বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩০, ২০০৬
শুক্রবার, মার্চ ২৪, ২০০৬
না আঁকা একটা ছবি
একটা ছবি আঁকতে ইচ্ছে করছে ।
যান্ত্রিকতার মাঝে সামান্য নির্মল নীল মিশিয়ে ; আর্টিফিশিয়াল শব্দকে ছাপিয়ে একটা টুং টাং - নূপুর ? নূপুর নয় বোধহয় পিঠে বাঁধা ছোট্ট ব্যাগে ঝুলতে থাকা ছোট্ট একটা ভালুকের সাথে ছোট্ট একটা বেল । টুং টাং টুং টাং ......
বিবর্ণ মেঘের মাঝে হেসে ওঠা একটা সাজানো সুরের রংধনু
ছোট্ট একটা মানুষ, ছোট্ট হাতটা বাঁধা একটা বড় হাতের সাথে :: হেঁটে চলে যায় । নির্ভরশীল একটা সেতু ; না, ভেঙে পড়ে কখনো কখনো ; সব্বাই যখন বড় হয়ে যায় ::
একজন আহত মানুষ, সাথে আরেকজন , বন্ধনে জড়ানো সম্ভবতঃ সদ্য অথবা অনেকদিনের - তাতে কিছু যায় আসে না - বর্তমানটাই আসল । আর স্থিরচিত্রে সময়টা কোন ফ্যাক্টর নয় ।
একটা ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড, একগাদা সংখ্যা এবং লোগোগ্রাম এর প্রবাহ - অর্থপূর্ণ :: অপেক্ষায় থাকা একদল মানুষ - কখন লোগোগ্রামের প্রবাহে নিজের নম্বরটা ভেসে উঠবে ::
ঘুমজড়ানো আমিও সে দলে , অনেকদিন পর সকাল দেখা । বড্ড ঘুমুতে ইচ্ছে করছে ~ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে - টুং টাং টুং টাং ......
সামনে আরেকটা ছোট ডিসপ্লে বোর্ড, একটা নাম লেখা । ছবিটা শেষ এখানেই ।
আজকের দিনের সবটুকু শ্রদ্ধা এই ডিসপ্লে বোর্ডে লেখা নামের মানুষটার প্রতি , হয়ত কখনো আর দেখা হবে না , হয়ত হতেও পারে পথচলতি কোন সরলরেখায় , কে জানে ? দেখা হোক আর নাই হোক, ছবিটা এই মানুষটাকে উতসর্গ ~
ছবিটা আঁকা হবে না , আমি জানি : আমি ছবি আঁকতে পারি না , পুরো স্কুলজীবনে এই একটা বিষয়ে আমাকে প্রায় এমনি মার্কস দিয়ে দেয়া হতো অন্ততঃ আমার তাই ধারণা : অন্য প্রায়-সব বিষয়ের সাথে ড্রইং এর নম্বরটা ভালো দেখাত না , সেজন্যে হবে হয়ত~
যান্ত্রিকতার মাঝে সামান্য নির্মল নীল মিশিয়ে ; আর্টিফিশিয়াল শব্দকে ছাপিয়ে একটা টুং টাং - নূপুর ? নূপুর নয় বোধহয় পিঠে বাঁধা ছোট্ট ব্যাগে ঝুলতে থাকা ছোট্ট একটা ভালুকের সাথে ছোট্ট একটা বেল । টুং টাং টুং টাং ......
বিবর্ণ মেঘের মাঝে হেসে ওঠা একটা সাজানো সুরের রংধনু
ছোট্ট একটা মানুষ, ছোট্ট হাতটা বাঁধা একটা বড় হাতের সাথে :: হেঁটে চলে যায় । নির্ভরশীল একটা সেতু ; না, ভেঙে পড়ে কখনো কখনো ; সব্বাই যখন বড় হয়ে যায় ::
একজন আহত মানুষ, সাথে আরেকজন , বন্ধনে জড়ানো সম্ভবতঃ সদ্য অথবা অনেকদিনের - তাতে কিছু যায় আসে না - বর্তমানটাই আসল । আর স্থিরচিত্রে সময়টা কোন ফ্যাক্টর নয় ।
একটা ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড, একগাদা সংখ্যা এবং লোগোগ্রাম এর প্রবাহ - অর্থপূর্ণ :: অপেক্ষায় থাকা একদল মানুষ - কখন লোগোগ্রামের প্রবাহে নিজের নম্বরটা ভেসে উঠবে ::
ঘুমজড়ানো আমিও সে দলে , অনেকদিন পর সকাল দেখা । বড্ড ঘুমুতে ইচ্ছে করছে ~ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে - টুং টাং টুং টাং ......
সামনে আরেকটা ছোট ডিসপ্লে বোর্ড, একটা নাম লেখা । ছবিটা শেষ এখানেই ।
আজকের দিনের সবটুকু শ্রদ্ধা এই ডিসপ্লে বোর্ডে লেখা নামের মানুষটার প্রতি , হয়ত কখনো আর দেখা হবে না , হয়ত হতেও পারে পথচলতি কোন সরলরেখায় , কে জানে ? দেখা হোক আর নাই হোক, ছবিটা এই মানুষটাকে উতসর্গ ~
ছবিটা আঁকা হবে না , আমি জানি : আমি ছবি আঁকতে পারি না , পুরো স্কুলজীবনে এই একটা বিষয়ে আমাকে প্রায় এমনি মার্কস দিয়ে দেয়া হতো অন্ততঃ আমার তাই ধারণা : অন্য প্রায়-সব বিষয়ের সাথে ড্রইং এর নম্বরটা ভালো দেখাত না , সেজন্যে হবে হয়ত~
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৬, ২০০৬
ভালো থাকা
আশা । আমরা কি আশা করবো ? আশা খুব প্রশংসিত , আশার প্রশংসায় পৃথিবী পঞ্চমুখ , কিন্তু আশার কিছু নেই পৃথিবীতে , আশা করার স্থান নয় জীবন । স্থূল জীবন যাপনের জন্যে স্থূল ছোটো ছোটো আশা আমরা করে থাকি , ভুলে থাকি জীবনের বিশাল আশাহীনতাকে ; কিন্তু যদি আশা করি যে জীবনের নিরর্থকতাকে অতিক্রম করতে পারবো , তাহলে জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তুলি না , বরং আত্মহত্যা করি দার্শনিকভাবে ।
:::: "আমার ইন্দ্রিয়গুলো" - হুমায়ুন আজাদ
ভালো আছি ... আমরা সবসময় যেমনটা বলি তেমন ভালো থাকা~
ভালো থাকা র কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে কি ? নিজের জগতের অন্যের সাথে তুলনা মস্তিষ্ককে হয়তো বা ভালো থাকার অনূভুতি দেয় , জীবনের ক্লান্তিকর পুনরাবৃত্তি :: ইন্দ্রিয়ের সুখ এর প্রাচুর্য কিংবা রোববার এর পর সোমবার- এভাবে হয়তবা একটা আকার আমরা নিজেরাই তৈরি করি , সংজ্ঞায়িত করি ভালো থাকা কে এবং সেই মানদণ্ডে ফেলে দিই নিজেকে ।
নিজেরাই সেই মানদণ্ডের স্কেলটা বদলে ফেলি , একই অবস্থায় রোববারে নিজেকে সুখী মনে করলেও নিজেদের তৈরি করা বদলে যাওয়া মাপকাঠিতে নিজেরাই অসুখী হই এবং সোমবারে ভালো থাকি না ।
ব্যাপারটা বোধহয় অনেকটা Nerve Block Therapy** র মত ।
অর্থহীন মাপকাঠি দিয়ে মূল্যায়ন করতে হয় যে জীবন - সে জীবনে বাঁধা পড়া - নিজেকে মাঝেমধ্যে ল্যাবরেটরীতে আটকা পড়া গিনিপিগের চেয়ে বেশি কিছু মনে হয় না ।
** শরীরে কোন নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যথা কমিয়ে দেয়ার জন্যে অনূভুতি নাশক দিয়ে ব্যথা-অনুভূতির স্কেল উপরে বাড়িয়ে তোলা , স্কেলের সীমা বাড়িয়ে অনুভূতি মস্তিষ্কে পৌঁছাতে বাধা দেয়া :: ব্যাপারটা এককথায় সম্ভবতঃ এরকম - আমি মেডিক্যাল সায়েন্স পড়িনি - কাজেই আমার ব্যাখ্যাটা হয়ত অসম্পূর্ণ :: তবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ব্যাপারটার সাথে আমার পরিচয় **
:::: "আমার ইন্দ্রিয়গুলো" - হুমায়ুন আজাদ
ভালো আছি ... আমরা সবসময় যেমনটা বলি তেমন ভালো থাকা~
ভালো থাকা র কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে কি ? নিজের জগতের অন্যের সাথে তুলনা মস্তিষ্ককে হয়তো বা ভালো থাকার অনূভুতি দেয় , জীবনের ক্লান্তিকর পুনরাবৃত্তি :: ইন্দ্রিয়ের সুখ এর প্রাচুর্য কিংবা রোববার এর পর সোমবার- এভাবে হয়তবা একটা আকার আমরা নিজেরাই তৈরি করি , সংজ্ঞায়িত করি ভালো থাকা কে এবং সেই মানদণ্ডে ফেলে দিই নিজেকে ।
নিজেরাই সেই মানদণ্ডের স্কেলটা বদলে ফেলি , একই অবস্থায় রোববারে নিজেকে সুখী মনে করলেও নিজেদের তৈরি করা বদলে যাওয়া মাপকাঠিতে নিজেরাই অসুখী হই এবং সোমবারে ভালো থাকি না ।
ব্যাপারটা বোধহয় অনেকটা Nerve Block Therapy** র মত ।
অর্থহীন মাপকাঠি দিয়ে মূল্যায়ন করতে হয় যে জীবন - সে জীবনে বাঁধা পড়া - নিজেকে মাঝেমধ্যে ল্যাবরেটরীতে আটকা পড়া গিনিপিগের চেয়ে বেশি কিছু মনে হয় না ।
** শরীরে কোন নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যথা কমিয়ে দেয়ার জন্যে অনূভুতি নাশক দিয়ে ব্যথা-অনুভূতির স্কেল উপরে বাড়িয়ে তোলা , স্কেলের সীমা বাড়িয়ে অনুভূতি মস্তিষ্কে পৌঁছাতে বাধা দেয়া :: ব্যাপারটা এককথায় সম্ভবতঃ এরকম - আমি মেডিক্যাল সায়েন্স পড়িনি - কাজেই আমার ব্যাখ্যাটা হয়ত অসম্পূর্ণ :: তবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ব্যাপারটার সাথে আমার পরিচয় **
মঙ্গলবার, মার্চ ১৪, ২০০৬
মৃত্যু
কাকেরা রোজ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে
অন্য একটা কাকের মৃত্যু,
নিজের খাবারের অংশ বাড়বে এই প্রতীক্ষায় ::
খাবারে ভীষণ টান
নতুন নতুন আইন, নতুন ব্যবস্থা
রাস্তা-উঠোন ধুয়েমুছে রাখে সব্বাই ;
দূর্ভিক্ষ না এসে যায় এবার - বলে সবচেয়ে বয়েসি কাকটা
সেবারের মত, সেই সেবার ..... গল্পে কান দেয়না কেউ
দূরে আরেকটা জটলা ,
কোনও মৃত্যু , খাবারের ভাগাভাগি অথবা কোন বিবাদ
প্রথমটা হলে কোনও লাভ নেই যদিও
আজকাল কাকের মৃত্যু
খাবারের বরাদ্দ বাড়ার কোন নিশ্চয়তা দেয় না ।
অন্য একটা কাকের মৃত্যু,
নিজের খাবারের অংশ বাড়বে এই প্রতীক্ষায় ::
খাবারে ভীষণ টান
নতুন নতুন আইন, নতুন ব্যবস্থা
রাস্তা-উঠোন ধুয়েমুছে রাখে সব্বাই ;
দূর্ভিক্ষ না এসে যায় এবার - বলে সবচেয়ে বয়েসি কাকটা
সেবারের মত, সেই সেবার ..... গল্পে কান দেয়না কেউ
দূরে আরেকটা জটলা ,
কোনও মৃত্যু , খাবারের ভাগাভাগি অথবা কোন বিবাদ
প্রথমটা হলে কোনও লাভ নেই যদিও
আজকাল কাকের মৃত্যু
খাবারের বরাদ্দ বাড়ার কোন নিশ্চয়তা দেয় না ।
মঙ্গলবার, মার্চ ০৭, ২০০৬
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)