রবিবার, অক্টোবর ০২, ২০০৫

কেমন আছি?

অলস একটা সপ্তাহ কাটাচ্ছি, প্রায় কর্মহীন :: আগামীকাল থেকে নতুন সিমেস্টার , তবে তেমন কোন চাপ অনুভব করছি না কারণ , শেষ সিমেস্টার পর্যন্ত যা ক্রেডিট যোগাড় হয়েছে তাতে প্রায় যথেষ্ট মনে হচ্ছে এবং এর বেশি পড়াশোনার আগ্রহ অনুভব করছি না নিজের মধ্যে

শেষ সিমেস্টারের রেজাল্ট হয়েছে প্রায় ভূতুড়ে :: যে কোর্সে পাস মার্কই পাবোনা ধরে বসেছিলাম , সেটাতে ফুল মার্কস :: আর যেটাতে অবশ্যই :এ: পাবো আশা করছিলাম সেটা কোনভাবে পাস করেছি - নিজের কাছেই অর্থহীন মনে হচ্ছে ::
সে যাইহোক, রেজাল্ট নিয়ে এত মাথা ঘামানোর দিন অনেকদিন আগেই পেরিয়ে এসেছি, কাজেই সে গল্প এখানেই শেষ


*********************************************************

আজকাল কোন কিছুতেই খুব একটা আগ্রহ অনুভব করি না , বাংলা খবরের কাগজও এক নজর মেইন পেজ দেখে বিস্তারিত না পড়েই ব্রাউজার বন্ধ করে ফেলি :: কয়েকদিন আগে বুয়েটে পূজার ছুটি নিয়ে হৈ-চৈ এর খবর পড়ে খারাপই লাগল অবশ্য তথাকথিত সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনেও বন্ধুরা আছে , আছে ছোট বাম সংগঠনেও :: কাজেই বন্ধুরাই বন্ধুদের মারপিট করছে - সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় তার ছবি দেখতে ভাল্লাগবেনা অবশ্যই । ( আমি তথাকথিত শব্দটা ব্যবহার করছি কারণ বুয়েটের রাজনীতিকে আমাদের দেশের ছাত্র রাজনীতির সত্যিকার চেহারার সাথে এক করে দেখাটা বোধহয় ঠিক হবেনা )

আমি দায়ী করবো প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ; আমি স্বল্প সময় বুয়েটে ছিলাম :: সেই একটা টার্মেই (২০০১ এর শেষার্ধ ) পরীক্ষা পেছানোর মত ক্ষুদ্র ব্যাপার নিয়ে তাঁরা যেরকম কাণ্ড করেছিলেন এবং সাধারণত যেমনটা তারা করে থাকেন তাতে মনে হতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাঁদের শত্রু

আসলে সমস্যাটা বোধহয় অন্য জায়গায় , আমাদের দেশে যার যে আসনে বসার যোগ্যতা থাকেনা তাকে সেখানে বসানো হয় ; ব্যাপারটাকে প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ নাম দিয়েছিলেন স্থানচ্যুতির অস্থিরতা :: তাঁর একটা প্রবন্ধ পড়ছিলাম ;

"একটা রোগ বাঙালির আগে ছিল না ; কিন্তু গত দু-দশকে উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছে ওই রোগটির , যার নাম 'স্থানচ্যুতির অস্থিরতা বা বৈকল্য' ব্রিটিশ পর্বে বাঙালি জানতো সমাজে তার স্থান কোথায় , সে চাষী হবে , না হবে দারোগা , না কেরানি , না মেজিস্ট্রেট ? পাকিস্তানপর্বেও জানতো কী হতে পারে সে .....


.....যার হওয়ার কথা ছিলো , বা সুখী বোধ করতো নিম্নপদস্থ হয়ে , সে হঠাত্ একদিন নিজেকে দেখতে পাচ্ছে উচ্চপদে ; যে কেরানিও হতে পারতো না , সে মন্ত্রণালয়ের প্রভু হচ্ছে ; যার কথা ছিলো অসরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার , সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো অধ্যাপক হচ্ছে যার বাসে ঝোলার কথা ছিলো , সে হঠাত্ হয়ে উঠছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ফলে চারদিকে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে পদ আর ব্যক্তিটির মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি হচ্ছে না , পদটিকে মনে হচ্ছে ব্যক্তির ওপরে , বা ব্যক্তিটির মাথার ওপর চেপে আছে পদটি চারপাশে এখন দেখা যাচ্ছে স্থানচ্যুতি রোগটি তাই কোথাও কিছু চলছে না ঠিক মতো চারদিকে বিকলন । "

আমাদের দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্তাব্যক্তিদের আচরণ দেখলে ব্যাপারটা এমনিতেই বোঝা যায় দায়িত্বশীল পদে আসীন হলে কথাও যে দায়িত্ব নিয়ে বলতে হয় এই ক্ষুদ্র ব্যাপারটাও কেউ জানেন বলে মনে হয় না

(::: মাঝের অংশটুকু বাঙালি : একটি রুগ্ন জনগোষ্ঠি ? প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত :::)

২টি মন্তব্য:

Jibonjatri বলেছেন...

could you give us a short and conicse tutorial on how to blog in Bangla!
Thanks

সৌরভ বলেছেন...

why not?
here it goes..

http://how-to-blog-in-bangla.blogspot.com/

thanks for stopping by!