সোমবার, অক্টোবর ৩০, ২০০৬

এরপর ?

এক্ষুনি খবর দেখছি । শেষ পর্যন্ত কোন গ্রহণযোগ্য সমাধান হলো না ।
এরপর কী হবে ?
ক্ষমতার লোভ মানুষকে কতোটা নীচে নামাতে পারে ?
এ কোন্ রাহু ?


আপডেট দেখুন এই লিংকগুলোতে ::
১ . bdnews24

রবিবার, অক্টোবর ২৯, ২০০৬

অজ্ঞাতনামা আপনার প্রতি

প্রিয় নাম না জানা মানুষটি,
আমরা, বাঙালি - রাজনীতি নিয়ে মাথা বেশি ঘামাই ।
আমাদের পেটে ভাত থাকে না, বাড়িতে রাতে রান্নার চাল আছে কি না- তার ঠিক নেই, বিদ্যুত কিংবা পানি - সে অনেক পরের কথা ::
তারপরও আমরা মাথা ঘামানো থামাই না ।

আমাদেরই পকেটে চালানো নির্বাচন; কে চালাবে, না চালাবে - সেটাও ঠিক করতে আমরা ভেড়া বলি দিই ।

জানি না, আপনি সাধারণ মানুষের কাছে প্রায় অবোধ্য - রাজনীতি বা রাষ্ট্রনীতি - নামের অদ্ভূত বস্তুটির সাথে জড়িত ছিলেন কি না - তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না এখন আর। কারণ, আপনার আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই, আপনি এখন ১১ জনের মাঝে একজন মাত্র

হ্যাঁ, এগারো - আজকের বলি সংখ্যা

কোথায় যেন শুনেছিলাম, নামবিহীন মৃত্যু মানুষের সবচেয়ে বড় দূর্ভাগ্য

আমি কিন্তু তা মনে করি না । কারণ, দূর্ভাগ্য কিংবা সৌভাগ্য - সবই আপেক্ষিক ব্যাপার-স্যাপার


জানি না - সকালে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আপনাকে কেউ সাবধানে থাকতে বলেছিল কি না কিংবা আপনার জন্যে অপেক্ষায় কেউ কাল রাত পার করে সকাল পর্যন্ত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে কি না


কিংবা আপনার আয়ের উপরে বেঁচে আছে বড় কোন পরিবার - আমাদের পোড়ার দেশে যা হয় ।
ঈশ্বর তার বা তাদের সহায় হোন ।
এইটুকু প্রার্থনা করা ছাড়া খবরের কাগজে একনজর আপনার ছবি দেখে - ছবিটা তো জটিল অথবা দেশটার কী হইলো - টাইপের কোন কমেন্ট করে পরের খবরে চোখ দেয়া আমরা আর কিছুই করবো না


হয়তো আপনি কোন কিছু না জেনেই পল্টন ময়দানে মানুষ দেখতে বেরিয়েছিলেন, কিংবা পেট বাঁচানোর জন্যে কোন প্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন কুকুর-শেয়ালদের মাঝখানে, যাদের কাছে আপনি কিংবা আমি - কেউ জরুরি নই - জরুরি ক্ষমতার দখল । নেতা-নেত্রীরা তাদের বাপ-স্বামীর জমিদারি ছাড়া আর কিছুই মনে করছেন না এই দেশটাকে - আপনি হয়তো ছেড়ে যাবার আগে ব্যাপারটা উপলব্ধি করেছেন । এরাই, এদের প্রতিনিধিরাই আপনার নিকটজনের কাছে ভোট চাইতে যাবে কিছুদিন পর ।

আপনি আমাদের ক্ষমা করবেন, আমাদের অভিশাপ দিতে চাইলে দিতে পারেন ।

আমরা কেউই অস্বীকার করতে পারি না - আপনার এ অসময়ে চলে যাওয়ার দায়ভার - কারণ কিছুদিন পরে আমরা এই কুকুর-শেয়ালগুলো কেই সমর্থন করবো - নির্বাচনে ।



----------
পল্টন মোড়ে প্রথম আলোর চিত্রগ্রাহক সাইফুল ইসলামের ক্যামেরায় বন্দী হওয়া সেই নাম না জানা মানুষটির উদ্দেশ্যে

শনিবার, অক্টোবর ২৮, ২০০৬

ইউনুস নবী এবং তার নৌকা

ইউনুস নবীর কথায় আসি ।
না, ইউনুস নবীর নৌকা ছিল না ।
তবু আপনারা ধরে নিন, ইউনুস নবীর একটা নৌকা আছে ।
কাল্পনিক নৌকা ।

কনফুসিয়াস খারাপ লেখেননি ।
আমরা আসলেই ইউনুস সাহেবরে‍ হজম করতে পারি নি ।
আর, আমাদের বাঙালির যা হয়, সম্বর্ধনা-সমবোরধোনা জাতীয় ব্যাপার-স্যাপার এর মাধ্যমে আমরা কার কতটা এসিডিটি বাড়ছে ওই জিনিষ দেখানোর চেষ্টা করি এবং শেষ পর্যন্ত , শ্রদ্ধা করা উচিত, সব বিতর্কের উপরে রাখা উচিত এরকম মানুষকেও পচিয়ে ফেলি ।

আমরা চেষ্টা করি সবার আগে ফুলের মালা নিয়ে দৌড় দিতে , সম্মানিত মানুষটির পাশে নিজের পিতৃপ্রদত্ত বদনখানা দাঁড় করিয়ে ফ্রেম-বন্দি করে ফেলার । ফতুয়া পরা সাদাসিধে মানুষটির পাশে আমাদের চকচকে বিদেশি স্যুট মানায় না, প্রায় চামড়া তুলে ফেলা মেকআপ নেয়া চেহারার নিজের পাশে আমাদের এই বামনের দেশে মহাকায় মানুষ ইউনুসকেও বামন মনে‍ হয় । আর তক্কে তক্কে থাকি, নিজের কৃতিত্বখানা জাহির করতে অন্যদের কাছে, জোর করে সে গল্প টেনে আনি বিভিন্ন জটলায় ।

নির্বাচনের আগে আগে আমরা যেমনটা দেখি, অমুক ভাই-তমুক ভাই আপনাদের দোয়াপ্রার্থী - টাইপের পোস্টারে নেত্রী কিংবা নেত্রীপুত্রের সাথে তমুক ভাইয়েরা ছবি দিয়ে দেয়াল নষ্ট করে ফেলেন , ব্যাপারটা অনেকটা সেইরকম ।

আদনান সামি র সেই লিফট্ করা দো .. গানটা নিশ্চয় শুনেছেন; আমরা আসলে সবসময় লিফট্ এর অপেক্ষায় থাকি । তাই আপনি, আমিও ইউনুস নবীর নৌকায় লিফট্ নেয়ার চেষ্টা করি, এই সময়ে এসে ।


----------------
:: ইদানীং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢোকার মুখেই ডক্টর ইউনুস এর হাস্যোজ্জ্বল ছবির অপ্রাসঙ্গিক ব্যবহার দেখে প্রতিক্রিয়া
:: বামনের দেশে মহাকায় - শব্দাংশটুকু প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ এর প্রবন্ধ থেকে ধার নেয়া - তিনি এর ব্যবহার করেছিলেন আহমদ শরীফ সম্পর্কে বলতে গিয়ে

জিরো আওয়ার

শেষ পর্যন্ত আমরা পৌঁছে গেছি শূন্য ঘন্টায় ।

যখন এই লেখা লিখছি, তখন ৪৮ মিনিট ধরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাঁর পাঁচ বছরে তিনি এবং তাঁর মহান ও বিশাল মন্ত্রীবহর কী কী উপহার দিয়েছেন তার ফিরিস্তি দিয়েছেন ; আর গত সময়গুলোতে আমরা কখনোই পাশে পাইনি যাদের, সেই দায়িত্বজ্ঞানহীন বিরোধী দল স্বপ্ন দেখছে লগি-বৈঠা নিয়ে একটা বিপ্লব-টিপ্লব করে ফেলা র । তারা পল্টন ময়দানে নাকি খুঁটি গাঁড়ছেন ।

সবাই আগামী কয়েকদিন বাড়ির বাইরে যাতে না যেতে হয়, সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন, বাস-ট্রেনের টিকেট বাতিল করছেন শুনছি ।
ছোটখাটো যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব, বলছেন এক সাংবাদিক বিবিসি তে ।

একজন চামুচ, যার অস্হায়ী শাসনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা, তিনি ভুলে যাচ্ছেন যে তার প্রথম যোগ্যতা হওয়া উচিত প্রায় সবাই তাকে গ্রহণ করবে সেই পার্সোনালিটি । আমার সাদা চোখে ই এই ভদ্রলোককে লজ্জা-শরম কম শ্রেণীর কেউ বলে মনে হচ্ছে ..আর ..

কে শোনে কার কথা , আমাদের এ হবুচন্দের দেশে ?

কল্পনা করা হয়নি এমন কোন ব্যাপার নয় যদিও , কিন্তু অনাকাঙ্খিত, আর অস্বস্তি মাখানো এ শূন্য ঘন্টা ।


সংযুক্তি:: অক্টোবর ২৮ : জিরো আওয়ার থেকে বেরুবার বোধহয় একটা পথ পাওয়া গেছে

শুক্রবার, অক্টোবর ২৭, ২০০৬

লিখছি

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি লম্বা নীরবতার জন্যে ।
কারণ অনেকগুলো, তবে উল্লেখ করার মতো দুটো হচ্ছে অহেতুক ব্যস্ততা আর অগোছালো জীবনযাপন ।
আর মাঝেমধ্যে শরীরযন্ত্রের বেঁকে বসা ।
ভীষণ ক্লান্ত সবকিছু নিয়েই ।

ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ বাদ দিই ।
অনেকবারই লিখতে শুরু করে শেষ করা হয়ে ওঠেনি ।
অন্যেরা কী লিখছেন তা ও পড়ার সুযোগ হয় নি ।
যাইহোক, আবার পড়ছি এবং লিখছি।