বুধবার, মে ১৬, ২০০৭

এমনি এমনি..

ভালো নাই, ভালো নাই ।
সত্যি সত্যি ভালো নাই ।

--
আউলা-বাউলা, বিতং-দিরং, আপাদমস্তক দুঃখ আর স্মৃতিকাতর মন ।

গান শুনি, এমিনেম এর ।

ক্লিনিং আউট মাই ক্লজেট,
আর
মকিংবার্ড ..

বহুবার চোখ ভিজে গেছে অন্য সব গানের মতো নিজের জীবন নিয়ে দুঃখ রচনা করা এই গানদুটো শোনার পর ।
আজ একটু ইচ্ছে করে চোখ ভেজাই ।
(এমিনেমকে নিয়ে যতোই বিতর্ক থাকুক না কেন, তা এমিনেমের গানের জন্যে আমার মুগ্ধতা সামান্য কমায় না)

Cleanin' out my closet ; " দ্য এমিনেম শো " অ্যালবাম থেকে


MockingBird ; "এনকোর" অ্যালবাম থেকে

শুক্রবার, মে ১১, ২০০৭

ক্ষুব্ধ, আতংকিত ও আশাহত ! এ সময় আমাদের নয় ।


খবরটা শুনে ক্ষুব্ধ হলাম, হলাম আতংকিত ও আশাহত ।

তাসনিম মানে, তাসনিম খলিল - বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর; সাম্রাজ্যবাদ, দুর্নীতি কিংবা রাষ্ট্রের অপশাসন এর বিরুদ্ধে সোচ্চার বন্ধুসম ও শ্রদ্ধাভাজন মানুষটি ।
অর্কুটেও এই একই ছবি তার প্রোফাইলে, তার নিজের জার্নালেও তাই ।
আলো-আধাঁরির মাঝ থেকে উঁকি দেয়া সবলচেতা মানুষটি কখনো মধুপুর নিয়ে আবেগাপ্লুত রিপোর্ট করেন, ভাগ্যাহত মান্দি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হয়ে যান মূহুর্তেই ।
অন্তত আমার মতো মুগ্ধ পাঠকদের কাছে।

রাষ্ট্রীয় বিমানসেনা কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেট হায়েনা, বনরক্ষার দায়িত্বে থাকা অকর্মা বিভাগ - কারো রক্তচক্ষুর তোয়াক্কা না করে বাস্তব মান্দি মানুষগুলোর ছবি আঁকেন ডিজিটাল অক্ষরে।


সাম্প্রতিক সময়ে, জলপাই কুত্তাগুলো কীভাবে দেশটাকে রাজনীতিবিদ দের কাছ থেকে উদ্ধার করে ধীরে ধীরে নিজেদের সম্পত্তি বানানোর চেষ্টা করছে খোলাখুলি এসেছে তাঁর একেকটা অনুসন্ধানী লেখায়
বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে তিনি প্রতিবাদ করেছেন নির্ভয়ে।


একদল নষ্টের ক্ষপ্পর থেকে মুক্তি পাওয়া রাষ্ট্র যখন আরেকদল নষ্টের অধিকারে যাওয়ার পথে, তখন অন্যদের মাঝে তিনি ব্যতিক্রম, প্রতিবাদ করে গেছেন অবিরত ।

চিন্তাজাগানিয়া সব শব্দমালা "অসহায় ও নানারকম জুজু র ভয়ে ভীত" আমাদেরকে সাহসী হওয়ার পথ দেখায় ।
মাঝেমধ্যে তাঁর করা রিপোর্ট গুলো প্রকাশ হলে মেইল পেতাম।
কিন্তু কখনো ভাবিনি, তাঁর এরকম বিপদ হবে।

এ কোন্ সময়?
এ সময় আমাদের নয়।
এ সময় রাবণের অথবা রাক্ষসের ।
আশা করবো, তাসনিম মুক্তি পাবেন শীগগিরই, কোন রকম শর্ত ছাড়াই ।
সাম্রাজ্যবাদ, জলপাইবাদ নিপাত যাক ।
রাষ্ট্র মুক্তি পাক নষ্টদের হাত থেকে ।



-------------
লিংক (আপডেট হচ্ছে নিয়মিত)
-------------
সবশেষ আপডেট:
তাসনিম খলিল কে আটকের ২৪ ঘন্টা পর, (এই পোস্ট প্রকাশের ১৪ ঘন্টা পর) তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়েছে ।
তাসনিম এর জন্যে জনমত তৈরির যে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল , তা পরিণত হোক বাক-স্বাধীনতার জন্যে নতুন যুদ্ধে ।

মঙ্গলবার, মে ০৮, ২০০৭

প্রলাপ-৩

সকালটা হয় দেরিতে, অবশ্য কখনো কখনো পাগলামি করে সাত-সক্কালে উঠি।
পাগলামি করে কড়া কালো কফি গিলি কয়েক মগ ।
মাঝে মধ্যে পরিপাকযন্ত্রটা বিট্রে করে বসে, ভাবি বসে, কে দেয় পাত্তা কারে এই ভবে ?

সারাদিনে কত্তো কাজ, হাতি-ঘোড়া মারা, কতো কী ...

কোনটাই হয় না ঠিকমতো ।

সন্ধে গড়িয়ে অন্ধকার নামে ।
নিজেরে শুধোই, "হিসেব যে মেলে না মাঝি, আর কতো পারাপার করবা, " । জীবন দেয় না পাত্তা মোরে , আর আমি খুলে বসে থাকি হিসেবের খাতা ।
তারে শুধিয়েছিলুম " ভালো যদি বাসো গো সখী ..

দূর, কীসের মধ্যে কী? পান্তা ভাতে ঘি .. কোথায় পড়েছিলুম যেন -


"একজনে আইয়া কইল, অ বুড়ি, তোমার বুড়া মরসে । বুড়ি কয় -
- কী কয় ? বুড়ি কী কয় ?
- বুড়ি কয় -
বুড়ায় মরসে ভাল হইসে
দুইখান ক্যাঁথা আমার হইসে ।।
"

বাস্তব ওইরকমই ।

------------------
পোড়া মন আর অগোছালো আত্মঅস্তিত্বে রবিবুড়োটাকে আকঁড়ে থাকি ।
শুনি .. এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু, পিছন-পানে তাকাই যদি কভু
সেই রক্ষা ।
সেই সই ।

---------------


"ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভূ"