শুক্রবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০০৫

দুই-শূন্য-শূন্য-পাঁচ

ভীষণ বিরক্তিকর কিছু দিন, প্রায় একই রুটিন :: সকালে ২-৩ধাপে ভাঙা ঘুম, ইচ্ছে করে দেরি করে বিছানা ছাড়া :: সংক্ষিপ্ত রান্না, সারাক্ষণ বকবক করতে থাকা বোকার বাক্স :: কৃত্রিম উষ্ণতায় ভুলতে চেষ্টা করা অপ্রিয় আবহাওয়া ::
জমা হয়ে থাকা অ্যাসাইনমেন্ট এর পাহাড় , Oscilloscope থেকে তোলা ছবি কোনটা কিসের অনেক কষ্টের পরও মনে করতে না পারা এবং ডেডলাইন পার করেও আপাততঃ অলসতায় গা ভাসানো ::

থেমে যাওয়া সময় :: অলস দিন :: অলস বিদায় আরেকটা সৌরবর্ষকে ।

দুই-শূন্য-শূন্য-পাঁচ :: পারিপার্শ্বিকতার বদলে যাওয়া, বদলানোর চেষ্টা নিজেরও - মানবিক সম্পর্কগুলোর দ্বিমাত্রিক হয়ে ওঠা, বাস্তবতা হয়ে ওঠা মনোক্রোম এবং গোজাঁমিল দিয়ে কোনওভাবে মিলিয়ে ফেলা বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান আসলে বাগ্ মুক্ত নয় - বিলম্বিত উপলব্ধি ।

আরেকটা নতুন বছর , আবার জানুয়ারি এবং মকর রাশি হিসেবে ২০ এর সংখ্যারেখার আরেকটা ঘর পার করে ফেলা :: বছরের প্রথম তিন মাসে যারা জন্ম নেয়, তারা অন্যদের থেকে বোকা হয় - এরকম একটা সমীক্ষা ফলাফল দেখে সংখ্যাতত্ত্বে অবিশ্বাসী আমারও বিশ্বাসী হয়ে ওঠা~

দুই-শূন্য-শূন্য-ছয় :: প্রত্যাশা - সবার ভালো হোক :: বিশেষতঃ চারপাশের মানুষগুলোর ..... সবকিছু হয়ে উঠুক অর্থপূর্ণ !

রবিবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০০৫

পথ হারিয়ে


গন্তব্য :: পথ হারিয়ে তীরের পথে ~ Posted by Picasa

শনিবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০০৫

গেম !

ভয় করে মনে হয় এ মুহূর্ত বুঝি সত্য নয়,
যেমন অসত্য ছিলো, দীর্ঘ গতকাল
যেমন অসত্য হবে অনন্ত আগামী
:::: নবনীতা দেবসেন :: পাণিগ্রহণ


আমরা যখন স্কুলে , ক্লাস সিক্স বা সেভেনে :: পার্সনাল কম্পিউটার তখনও পার্সনাল কোন কিছু হয়ে ওঠেনি :: মাইক্রোসফট বা উইন্ডোজ :: ( তখনও ৩.১ বোধহয় ) - এই জাতীয় কোন শব্দের সাথে পরিচিতি থাকারও কোন প্রশ্ন আসেনা

একটা সময়ে দেখতাম বন্ধুরা বেশিরভাগ টিফিন এর সময়টা স্কুল থেকে উধাও ; মোটামুটি সবাইকে পাওয়া যেত ছোট-ছোট নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা দোকানে , খটখট শব্দ আর শত্রু বিনাশের উল্লাস ভিডিও গেম বুম :: আমাদের স্কুলের চারপাশেই কমপক্ষে ১০-১২টা দোকান ছিল :: স্কুল ড্রেস পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে সারাদিন গেম খেলা - আর মাঝে মধ্যে বেশি সচেতন বাবা-মা কারও হাতে ধরা খেয়ে যাচ্ছেতাই শারীরিক শাস্তি -এরকম বন্ধুরও অভাব ছিল না

তারপর একটা সময় পরে অন্য সবকিছুর মত আপনাআপনিই ব্যাপারটা উধাও হয়ে যায়

ইদানীং কালের ভার্চুয়াল গেম গুলো এত বাস্তব আর বিশ্বাসযোগ্য, আর সত্যিকারের দৈনন্দিন সিম্যুলেশন করে বানানো , যে মাঝে মধ্যে মুগ্ধ হয়ে যাই :: পিএসপি (Play Station Portable - Sony) বা নিনতেনদো ডিএস(Dual Screen - Nintendo) নিয়ে ভার্সিটির ক্লাসের ফাঁকে মগ্ন হয়ে যাওয়া কাউকে দেখলে আর অবাক হই না

মাঝেমধ্যেই নিজেকে কোন ভার্চুয়াল গেমের চরিত্র মনে হয়, ভেবে পাই না এই গেমে নিজের ভূমিকা ::

না, ভূমিকা ভেবে চরিত্র রূপায়নের কোন প্রয়োজনও নেই :: আমাদের চরিত্রও প্রোগ্রামড্ সম্ভবতঃ, কে জানে ? কেবল আমরা 'খেলবো না এ খেলা' বলে বেঁকে না বসলেই হলো ~

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০০৫

রাজনৈতিক

বাইরে সময়সূচী না মেনে চলা শীত ::
শারীরিক অসুস্থতা, আলস্য ভরা একটা লম্বা সময় :: কোন পোস্টিং করা হয় নি ।
প্রায় ঘুমিয়ে কাটিয়েছি ৩-৪ দিন, সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙার পর আবার শুয়ে পড়া - একরকম অস্বাভাবিক জীবনযাপন ::
নিজের কথা লেখা বাদ দিই

আমাদের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী হিন্দু জঙ্গিবাদ বলে একটা নতুন টার্ম আমাদের উপহার দিয়েছেন এবং অবস্থা বেগতিক দেখে আবার ঢোক গিলেছেন আমরা এর আগে পার্থ সাহা নামের একজনকে পেয়েছিলাম , এবার পেলাম একজন আত্মাকে ::

হ্যা, অবশেষে তিনি বলার মত কিছু সাফল্য পেয়েছেন ; ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদকে মূলমন্ত্র করে গড়ে ওঠা একটা সংগঠন ছোটখাটো ধাক্কায় হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে, এমনটা আশা করার মত কোন কারণ নেই ::

রাজনীতিবিদ দের কি মিথ্যে এবং উদ্দেশ্যমূলক কথা বলাটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায় ? গতকাল মিঃ বুশ ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে ভুল তথ্যের কথা স্বীকার করেছেন :: তিনি যে প্রথম থেকেই মিথ্যে বলছেন না - আমাদের এটা বিশ্বাস করানোর জন্যে এরপর তিনি কী বলবেন ? আমেরিকানরা এই লোকটাকে সহ্য করে কীভাবে ? অবশ্য ব্যাপারটা অস্বাভাবিক নয় সম্ভবতঃ ..

রাষ্ট্রনীতি এবং রাজনীতি বিষয়ক সমালোচনা এখানেই বন্ধ করি এতক্ষণে মনে হল , কাল ১৬ই ডিসেম্বর

যখন পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের নিয়ে নিজামী বা মুজাহিদ নামের কোন যুদ্ধাপরাধী জাতীয় পতাকা উড়িয়ে ঘুরে বেড়ান , তখন দিনটা ভুলে যাওয়াই ভাল ::

শনিবার, ডিসেম্বর ০৩, ২০০৫

ঈশ্বরই জানেন

নিউজ সাইটগুলোর আপডেট দেখতে এখন ভয় হয়, Breaking news হিসেবে 'B' আদ্যাক্ষরের লম্বা কোন শব্দ দেখলেই জাগে অজানা আশংকা !
আমাদের অনুভূতি সত্তা বোধহয় অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, তবে সম্ভবতঃ মরে যায়নি

ধর্মবিশ্বাস ব্যাপারটা অনেকটা মাদকের মত, আর ধর্মব্যবসায়ীরা মাদক বিক্রেতা - না, উপমাটা হয়তবা সাধারণভাবে ধর্ম বিশ্বাস করে জীবনযাপন করেন এমন কারও কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে , কিন্তু ব্যাপারটা তাই - অন্ততঃ আমি তাই মনে করি প্রবলভাবে ধর্মবিশ্বাসী ( না, আমি জঙ্গিবাদী অর্থে বলছি না, সাধারণ মানুষ) কাউকে দেখলে আমার তাই মনে হয়

আমি ব্যক্তিগতভাবে এরকম বেশকিছু মানুষ দেখেছি:: আমাদের সমাজ, যেখানে ধর্ম কোনো ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, বরং ধর্ম পালন করলে ভাল মানুষের দলে ফেলা হয় - সেখানে এরকম মানুষের অনেক আচরণ আমি বুঝতে পারি না ; কখনো লোকদেখানো মনে হয় , কখনো উপরের উপমাটা মনে পড়ে :: এমনকি শিক্ষিত এবং দায়িত্বশীল অবস্থানের মানুষও আছেন তাদের মধ্যে ~

আমি অনেককেই কারো সম্পর্কে বলতে শুনেছি "লোকটা ভালো, নামাজ-কালাম পড়ে ......" নামাজ-কালাম পড়া ভালো লোক হওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত শর্ত ?

আর অর্ধশিক্ষিত, বঞ্চিত মানুষকে তো ধর্মের কথা বলে সহজেই বিভ্রান্ত করা যায় :: কাজেই আমাদের দেশে যা ঘটছে সেটা রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা, সমাজকাঠামোর অসারতার উপস্থাপন, নয় কি?

ধর্মে অন্ধ সব মানুষের জন্য এখন করূণা ছাড়া আর কিছু বোধ হচ্ছে না

কিন্তু, এখন কী করার আছে, আমাদের দক্ষ এবং বুদ্ধিমান শাসকদের ? যারা নিজেরাই ধর্মব্যবসায়ী পালন করেন ক্ষমতায় থাকার জন্য !

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের জন্যে ভিভিআইপি নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে আমাদের স্বজন এবং সুহৃদ দের তারা কী নিরাপত্তা দেবেন ?
আমরা শুধুই পার্সন ?(কোনো বিশেষণ ছাড়া ) , কিংবা যারা ভিভিআইপি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন, তাদের নিরাপত্তা দেবে কে ?
ঈশ্বরই জানেন !