
আমরা, বাঙালি - রাজনীতি নিয়ে মাথা বেশি ঘামাই ।
আমাদের পেটে ভাত থাকে না, বাড়িতে রাতে রান্নার চাল আছে কি না- তার ঠিক নেই, বিদ্যুত কিংবা পানি - সে অনেক পরের কথা ::
তারপরও আমরা মাথা ঘামানো থামাই না ।
আমাদেরই পকেটে চালানো নির্বাচন; কে চালাবে, না চালাবে - সেটাও ঠিক করতে আমরা ভেড়া বলি দিই ।
জানি না, আপনি সাধারণ মানুষের কাছে প্রায় অবোধ্য - রাজনীতি বা রাষ্ট্রনীতি - নামের অদ্ভূত বস্তুটির সাথে জড়িত ছিলেন কি না - তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না এখন আর। কারণ, আপনার আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই, আপনি এখন ১১ জনের মাঝে একজন মাত্র ।
হ্যাঁ, এগারো - আজকের বলি সংখ্যা ।
কোথায় যেন শুনেছিলাম, নামবিহীন মৃত্যু মানুষের সবচেয়ে বড় দূর্ভাগ্য ।
আমি কিন্তু তা মনে করি না । কারণ, দূর্ভাগ্য কিংবা সৌভাগ্য - সবই আপেক্ষিক ব্যাপার-স্যাপার ।
জানি না - সকালে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আপনাকে কেউ সাবধানে থাকতে বলেছিল কি না কিংবা আপনার জন্যে অপেক্ষায় কেউ কাল রাত পার করে সকাল পর্যন্ত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে কি না ।
কিংবা আপনার আয়ের উপরে বেঁচে আছে বড় কোন পরিবার - আমাদের পোড়ার দেশে যা হয় ।
ঈশ্বর তার বা তাদের সহায় হোন ।
এইটুকু প্রার্থনা করা ছাড়া খবরের কাগজে একনজর আপনার ছবি দেখে - ছবিটা তো জটিল অথবা দেশটার কী হইলো - টাইপের কোন কমেন্ট করে পরের খবরে চোখ দেয়া আমরা আর কিছুই করবো না ।
হয়তো আপনি কোন কিছু না জেনেই পল্টন ময়দানে মানুষ দেখতে বেরিয়েছিলেন, কিংবা পেট বাঁচানোর জন্যে কোন প্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন কুকুর-শেয়ালদের মাঝখানে, যাদের কাছে আপনি কিংবা আমি - কেউ জরুরি নই - জরুরি ক্ষমতার দখল । নেতা-নেত্রীরা তাদের বাপ-স্বামীর জমিদারি ছাড়া আর কিছুই মনে করছেন না এই দেশটাকে - আপনি হয়তো ছেড়ে যাবার আগে ব্যাপারটা উপলব্ধি করেছেন । এরাই, এদের প্রতিনিধিরাই আপনার নিকটজনের কাছে ভোট চাইতে যাবে কিছুদিন পর ।
আপনি আমাদের ক্ষমা করবেন, আমাদের অভিশাপ দিতে চাইলে দিতে পারেন ।
আমরা কেউই অস্বীকার করতে পারি না - আপনার এ অসময়ে চলে যাওয়ার দায়ভার - কারণ কিছুদিন পরে আমরা এই কুকুর-শেয়ালগুলো কেই সমর্থন করবো - নির্বাচনে ।
----------
পল্টন মোড়ে প্রথম আলোর চিত্রগ্রাহক সাইফুল ইসলামের ক্যামেরায় বন্দী হওয়া সেই নাম না জানা মানুষটির উদ্দেশ্যে
1 টি মন্তব্য:
............
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন