শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০০৭

দিনের শেষে ঘুমের দেশে


দিনের শেষে ঘুমের দেশে .. কিশোর কুমার এর কণ্ঠ .....

মন ভালো নেই ,
অনেক কারণেই ..... ।
তাই গান শুনি আর বাচ্চাদের মুভি দেখি ...
কাল দেখেছি সোনার কেল্লা .. সত্যজিত রায় এর সৃষ্টি
আজ দেখবো হীরক রাজার দেশে ....

বাচ্চাদের মতো আজকে আমি একটা মুভি দেখেছি .. টাইপের কথাবার্তায় ভরা পোস্ট দিতে ইচ্ছে করছে।
দেবোও বোধহয় ।

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০০৭

অক্ষম রাষ্ট্রের হঠাৎ শুদ্ধি এবং দেশ-স্বপ্ন

হ্যাঁ, উপরের এই ছবিটা বাঙলাদেশ এর, যে বাঙলাদেশ নিয়ে আপনি আমি -আমরা হেতুক-অহেতুক স্বতঃস্ফূর্ত স্বপ্ন বুনি, সময়ে-অসময়ে আবেগে, ক্ষোভে কিংবা হতাশায় আক্রান্ত হই ।
যে বাঙলাদেশে অর্ধ শতাব্দী আগে আপনার পূর্বপ্রজন্ম বর্ণমালা র সম্ভ্রম রক্ষার জন্যে বিক্ষোভে রক্ত আর অশ্রুর ফোঁটা এক করে ফেলেছিল, আপনি আগামীকাল ২১শে ফেব্রুয়ারি সেই বেদনায় টলমল হবেন, লাল শিমুল অথবা রঙ্গনে র শোকে আপ্লুত হবেন ।

টলমল চোখে আপনার-আমার বায়ান্নো-স্মরণ এমন এক সময়ে, যখন রক্ত আর অশ্রু মাখানো শোকাকুল বাঙলাদেশ নিয়ে হতাশ আমরা দেখছি, ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠানো প্রিয় জনপ্রতিনিধিরা টিন আর গম চুরির অভিযোগে কিংবা কোন কারণ ছাড়াই জরুরি ক্ষমতা অধ্যাদেশ নামের একটি বিতর্কিত আইনের জোরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে ।

আমাদের প্রতিনিধি, অথচ তাঁরা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই বলে আমরা আশান্বিত হচ্ছি। এ এক এমন সময় যখন রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী, ( যাদের আমার মতো অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখেন ) - তাদের দেশশুদ্ধি র হঠাৎ অভিযান দেখে আমরা হাততালি দিচ্ছি।

যে দেশ নিয়ে আপনি-আমি গত দুইমাস আগে কোন আলোই দেখিনি - রাজনীতির সাথে জড়িত মানুষগুলো আমাদের জন্যে যখন বেদনা আর হতাশা ছাড়া আর কিছুই নিয়ে আসতে পারেননি, ক্ষমতার লোভে যারা ঔদ্ধত্যের শেষ মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিলেন, সেই সময় ঈশ্বরের কোন্ ইচ্ছেয় সিনারিও গুলো পাল্টে গেলো - কোন্ যাদুর ছোঁয়ায় সুরের স্বেচ্ছাচারে পটু রাজনৈতিক মানুষগুলো ঠিক সুরে গান গাওয়ার চেষ্টা শুরু করলেন ?

আমি জানি না ।
আর জানতেও ইচ্ছে করছে না - কারণ, যা ঘটেছে - তা বোধহয় খুব খারাপ হয়নি ।
-----------------------------------------

গত একমাসে আমরা যা চাইলাম, তাই হলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে - দেশকে যারা নিজেদের সম্পত্তি ভেবে ভাগ-বাটোয়ারায় ব্যস্ত ছিলেন - তাদের পতন, ট্র্যাকচ্যুত অক্ষম এক রাষ্ট্রের ট্র্যাকে ওঠার চেষ্টা, গত এক দশকে রাষ্ট্র শাসনে জমে ওঠা আবজর্না পরিষ্কার করার প্রয়াস, ক্ষুদ্র ঋণের উপর ভর করে নোবেল বিজয় করে ফেলা অর্থনীতির অধ্যাপকের আম্রিকান স্টাইলে প্রিয় নাগরিক, আপনাকে বলছি - টাইপের আহবান - কেমন যেন সাজানো গোছানো সব পট ।

অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণ আপনি, কোন অদৃশ্য দাতা প্রভু অথবা প্রভুগোষ্ঠির অদৃশ্য সুতো কল্পনা করতে পারেন - হ্যাঁ, আমিও করিনা যে তা নয় ।

তবুও আমার কেন যেন স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করছে ।
আমরা বারবার স্বপ্ন বুনি - ঘাস আর নদীর গন্ধ মাখানো স্বপ্ন । নামপরিচয় জানা নেই মুক্তিযোদ্ধারা যে ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল বিচরণ করে বেরিয়েছে শত্রুর খোঁজে, তার পুরোটা জুড়ে ঘাস, নদী আর ফুল ।
দেশ নিয়ে আমাদের সব ক্ষুদ্র চাওয়া পদদলিত হয় বারবার - তবুও আমরা কি কখনো থেমেছি ?

উপরের ছবিটার মতো হাস্যোজ্জ্বল হবে বাঙলাদেশের সব মুখ, এই নষ্ট রাজনীতি, পুঁজি আর পেশীর দাপট অথবা আকাশছোঁয়া সব অশ্লীল অট্টালিকা আর ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কসমোপলিট্যান মেগাসিটি ছাপিয়ে আলো ছড়াবে এই মানুষগুলোর হাসিমুখ - সেই দিনের প্রত্যাশায় থাকি ।

------
"বাঙলাদেশ" বানানটা ইচ্ছে করে ব্যবহার করা, ত্রুটি নয়
ছবি : বিবিসি , ছবির কপিরাইট তথ্য : এখানে

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০০৭

প্রলাপ - ২

আবার আউলা লাগে সবকিছু ।
মাথা ব্যথা - দুঃস্বপ্ন, ক্লান্তি অথবা অপটু অভিনয়।
পাহাড় মাথার উপরে, হাটুঁতে জোর পাই না, ভেঙে পড়ি ।
সিন্দবাদের ভূত কে স্বপ্নে দেখি, ব্যাটা আবার বসতে চায় সেই পাহাড়টায়।

দূর ছাই বলে আরেকটা দিন শুরু করি - সব অশুভ একসাথে এসে পড়ে একই দিনে - গোলকধাঁধায় আটকে যাই - বেরুতে পারিনা - কে যেন ডাকতে থাকে ক্ষীণ স্বরে - মেয়েকণ্ঠ - ঠের করতে পারি না । মা ?
মা এরকম বাচ্চা গলায় ডাকবে কেনো ?

সবকিছু ফ্লাশব্যাক হয়ে সামনে আসতে থাকে ।
একটা বাস - মাথা টিপে ধরে বসে আছি - হ্যাঁ আমিই - পাশে এক লোক আনন্দলোক নিয়ে বসে থাকে - বোধহয় পূজোসংখ্যা - চিনি বোধহয় লোকটাকে - কিছু কিছু অতিসংবেদনশীল সেল জানান দেয় - আমি তখন জানালার দিকে তাকিয়ে - একটা ট্রাক ওভারটেক করে চলে যায় । নাকেমুখে ধূলো এসে ঢোকে ।
আমার চোখে জল । আমার লজ্জ্বা করতে থাকে - ইসস্ - লোকটা যদি আমাকে চিনে ফেলে ।

দৃশ্য পাল্টায়।
আমার বেড়ে ওঠা শহরে পৌঁছে যাই ।
অন্ধজনে দেহ আলো - বড় রাস্তার এই অন্ধকার কোণায় লোকটা অবিরল পবিত্র গ্রন্থ মুখস্থ বলে যায় - মনে পড়ে একবার ৫০ টাকার একটা নোট গুঁজে দিয়েছিলাম হাতে - না দয়ায় নয় - নিজের পাপমুক্তির জন্যে - কষ্ট করে কোচিং সেন্টারে গলা বেচা টাকা।
পাপেরাও সামনে চলে আসে । গোলকধাঁধাটা ঘুরতেই থাকে - আরেকটু পেরুলে কৈশোর - একটা ছেলে কাঁদছে - মাগরিব এর আজান - একটা মাঠ - একা বসে ।
ঈশ্বর দুঃখ গুলো বিলিবন্টনে এতো বোকামি করে বসে আছে কেন - ভেবে পাই না - এই গোলকধাঁধার ভিতরে থেকে ।

আমি ঘুরতেই থাকি - শৈশব দেখতে ইচ্ছে করছে না ।
শৈশব টা আমার জানা ।
চোরাবালি এসে পড়ে - ছেলেটা তলিয়ে যাচ্ছে - প্যাঁচপ্যাঁচে কাঁদায় ...
চোখ বন্ধ করে ফেলি । আমার ভয় করতে থাকে ভীষণ ।
জীবনটা বায়স্কোপ হলে তো হতোই !
সত্যিই কে যেন ডাকছে - নাহ ... মা নয় ।
আমি স্মৃতি হাতড়াই - পাতাগুলোতে কিছুই লেখা নেই - কারও সাথে মিল খুঁজে পাই না ।


শেকল দিয়ে বাঁধা সবকিছু - আমি অন্ধের মতো হাত দিয়ে চারপাশ অনুভবের চেষ্টায় ব্যর্থ হই ।
আমি ডুবতে থাকি - গোলকধাঁধা টা অন্ধকার হয়ে যায় ।
নীল মরচে পড়া স্বপ্নেরা আলো ছড়ায় - হিমভরা বাতাসে সেই কণ্ঠটা হেসে ওঠে - আমি নিজের শেকড় খুঁজে পাই না - একটা চিৎকার দিই - অসহ্য লাগে সবকিছু - অসহ্য ।


--------

নির্বাসন, ফাল্গুনের প্রথম দিন
ছবি : কৃতজ্ঞতা Flickr , কপিরাইট : CCL

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০০৭

আউলা

ব্যস্ত ..
ব্যস্ত ..
ব্যস্ত ..
মাথা আউলা ..ঝাউলা ।
আউলা :(
গান শুনি .. এই গান ..


পাখি কখন জানি উড়ে যায় :: ফরিদা পারভীন