শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০০৬

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে

ছবিটা দেখে বাগদাদ কিংবা বৈরুত মনে করেছিলাম ।
তবে ক্যাপশন পড়ার পর আর অবাক হই নি ।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যেমনটা হয় !

লিস্টিটা লম্বা হয়েছে ।
কানসাট, শনির আখড়া র পর মিরপুর, নারায়ণগঞ্জ, বাঘা, সিলেট, সিরাজগঞ্জ .......
পাতানো টেলিফোন-টেলিফোন খেলার দিকে চোখ রাখার মত অবস্থা আমাদের নেই।
সরকারে গেলে সবার চোখ-কান দুটোই বন্ধ হয়ে যায় । ক্ষমতায় গেলে সবাই প্যাঁদানি দেয় । হোক তা বাআলী কিংবা বাজাদ ।
দুটোর পার্থক্য খুব কম । ধুর, একেবারেই নেই ।
আমরা জানি ।
তবে আমরা যে জানি - এটা রাজনীতিবিদ নামের লজ্জ্বা-শরম কম মানুষগুলো বোধহয় জানেনা ।

তারা কি দুটো-একটা ছাগল বিলা হওয়ার অপেক্ষা করছেন ?

ছবি কৃতজ্ঞতা : The Daily Star

রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০০৬

এর থেকে নির্বাসনে গেলে ভালো হত

এর থেকে নির্বাসনে গেলে ভালো হত
তাহলে এতদিন আমার কথা মনে ছিল ?
প্রশ্নটার একটা জবাব দেয়া যেত ।
কিন্তু, আমার এ না-দন্ডবাস
না-নির্বাসনের পর আমি
উত্তরহীন থাকা ছাড়া আর কী-ই বা করতে পারি ।


এর থেকে নির্বাসনে গেলে ভালো হত
ঘাস আর আকাশের জন্যে ভালোবাসাটা আরও মজবুত হত
হয়তবা; তাহলে এই অবেলায় তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করত না
রিকশা নেই একটা ফাঁকা শহরে তোমার পাশে হেঁটে যেতেও
ইচ্ছে করতো না, টুপটাপ বৃষ্টির মাঝে ।
মনে মনে বলতুম, রিকশা না পাওয়া গেলেই ভালো ।



এর থেকে নির্বাসনে গেলে ভালো হত
আমার মেশিনে শোভা পেত তনুশ্রী দত্ত কিংবা কিম শর্মার ওয়ালপেপার, হতাম
গতানুগতিক একটা যন্ত্রপ্রিয় মানুষ ।
মাথার ভিতর ঘুরপাক করতো মোজাভি, পার্ল কিংবা
সন্দর্ভ লেখার মালমশলা কোত্থেকে যোগাড় করা যায়, সেই চিন্তা ।



কিন্তু, কোনোটাই তো হইনি
তাহলে আমি এ কোন্ না-দন্ডবাস না-নির্বাসনে ছিলাম ?
যেখানে আমার সব দুঃখ মেঘ হয়ে থাকে ।
আর তার মাঝে আমি না-মানুষ না-আমি হয়ে যাই ::



মন্তব্য :: এটি অবশ্যই কবিতা নয়, নয় ছড়া(!)ও, আমি কবিতা লিখতে পারি না, আমি জানি । এটা আর অন্য সব পোস্টের মতই আরেকটা অর্থহীন অবাস্তব অনু-গাদ্যিক প্যাঁচাল

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৬

ভন্ডামি

আজকাল রোদের মধ্যেই বৃষ্টি আসে, আমরাও খেঁকশেয়ালির গান গাই - রোদ হচ্ছে, বৃষ্টি হচ্ছে ...
দিবাস্বপ্নের মধ্যে আমি ইউলিসিস হয়ে যাই, নাউজিকার খোঁজ করি ; ধ্যাত্তেরিকা, ওইটা পেনেলোপি হবে বোধহয়, সে যাইহোক, এই প্রায়-ভ্যাপসা গরমে আমরা আড্ডায় আগুন ধরাই, মোজো খাই, মজা পাই ।

কে যেন খবর দিলো কবিরা সব আইজুদ্দির ভক্ত হয়ে গেছে, বেশি বেশি কষ্টে থাকে - সব শালা এখন মোবাইল আর কর্পোরেট, আমি একটা সেন্সর করা উচিত - গাল দিই, উদ্দেশ্যহীন ::
উদ্দেশ্য নিয়া মাথা ঘামায় কোন ××× - এইখানেও একটা গালি হবে - শূন্যস্থান পূরণের দায়িত্ব কিন্তু আপনার ।

এর মধ্যে বজ্জাত এসে হাজির ওর শ্লীলবিহীন সব গল্প নিয়ে, এই ব্যাটা ভাল কোন কথা জানে বলে আমরা মনে করি না, বজ্জাতের আসল নামটা দুটো-একটা অক্ষর এদিক-ওদিক হবে - আমরা নানানরকম মিথ শুনি, তাল মিলাই- কোনও এক শালা প্রেম করতে গিয়া ধরা পইড়া নাকি কইসে, আসলে ওর না অনেক দুঃখ- ও আসচিল আমার সাথে দুঃখ শেয়ার করতে - আমরা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ি - একে অপরকে পচাই - আমরা নির্ঘাত হাবিয়া দোযখে যাবো - আমি ভবিষ্যৎবাণী করি ।

:: আমি আবার বিবেক কি না - এই পট এর ::

বাড়ি ফেরার পথে ভিত্তিপ্রস্তর দেখে আমি মুগ্ধ হই - কালকেও এইখানে কিছুই ছিল না -খালদা জিয়া আইবো বুলে -রিকশাঅলা বলে ওঠে - আমি সন্ত্রস্ত হই - কারণ আমার নার্ভ দুর্বল এবং আমি মহান ব্যক্তিদের ভয় পাই।

ভিভিআইপি নিরাপত্তার ব্যাপার আগে - অন্য কোন এক মহান ব্যক্তি বলেছেন - প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরের জন্যে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আটকা পড়া জরুরী যান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ::
মারহাবা, মারহাবা ।
আজকাল নাকি মারহাবা টাই ফ্যাশন ।

টিভিতে সুন্দরী সংবাদ উপস্থাপক খবর পড়েন - জাতীয় জীবনে জনগণের উন্নতিকল্পে ....... নিউজের বা×ছা× .....
উপরের × স্থানে ল হবে - আশা করছি আপনি একেবারে নিস্পাপ কোনও মানুষ নন ::
ফোনটা বাজে - আরেকটা অশ্লীল গালি দেই - মনে মনে - যেই হোক না কেন ।
আমি গালি দিয়ে পাপ ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করি - আমি আবার নিস্পাপ হয়ে যাই - আবার চারপেয়ের মাংস খাওয়ার চেষ্টা করি - টম-এন-জেরি দেখে হাসার চেষ্টা করি - নাইন-ইলেভেনের স্মরনে মানুষের কান্না দেখে আমার পেট মোচড় দেয় ।


আমি আবার ইউলিসিস হওয়ার চেষ্টা করি ।
আমার ভন্ডামি বেশিরভাগই ফাঁস হয়ে যায় ।

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০০৬

জড়তা



:: কৃতজ্ঞতা :: এই ছবিটাতে যান্ত্রিকভাবে সামান্য তেলজল মাখানোর চেষ্টা করেছি ,
মজার সেই সফটওয়্যারটির জন্যে ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ যার কাছে, ছবিটা তাঁকেই উপহার।
কনফুসিয়াস , অনেক কিছু শেখার আছে আপনার কাছে ; (লিংক , )
ভালোবাসা রইল

একটি প্রায়-রাজনৈতিক প্রলাপ

দেশে এসে পড়লাম , অল্প সময়ের জন্যে ।
খুব চোখে পড়ছে মুঠোফোন বিপ্লব, লোডশেডিং আর অনিশ্চয়তা - অনেক কিছু নিয়ে ।

মুঠোফোন বিপ্লব এই অর্থে বলছি , মনোপলি কিংবা প্রায় মনোপলি ভেঙে বেড়েছে প্রতিযোগিতা - আমাদের বাণিজ্য সংস্কৃতির দিক থেকে চিন্তা করলে প্রায় অন্যজগতের টার্ম - ক্রেতা অধিকার কিংবা কাস্টমার সার্ভিস - নামের জিনিষগুলো কিছুটা হলেও অনুভূত হচ্ছে :: সে যাই হোক, মুক্তবাজার অর্থনীতির সেই টুকু সুফল অবশ্যই অভাবিত নয় । আর স্থূল দৃষ্টিতে এই সময়ের ইতিবাচক উন্নতি বলতে সেটুকুই ।

কিন্তু - কিন্তু, অসমতা প্রকট মানুষের মাঝে - মধ্যবিত্তের দারিদ্রের সূচক নামেনি, অর্থনৈতিক পার্থক্য নিয়েছে অন্যরকম উর্ধ্বগতি । বাজারে অর্থের আনাগোনা বেড়েছে, অর্থের রং নিয়ে কোন প্রশ্ন করব না - পকেট গরম মানুষের মাঝে টাউট আর বাটপার এর সংখ্যা বেশি, এর অস্বীকার কেউ করবেন না নিশ্চয়ই , রাতারাতি টিভি চ্যানেল বানিয়ে ফেলা আলু টাইপের নামের মানুষেরা যে অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণে, সেখান থেকে এর থেকে বেশি প্রত্যাশা আমরা করতে পারি না ।

বিদ্যুৎ এর আনাগোনা - একটা সময় আগে হাইস্কুল পাসের রাষ্ট্রীয় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যেরকম অনুভব করেছিলাম - অবস্থা তার থেকেও দিনদিন খারাপের দিকে গেছে - মফস্বলের জন্যে আমাদের আলোর বরাদ্দ নেই- কানসাটের কথা আমাদের স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি - আমি এই মুহূর্তে যে জায়গাটাতে আছি, সেটা কানসাট থেকে খুব বেশি দূরে নয় কিংবা ফুলবাড়ি থেকেও - না, অবস্থা পাল্টায়নি - এই মুহূর্তে আমার মেশিন চলছে ব্যাটারিতে - আমাদের মতো ভেঁড়া গোত্রের মানুষ কখনো স্বস্তি পাবে বলে মনে হয় না ।

ও হ্যাঁ, আমাদের অতি-রাজনীতি-সচেতন মানুষদের জন্যে সামনে আসছে নির্বাচন - হিসাব-নিকাশও শুরু করে ফেলেছে কদাকার রাজনৈতিক দলগুলো - ঘাতকদের দল আর ১৬ বছর আগে জনমানুষের লাথি খেয়ে বিদায় নেয়া নির্লজ্জ বেহায়া - এই সময়টাতে নিজেদের মূল্যবান মনে করে জিহ্বা দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে নেয় - সব অদ্ভূত মস্তিস্কের সুযোগসন্ধানীরা আগামী পাঁচ বছর আমাদের পশ্চাৎদেশে লাথি দেবার অধিকারটুকু অর্জনের জন্যে হায়েনা আর কুকুর সব্বাইকে সাথে নেয় । যে পক্ষ হায়েনা আর কুকুরকে সাথে পায়, তারা তাদের দূর্গন্ধযুক্ত মুখ দিয়ে পুরনো হিসাব মুছে ফেলতে বলে, আর অন্য পক্ষ পুরনো খাতা নিয়ে চিৎকার করতে থাকে ।

ঈশ্বর, সেই পুরনো গল্প, সেই পুরনো নাটকের রূপায়ন - এমনকি হয়না - আমরা একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখবো - সব হায়েনা, কুকুর আর সুযোগসন্ধানী শেয়াল মরে গেছে ? আমি এই প্রথম কারো মৃত্যু কামনা করছি ।

আমি বিপ্লবের সমর্থক নই - ফুলবাড়ি কিংবা কানসাট এর মতো ঘটনা বিচ্ছিন্ন কিছু - এটাই কামনা করবো - স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রখন্ডে মতের প্রতিফলন করার জন্যে জনমানুষেরই অর্থে পরিচালিত শৃঙ্খলাবাহিনীর মুখোমুখি হতে হবে - এটা কারও আশা হতে পারে না ।

ও, স্যরি - আমি এই রাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত নাগরিক কি না - সে ব্যাপারে কোন সমর্থন আমার কাছে নেই - আমার ভোটাধিকার নেই - আর থাকলেই বা কী করতাম ?

কাকেই বা ভোট দিতাম ?