শুক্রবার, অক্টোবর ২৮, ২০০৫

দন্ত্য ন অণুকাব্য

ঘটনাহীন, প্রায় ব্যস্ত একটা সপ্তাহ
এই টার্মে অ্যাসাইনমেন্ট বেশি, এবং বেশিরভাগই ভীষণ ঝামেলার :: ক্লাসে ঘুম পায়, তবে ঘুমাই না খুব একটা ; লজ্জ্বার ব্যাপার লেকচার এর মাঝে ঘুমিয়ে পড়া :: ঘুম পেলে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলেই হয় , ঘুমানোর জন্যে ক্লাসে বসে থাকাটা অর্থহীন

ইদানীং পড়ছি দন্ত্যস রওশন এর অণুকাব্যসমগ্র :: ভীষণ মজার , ভদ্রলোকের নামটা অদ্ভূত, (প্রকৃত নাম নয় অবশ্যই! ) অণুকাব্য ব্যাপারটা নতুন, না-কবিতা, না-ছড়া ; একটু ঝাল, একটু মিষ্টি

আমায় দেখে
দরোজা দিলে, একি
তাই তো তোমায়
জানালা দিয়ে দেখি

কিংবা ,
বরাবরই সে বসত
একদম লাস্ট বেঞ্চে
আমার চাকরি হলো
তারই রেফারেন্সে


আরেকটা আছে এরকম ::
যে দেশে ভালো সরকার নেই
সে দেশে থাকার দরকার নেই

<<দন্ত্যস রওশনের অণুকাব্যসমগ্র :: সময় , প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০০৫ >>

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২০, ২০০৫

বুধবার, অক্টোবর ১৯, ২০০৫

অধন্যাত্মক দিন!

প্রায় এক সপ্তাহ পর ব্লগে অ্যাকসেস করছি, সময়টা ভাল যাচ্ছে না :: একটা লম্বা ব্যাড প্যাচ , কাটিয়ে উঠতে পারছি না

দুদিন ধরে বৃষ্টি, একেবারে টিপিক্যাল জাপানি শারদীয় বর্ষণ সারাদিন ; টিপটিপ ও নয়, ঝমঝমও নয় ; (ধন্যাত্মক শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না এই মুহূর্তে ) , কী বলা যায় , রিনরিন ? ঝিমঝিম ?

সবকিছু বিট্রে করছে :: এমনকি যন্ত্রও , মেইলে প্রোগ্রামিং এর অ্যাসাইনমেন্ট পাঠানোর কিছুক্ষণ পর একটা কনফার্মেশন-রিপ্লে আসার কথা :: আজকে খেয়াল করলাম গত দু সপ্তাহ ধরে অন্য সবার সেটা ঠিকই আসছে, আমার আসছে না ; মজা লাগল ভীষণ অটো-রিপ্লে প্রোগ্রামে কিছু একটা বাগ আছে সম্ভবত , আর সেটার একমাত্র শিকার আমার অসহায় লগইন ID ; পড়াশুনা বলতে অ্যাসাইনমেন্ট টাই করি, সেটাতেও বাগড্ হয়ে গেলে কী আর করা !

সন্ধ্যায় ভার্সিটিতে একটা পিছলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধুপ করে পড়ে গেছি, এখনও পা ব্যথা করছে :: আজকে আমার জন্যে নিশ্চয়ই কেউ শুভ কামনা করছে ; নইলে আরো খারাপ ভাবে পড়তেও পারতাম, কে জানে ?

বৃষ্টির একটা উপমা মনে পড়ছে এই মুহূর্তে :: কাক-ভেজানো বৃষ্টি ; ..... না এটাও বোধহয় ভুল হলো !

*****************************************

আমরা আবারও প্রথম হয়েছি ! অভিবাদন (!!!) সবার জন্যে ..

সোমবার, অক্টোবর ১০, ২০০৫

শিরোনামবিহীন

কাল প্রায় সারাদিনই বাইরে, সন্ধ্যায় ইনভাইটেশন ছিল এক সিনিয়রের বাসায় ; দেখাও হলো সবার সাথে অনেকদিন পর, শু, সু, অ ভাইয়া, র ভাইয়া :: ভাল লাগল কিছুটা সময়

বাসায় ফিরেছি ১০টার পরে, ঘুমিয়ে পরেছিলাম ট্রেনে :: আমার স্টেশনে এসে ঠিকই ঘুম ভেঙে গেছে অবশ্য এর আগে ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়ে নিজের স্টেশন পার করে চলে গেছি বেশ কয়েকবার সারাদিন মেঘলা, সামান্য বৃষ্টি ; ঠাণ্ডা ভাব, সবার পোষাকে শীতের ভাব, যদিও সময়টা এখনও ফল ::

শেষ পোস্টিং** টাতে অন্ধকার :: সেজন্যে ক্ষমাপ্রার্থী

আজ সারাদিন বৃষ্টি, ছুটির দিন , Health Sports Day :: একটা বিরক্তিকর অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে মাথা ব্যথা হয়ে গেছে, যেটা সাবমিট করতে হবে আগামীকাল সকালে ::

টিভির নিউজ প্রোগ্রামে এ প্রায় সবটা সময় পাকিস্তানের ভূমিকম্পের চিত্র আর বিশ্লেষণ :: ধ্বংসস্তুপের পাশে বসে আত্মজনের জন্যে প্রতীক্ষায় এক তরুণী বলছেন , "I have no grief, no sorrow; no hope even!" :: কথাটা এখনো কানে বাজছে
পুরো একটা প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে গেছে - এরকম শিরোনাম দেখলাম বিবিসি সাইটে :: আমরা কতটা অসহায় !

**এই মূহুর্তে অপ্রকাশিত - as on Nov 18-2005

রবিবার, অক্টোবর ০৯, ২০০৫

ভীষণ

বিভিন্ন কারণে মন খারাপ ভীষণ, ১০ স্কেলে বললে ৮/৯ এর কাছাকাছি

আজ একা একা অনেক দূর হেঁটে চলে গেছি, উদ্দেশ্যহীন ::
বিকেল পাঁচটায় রোজকার বাজনার শব্দ, বাস্কেটবল কিংবা বেসবল খেলে বাড়ি ফেরা স্কুলের বাচ্চারা ; কিংবা বাচ্চা কোলে তরুণ মা
কোন দিকে ভ্রক্ষেপ নেই, একা একা চুপচাপ বসে ছিলাম অনেকটা সময়, ভাবনাহীন ::
ভীষণ কাঁদতে ইচ্ছে করছিল, ইচ্ছে করছিল এই অসময়ের বৃষ্টিতে ঠান্ডা লাগানোর ;
যদিও ১৮ পেরোনোর পর কেঁদেছি বলে মনে পড়ে না ।

প্রায় মৃত একজন হয়ে আছি ১০ স্কেলে বললে মাত্রাটা ৬ এর উপরে ::

::এই পোস্টিং অসম্পূর্ন; হয়ত শেষ করবো আরেকদিন ::

বুধবার, অক্টোবর ০৫, ২০০৫

আদরের নৌকো

ভেসে যায় আদরের নৌকো, তোমাদের ঘুম ভাঙে কোলকাতা'য়
হ্যালোজেন বৃষ্টিতে ; রঙ লিখে ঘর পাঠায়
ভিখিরিরা স্বপ্ন পায় , তুষারের রাজধানী ধুয়ে যায় জোসনায় ;


ধুয়ে যায় আদরের পথঘাট , ভেসে যায় আরামের অঞ্চল
রেলিঙের ঘুমঘোরে ; টুপ করে কাঁদলো জল
ডানাভাঙা একলা কাক, পথ ভেসে থাক, একলাটি থাক


এই জন্মের রেলগাড়িরা যায়, জলপরী হাত ধূলো হাওয়ায়
হাওয়াকে ; এসে আঁকে তালডানায়
এই নরম চুল , ধূলোর ফুল , যায় ভেসে যায়


ভেসে যায় আদরের নৌকো, ভেসে যায় সোহাগের শামপান,
সিগারেট টুকরো রা, মুখচোরা শিখছে স্নান
দড়িঘেঁরা বালিস্তুপ, জোনাকির রূপ, বুকে নিয়ে চুপ


এই জন্মের রেলগাড়িরা যায়, জলপরী হাত ধূলো হাওয়ায়
হাওয়াকে ; এসে আঁকে তালডানায়
এই নরম চুল, ধূলোর ফুল, যায় ভেসে যায়


ভেসে যায় আদরের নৌকো, তোমাদের ঘুম ভাঙে কোলকাতায়
হ্যালোজেন বৃষ্টিতে ; রঙ লিখে ঘর পাঠায়
ভিখিরিরা স্বপ্ন পায় , তুষারের রাজধানী ধুয়ে যায় জোসনায় ;


"আদরের নৌকো" :: গান : চন্দ্রবিন্দু :: অ্যালবাম এবং প্রকাশকাল : জানা নেই

এই গানটা ভীষণ অদ্ভূত, গত কয়েকদিনে সবচেয়ে বেশিবার শোনা ; হয়ত অর্থহীন কিন্তু উপমাগুলো কেমন যেন মন কেড়ে নেয় , বহুবার শুনলেও আবার শুনতে ইচ্ছে করে

:::: কৃতজ্ঞতা : আমাদের গান ডট কম, গানের লিন্ক এর জন্যে ::


নভেম্বর ১২, ২০০৫ :: সম্ভবত: উপরের লিন্কটা এখন আর কাজ করছে না , আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে নতুন লিন্ক:: আদরের নৌকো

রবিবার, অক্টোবর ০২, ২০০৫

কেমন আছি?

অলস একটা সপ্তাহ কাটাচ্ছি, প্রায় কর্মহীন :: আগামীকাল থেকে নতুন সিমেস্টার , তবে তেমন কোন চাপ অনুভব করছি না কারণ , শেষ সিমেস্টার পর্যন্ত যা ক্রেডিট যোগাড় হয়েছে তাতে প্রায় যথেষ্ট মনে হচ্ছে এবং এর বেশি পড়াশোনার আগ্রহ অনুভব করছি না নিজের মধ্যে

শেষ সিমেস্টারের রেজাল্ট হয়েছে প্রায় ভূতুড়ে :: যে কোর্সে পাস মার্কই পাবোনা ধরে বসেছিলাম , সেটাতে ফুল মার্কস :: আর যেটাতে অবশ্যই :এ: পাবো আশা করছিলাম সেটা কোনভাবে পাস করেছি - নিজের কাছেই অর্থহীন মনে হচ্ছে ::
সে যাইহোক, রেজাল্ট নিয়ে এত মাথা ঘামানোর দিন অনেকদিন আগেই পেরিয়ে এসেছি, কাজেই সে গল্প এখানেই শেষ


*********************************************************

আজকাল কোন কিছুতেই খুব একটা আগ্রহ অনুভব করি না , বাংলা খবরের কাগজও এক নজর মেইন পেজ দেখে বিস্তারিত না পড়েই ব্রাউজার বন্ধ করে ফেলি :: কয়েকদিন আগে বুয়েটে পূজার ছুটি নিয়ে হৈ-চৈ এর খবর পড়ে খারাপই লাগল অবশ্য তথাকথিত সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনেও বন্ধুরা আছে , আছে ছোট বাম সংগঠনেও :: কাজেই বন্ধুরাই বন্ধুদের মারপিট করছে - সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় তার ছবি দেখতে ভাল্লাগবেনা অবশ্যই । ( আমি তথাকথিত শব্দটা ব্যবহার করছি কারণ বুয়েটের রাজনীতিকে আমাদের দেশের ছাত্র রাজনীতির সত্যিকার চেহারার সাথে এক করে দেখাটা বোধহয় ঠিক হবেনা )

আমি দায়ী করবো প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ; আমি স্বল্প সময় বুয়েটে ছিলাম :: সেই একটা টার্মেই (২০০১ এর শেষার্ধ ) পরীক্ষা পেছানোর মত ক্ষুদ্র ব্যাপার নিয়ে তাঁরা যেরকম কাণ্ড করেছিলেন এবং সাধারণত যেমনটা তারা করে থাকেন তাতে মনে হতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাঁদের শত্রু

আসলে সমস্যাটা বোধহয় অন্য জায়গায় , আমাদের দেশে যার যে আসনে বসার যোগ্যতা থাকেনা তাকে সেখানে বসানো হয় ; ব্যাপারটাকে প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ নাম দিয়েছিলেন স্থানচ্যুতির অস্থিরতা :: তাঁর একটা প্রবন্ধ পড়ছিলাম ;

"একটা রোগ বাঙালির আগে ছিল না ; কিন্তু গত দু-দশকে উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছে ওই রোগটির , যার নাম 'স্থানচ্যুতির অস্থিরতা বা বৈকল্য' ব্রিটিশ পর্বে বাঙালি জানতো সমাজে তার স্থান কোথায় , সে চাষী হবে , না হবে দারোগা , না কেরানি , না মেজিস্ট্রেট ? পাকিস্তানপর্বেও জানতো কী হতে পারে সে .....


.....যার হওয়ার কথা ছিলো , বা সুখী বোধ করতো নিম্নপদস্থ হয়ে , সে হঠাত্ একদিন নিজেকে দেখতে পাচ্ছে উচ্চপদে ; যে কেরানিও হতে পারতো না , সে মন্ত্রণালয়ের প্রভু হচ্ছে ; যার কথা ছিলো অসরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার , সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো অধ্যাপক হচ্ছে যার বাসে ঝোলার কথা ছিলো , সে হঠাত্ হয়ে উঠছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ফলে চারদিকে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে পদ আর ব্যক্তিটির মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি হচ্ছে না , পদটিকে মনে হচ্ছে ব্যক্তির ওপরে , বা ব্যক্তিটির মাথার ওপর চেপে আছে পদটি চারপাশে এখন দেখা যাচ্ছে স্থানচ্যুতি রোগটি তাই কোথাও কিছু চলছে না ঠিক মতো চারদিকে বিকলন । "

আমাদের দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্তাব্যক্তিদের আচরণ দেখলে ব্যাপারটা এমনিতেই বোঝা যায় দায়িত্বশীল পদে আসীন হলে কথাও যে দায়িত্ব নিয়ে বলতে হয় এই ক্ষুদ্র ব্যাপারটাও কেউ জানেন বলে মনে হয় না

(::: মাঝের অংশটুকু বাঙালি : একটি রুগ্ন জনগোষ্ঠি ? প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত :::)