ঘটনাহীন, প্রায় ব্যস্ত একটা সপ্তাহ ।
এই টার্মে অ্যাসাইনমেন্ট বেশি, এবং বেশিরভাগই ভীষণ ঝামেলার :: ক্লাসে ঘুম পায়, তবে ঘুমাই না খুব একটা ; লজ্জ্বার ব্যাপার লেকচার এর মাঝে ঘুমিয়ে পড়া :: ঘুম পেলে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলেই হয় , ঘুমানোর জন্যে ক্লাসে বসে থাকাটা অর্থহীন ।
ইদানীং পড়ছি দন্ত্যস রওশন এর অণুকাব্যসমগ্র :: ভীষণ মজার , ভদ্রলোকের নামটা অদ্ভূত, (প্রকৃত নাম নয় অবশ্যই! ) অণুকাব্য ব্যাপারটা নতুন, না-কবিতা, না-ছড়া ; একটু ঝাল, একটু মিষ্টি ।
আমায় দেখে
দরোজা দিলে, একি
তাই তো তোমায়
জানালা দিয়ে দেখি ।
কিংবা ,
বরাবরই সে বসত
একদম লাস্ট বেঞ্চে
আমার চাকরি হলো
তারই রেফারেন্সে ।
আরেকটা আছে এরকম ::
যে দেশে ভালো সরকার নেই
সে দেশে থাকার দরকার নেই ।
<<দন্ত্যস রওশনের অণুকাব্যসমগ্র :: সময় , প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০০৫ >>
শুক্রবার, অক্টোবর ২৮, ২০০৫
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২০, ২০০৫
বুধবার, অক্টোবর ১৯, ২০০৫
অধন্যাত্মক দিন!
প্রায় এক সপ্তাহ পর ব্লগে অ্যাকসেস করছি, সময়টা ভাল যাচ্ছে না :: একটা লম্বা ব্যাড প্যাচ , কাটিয়ে উঠতে পারছি না ।
দুদিন ধরে বৃষ্টি, একেবারে টিপিক্যাল জাপানি শারদীয় বর্ষণ সারাদিন ; টিপটিপ ও নয়, ঝমঝমও নয় ; (ধন্যাত্মক শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না এই মুহূর্তে ) , কী বলা যায় , রিনরিন ? ঝিমঝিম ?
সবকিছু বিট্রে করছে :: এমনকি যন্ত্রও , মেইলে প্রোগ্রামিং এর অ্যাসাইনমেন্ট পাঠানোর কিছুক্ষণ পর একটা কনফার্মেশন-রিপ্লে আসার কথা :: আজকে খেয়াল করলাম গত দু সপ্তাহ ধরে অন্য সবার সেটা ঠিকই আসছে, আমার আসছে না ; মজা লাগল ভীষণ । অটো-রিপ্লে প্রোগ্রামে কিছু একটা বাগ আছে সম্ভবত , আর সেটার একমাত্র শিকার আমার অসহায় লগইন ID ; পড়াশুনা বলতে অ্যাসাইনমেন্ট টাই করি, সেটাতেও বাগড্ হয়ে গেলে কী আর করা !
সন্ধ্যায় ভার্সিটিতে একটা পিছলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধুপ করে পড়ে গেছি, এখনও পা ব্যথা করছে :: আজকে আমার জন্যে নিশ্চয়ই কেউ শুভ কামনা করছে ; নইলে আরো খারাপ ভাবে পড়তেও পারতাম, কে জানে ?
বৃষ্টির একটা উপমা মনে পড়ছে এই মুহূর্তে :: কাক-ভেজানো বৃষ্টি ; ..... না এটাও বোধহয় ভুল হলো !
*****************************************
দুদিন ধরে বৃষ্টি, একেবারে টিপিক্যাল জাপানি শারদীয় বর্ষণ সারাদিন ; টিপটিপ ও নয়, ঝমঝমও নয় ; (ধন্যাত্মক শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না এই মুহূর্তে ) , কী বলা যায় , রিনরিন ? ঝিমঝিম ?
সবকিছু বিট্রে করছে :: এমনকি যন্ত্রও , মেইলে প্রোগ্রামিং এর অ্যাসাইনমেন্ট পাঠানোর কিছুক্ষণ পর একটা কনফার্মেশন-রিপ্লে আসার কথা :: আজকে খেয়াল করলাম গত দু সপ্তাহ ধরে অন্য সবার সেটা ঠিকই আসছে, আমার আসছে না ; মজা লাগল ভীষণ । অটো-রিপ্লে প্রোগ্রামে কিছু একটা বাগ আছে সম্ভবত , আর সেটার একমাত্র শিকার আমার অসহায় লগইন ID ; পড়াশুনা বলতে অ্যাসাইনমেন্ট টাই করি, সেটাতেও বাগড্ হয়ে গেলে কী আর করা !
সন্ধ্যায় ভার্সিটিতে একটা পিছলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধুপ করে পড়ে গেছি, এখনও পা ব্যথা করছে :: আজকে আমার জন্যে নিশ্চয়ই কেউ শুভ কামনা করছে ; নইলে আরো খারাপ ভাবে পড়তেও পারতাম, কে জানে ?
বৃষ্টির একটা উপমা মনে পড়ছে এই মুহূর্তে :: কাক-ভেজানো বৃষ্টি ; ..... না এটাও বোধহয় ভুল হলো !
*****************************************
আমরা আবারও প্রথম হয়েছি ! অভিবাদন (!!!) সবার জন্যে ..
সোমবার, অক্টোবর ১০, ২০০৫
শিরোনামবিহীন
কাল প্রায় সারাদিনই বাইরে, সন্ধ্যায় ইনভাইটেশন ছিল এক সিনিয়রের বাসায় ; দেখাও হলো সবার সাথে অনেকদিন পর, শু, সু, অ ভাইয়া, র ভাইয়া :: ভাল লাগল কিছুটা সময় ।
বাসায় ফিরেছি ১০টার পরে, ঘুমিয়ে পরেছিলাম ট্রেনে :: আমার স্টেশনে এসে ঠিকই ঘুম ভেঙে গেছে অবশ্য । এর আগে ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়ে নিজের স্টেশন পার করে চলে গেছি বেশ কয়েকবার । সারাদিন মেঘলা, সামান্য বৃষ্টি ; ঠাণ্ডা ভাব, সবার পোষাকে শীতের ভাব, যদিও সময়টা এখনও ফল ::
শেষ পোস্টিং** টাতে অন্ধকার :: সেজন্যে ক্ষমাপ্রার্থী ।
আজ সারাদিন বৃষ্টি, ছুটির দিন , Health Sports Day :: একটা বিরক্তিকর অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে মাথা ব্যথা হয়ে গেছে, যেটা সাবমিট করতে হবে আগামীকাল সকালে ::
টিভির নিউজ প্রোগ্রামে এ প্রায় সবটা সময় পাকিস্তানের ভূমিকম্পের চিত্র আর বিশ্লেষণ :: ধ্বংসস্তুপের পাশে বসে আত্মজনের জন্যে প্রতীক্ষায় এক তরুণী বলছেন , "I have no grief, no sorrow; no hope even!" :: কথাটা এখনো কানে বাজছে ।
পুরো একটা প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে গেছে - এরকম শিরোনাম দেখলাম বিবিসি সাইটে :: আমরা কতটা অসহায় !
**এই মূহুর্তে অপ্রকাশিত - as on Nov 18-2005
বাসায় ফিরেছি ১০টার পরে, ঘুমিয়ে পরেছিলাম ট্রেনে :: আমার স্টেশনে এসে ঠিকই ঘুম ভেঙে গেছে অবশ্য । এর আগে ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়ে নিজের স্টেশন পার করে চলে গেছি বেশ কয়েকবার । সারাদিন মেঘলা, সামান্য বৃষ্টি ; ঠাণ্ডা ভাব, সবার পোষাকে শীতের ভাব, যদিও সময়টা এখনও ফল ::
শেষ পোস্টিং** টাতে অন্ধকার :: সেজন্যে ক্ষমাপ্রার্থী ।
আজ সারাদিন বৃষ্টি, ছুটির দিন , Health Sports Day :: একটা বিরক্তিকর অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে মাথা ব্যথা হয়ে গেছে, যেটা সাবমিট করতে হবে আগামীকাল সকালে ::
টিভির নিউজ প্রোগ্রামে এ প্রায় সবটা সময় পাকিস্তানের ভূমিকম্পের চিত্র আর বিশ্লেষণ :: ধ্বংসস্তুপের পাশে বসে আত্মজনের জন্যে প্রতীক্ষায় এক তরুণী বলছেন , "I have no grief, no sorrow; no hope even!" :: কথাটা এখনো কানে বাজছে ।
পুরো একটা প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে গেছে - এরকম শিরোনাম দেখলাম বিবিসি সাইটে :: আমরা কতটা অসহায় !
**এই মূহুর্তে অপ্রকাশিত - as on Nov 18-2005
রবিবার, অক্টোবর ০৯, ২০০৫
ভীষণ
বিভিন্ন কারণে মন খারাপ ভীষণ, ১০ স্কেলে বললে ৮/৯ এর কাছাকাছি ।
আজ একা একা অনেক দূর হেঁটে চলে গেছি, উদ্দেশ্যহীন ::
বিকেল পাঁচটায় রোজকার বাজনার শব্দ, বাস্কেটবল কিংবা বেসবল খেলে বাড়ি ফেরা স্কুলের বাচ্চারা ; কিংবা বাচ্চা কোলে তরুণ মা
কোন দিকে ভ্রক্ষেপ নেই, একা একা চুপচাপ বসে ছিলাম অনেকটা সময়, ভাবনাহীন ::
ভীষণ কাঁদতে ইচ্ছে করছিল, ইচ্ছে করছিল এই অসময়ের বৃষ্টিতে ঠান্ডা লাগানোর ;
যদিও ১৮ পেরোনোর পর কেঁদেছি বলে মনে পড়ে না ।
প্রায় মৃত একজন হয়ে আছি । ১০ স্কেলে বললে মাত্রাটা ৬ এর উপরে ::
::এই পোস্টিং অসম্পূর্ন; হয়ত শেষ করবো আরেকদিন ::
আজ একা একা অনেক দূর হেঁটে চলে গেছি, উদ্দেশ্যহীন ::
বিকেল পাঁচটায় রোজকার বাজনার শব্দ, বাস্কেটবল কিংবা বেসবল খেলে বাড়ি ফেরা স্কুলের বাচ্চারা ; কিংবা বাচ্চা কোলে তরুণ মা
কোন দিকে ভ্রক্ষেপ নেই, একা একা চুপচাপ বসে ছিলাম অনেকটা সময়, ভাবনাহীন ::
ভীষণ কাঁদতে ইচ্ছে করছিল, ইচ্ছে করছিল এই অসময়ের বৃষ্টিতে ঠান্ডা লাগানোর ;
যদিও ১৮ পেরোনোর পর কেঁদেছি বলে মনে পড়ে না ।
প্রায় মৃত একজন হয়ে আছি । ১০ স্কেলে বললে মাত্রাটা ৬ এর উপরে ::
::এই পোস্টিং অসম্পূর্ন; হয়ত শেষ করবো আরেকদিন ::
বুধবার, অক্টোবর ০৫, ২০০৫
আদরের নৌকো
ভেসে যায় আদরের নৌকো, তোমাদের ঘুম ভাঙে কোলকাতা'য়
হ্যালোজেন বৃষ্টিতে ; রঙ লিখে ঘর পাঠায় ।
ভিখিরিরা স্বপ্ন পায় , তুষারের রাজধানী ধুয়ে যায় জোসনায় ;
ধুয়ে যায় আদরের পথঘাট , ভেসে যায় আরামের অঞ্চল
রেলিঙের ঘুমঘোরে ; টুপ করে কাঁদলো জল
ডানাভাঙা একলা কাক, পথ ভেসে থাক, একলাটি থাক
এই জন্মের রেলগাড়িরা যায়, জলপরী হাত ধূলো হাওয়ায়
হাওয়াকে ; এসে আঁকে তালডানায়
এই নরম চুল , ধূলোর ফুল , যায় ভেসে যায় ।
ভেসে যায় আদরের নৌকো, ভেসে যায় সোহাগের শামপান,
সিগারেট টুকরো রা, মুখচোরা শিখছে স্নান
দড়িঘেঁরা বালিস্তুপ, জোনাকির রূপ, বুকে নিয়ে চুপ
এই জন্মের রেলগাড়িরা যায়, জলপরী হাত ধূলো হাওয়ায়
হাওয়াকে ; এসে আঁকে তালডানায়
এই নরম চুল, ধূলোর ফুল, যায় ভেসে যায় ।
ভেসে যায় আদরের নৌকো, তোমাদের ঘুম ভাঙে কোলকাতায়
হ্যালোজেন বৃষ্টিতে ; রঙ লিখে ঘর পাঠায় ।
ভিখিরিরা স্বপ্ন পায় , তুষারের রাজধানী ধুয়ে যায় জোসনায় ;
"আদরের নৌকো" :: গান : চন্দ্রবিন্দু :: অ্যালবাম এবং প্রকাশকাল : জানা নেই
এই গানটা ভীষণ অদ্ভূত, গত কয়েকদিনে সবচেয়ে বেশিবার শোনা ; হয়ত অর্থহীন কিন্তু উপমাগুলো কেমন যেন মন কেড়ে নেয় , বহুবার শুনলেও আবার শুনতে ইচ্ছে করে ।
:::: কৃতজ্ঞতা : আমাদের গান ডট কম, গানের লিন্ক এর জন্যে ::
নভেম্বর ১২, ২০০৫ :: সম্ভবত: উপরের লিন্কটা এখন আর কাজ করছে না , আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে নতুন লিন্ক:: আদরের নৌকো
হ্যালোজেন বৃষ্টিতে ; রঙ লিখে ঘর পাঠায় ।
ভিখিরিরা স্বপ্ন পায় , তুষারের রাজধানী ধুয়ে যায় জোসনায় ;
ধুয়ে যায় আদরের পথঘাট , ভেসে যায় আরামের অঞ্চল
রেলিঙের ঘুমঘোরে ; টুপ করে কাঁদলো জল
ডানাভাঙা একলা কাক, পথ ভেসে থাক, একলাটি থাক
এই জন্মের রেলগাড়িরা যায়, জলপরী হাত ধূলো হাওয়ায়
হাওয়াকে ; এসে আঁকে তালডানায়
এই নরম চুল , ধূলোর ফুল , যায় ভেসে যায় ।
ভেসে যায় আদরের নৌকো, ভেসে যায় সোহাগের শামপান,
সিগারেট টুকরো রা, মুখচোরা শিখছে স্নান
দড়িঘেঁরা বালিস্তুপ, জোনাকির রূপ, বুকে নিয়ে চুপ
এই জন্মের রেলগাড়িরা যায়, জলপরী হাত ধূলো হাওয়ায়
হাওয়াকে ; এসে আঁকে তালডানায়
এই নরম চুল, ধূলোর ফুল, যায় ভেসে যায় ।
ভেসে যায় আদরের নৌকো, তোমাদের ঘুম ভাঙে কোলকাতায়
হ্যালোজেন বৃষ্টিতে ; রঙ লিখে ঘর পাঠায় ।
ভিখিরিরা স্বপ্ন পায় , তুষারের রাজধানী ধুয়ে যায় জোসনায় ;
"আদরের নৌকো" :: গান : চন্দ্রবিন্দু :: অ্যালবাম এবং প্রকাশকাল : জানা নেই
এই গানটা ভীষণ অদ্ভূত, গত কয়েকদিনে সবচেয়ে বেশিবার শোনা ; হয়ত অর্থহীন কিন্তু উপমাগুলো কেমন যেন মন কেড়ে নেয় , বহুবার শুনলেও আবার শুনতে ইচ্ছে করে ।
:::: কৃতজ্ঞতা : আমাদের গান ডট কম, গানের লিন্ক এর জন্যে ::
নভেম্বর ১২, ২০০৫ :: সম্ভবত: উপরের লিন্কটা এখন আর কাজ করছে না , আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে নতুন লিন্ক:: আদরের নৌকো
রবিবার, অক্টোবর ০২, ২০০৫
কেমন আছি?
অলস একটা সপ্তাহ কাটাচ্ছি, প্রায় কর্মহীন :: আগামীকাল থেকে নতুন সিমেস্টার , তবে তেমন কোন চাপ অনুভব করছি না । কারণ , শেষ সিমেস্টার পর্যন্ত যা ক্রেডিট যোগাড় হয়েছে তাতে প্রায় যথেষ্ট মনে হচ্ছে এবং এর বেশি পড়াশোনার আগ্রহ অনুভব করছি না নিজের মধ্যে ।
শেষ সিমেস্টারের রেজাল্ট হয়েছে প্রায় ভূতুড়ে :: যে কোর্সে পাস মার্কই পাবোনা ধরে বসেছিলাম , সেটাতে ফুল মার্কস :: আর যেটাতে অবশ্যই :এ: পাবো আশা করছিলাম সেটা কোনভাবে পাস করেছি - নিজের কাছেই অর্থহীন মনে হচ্ছে ::
সে যাইহোক, রেজাল্ট নিয়ে এত মাথা ঘামানোর দিন অনেকদিন আগেই পেরিয়ে এসেছি, কাজেই সে গল্প এখানেই শেষ ।
*********************************************************
আজকাল কোন কিছুতেই খুব একটা আগ্রহ অনুভব করি না , বাংলা খবরের কাগজও এক নজর মেইন পেজ দেখে বিস্তারিত না পড়েই ব্রাউজার বন্ধ করে ফেলি :: কয়েকদিন আগে বুয়েটে পূজার ছুটি নিয়ে হৈ-চৈ এর খবর পড়ে খারাপই লাগল অবশ্য । তথাকথিত সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনেও বন্ধুরা আছে , আছে ছোট বাম সংগঠনেও :: কাজেই বন্ধুরাই বন্ধুদের মারপিট করছে - সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় তার ছবি দেখতে ভাল্লাগবেনা অবশ্যই । ( আমি তথাকথিত শব্দটা ব্যবহার করছি কারণ বুয়েটের রাজনীতিকে আমাদের দেশের ছাত্র রাজনীতির সত্যিকার চেহারার সাথে এক করে দেখাটা বোধহয় ঠিক হবেনা )
আমি দায়ী করবো প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ; আমি স্বল্প সময় বুয়েটে ছিলাম :: সেই একটা টার্মেই (২০০১ এর শেষার্ধ ) পরীক্ষা পেছানোর মত ক্ষুদ্র ব্যাপার নিয়ে তাঁরা যেরকম কাণ্ড করেছিলেন এবং সাধারণত যেমনটা তারা করে থাকেন তাতে মনে হতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাঁদের শত্রু ।
আসলে সমস্যাটা বোধহয় অন্য জায়গায় , আমাদের দেশে যার যে আসনে বসার যোগ্যতা থাকেনা তাকে সেখানে বসানো হয় ; ব্যাপারটাকে প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ নাম দিয়েছিলেন স্থানচ্যুতির অস্থিরতা :: তাঁর একটা প্রবন্ধ পড়ছিলাম ;
"একটা রোগ বাঙালির আগে ছিল না ; কিন্তু গত দু-দশকে উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছে ওই রোগটির , যার নাম 'স্থানচ্যুতির অস্থিরতা বা বৈকল্য' । ব্রিটিশ পর্বে বাঙালি জানতো সমাজে তার স্থান কোথায় , সে চাষী হবে , না হবে দারোগা , না কেরানি , না মেজিস্ট্রেট ? পাকিস্তানপর্বেও জানতো কী হতে পারে সে .....
.....যার হওয়ার কথা ছিলো , বা সুখী বোধ করতো নিম্নপদস্থ হয়ে , সে হঠাত্ একদিন নিজেকে দেখতে পাচ্ছে উচ্চপদে ; যে কেরানিও হতে পারতো না , সে মন্ত্রণালয়ের প্রভু হচ্ছে ; যার কথা ছিলো অসরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার , সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো অধ্যাপক হচ্ছে । যার বাসে ঝোলার কথা ছিলো , সে হঠাত্ হয়ে উঠছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত । ফলে চারদিকে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে । পদ আর ব্যক্তিটির মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি হচ্ছে না , পদটিকে মনে হচ্ছে ব্যক্তির ওপরে , বা ব্যক্তিটির মাথার ওপর চেপে আছে পদটি । চারপাশে এখন দেখা যাচ্ছে স্থানচ্যুতি রোগটি । তাই কোথাও কিছু চলছে না ঠিক মতো । চারদিকে বিকলন । "
আমাদের দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্তাব্যক্তিদের আচরণ দেখলে ব্যাপারটা এমনিতেই বোঝা যায় । দায়িত্বশীল পদে আসীন হলে কথাও যে দায়িত্ব নিয়ে বলতে হয় এই ক্ষুদ্র ব্যাপারটাও কেউ জানেন বলে মনে হয় না ।
(::: মাঝের অংশটুকু বাঙালি : একটি রুগ্ন জনগোষ্ঠি ? প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত :::)
শেষ সিমেস্টারের রেজাল্ট হয়েছে প্রায় ভূতুড়ে :: যে কোর্সে পাস মার্কই পাবোনা ধরে বসেছিলাম , সেটাতে ফুল মার্কস :: আর যেটাতে অবশ্যই :এ: পাবো আশা করছিলাম সেটা কোনভাবে পাস করেছি - নিজের কাছেই অর্থহীন মনে হচ্ছে ::
সে যাইহোক, রেজাল্ট নিয়ে এত মাথা ঘামানোর দিন অনেকদিন আগেই পেরিয়ে এসেছি, কাজেই সে গল্প এখানেই শেষ ।
*********************************************************
আজকাল কোন কিছুতেই খুব একটা আগ্রহ অনুভব করি না , বাংলা খবরের কাগজও এক নজর মেইন পেজ দেখে বিস্তারিত না পড়েই ব্রাউজার বন্ধ করে ফেলি :: কয়েকদিন আগে বুয়েটে পূজার ছুটি নিয়ে হৈ-চৈ এর খবর পড়ে খারাপই লাগল অবশ্য । তথাকথিত সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনেও বন্ধুরা আছে , আছে ছোট বাম সংগঠনেও :: কাজেই বন্ধুরাই বন্ধুদের মারপিট করছে - সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় তার ছবি দেখতে ভাল্লাগবেনা অবশ্যই । ( আমি তথাকথিত শব্দটা ব্যবহার করছি কারণ বুয়েটের রাজনীতিকে আমাদের দেশের ছাত্র রাজনীতির সত্যিকার চেহারার সাথে এক করে দেখাটা বোধহয় ঠিক হবেনা )
আমি দায়ী করবো প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ; আমি স্বল্প সময় বুয়েটে ছিলাম :: সেই একটা টার্মেই (২০০১ এর শেষার্ধ ) পরীক্ষা পেছানোর মত ক্ষুদ্র ব্যাপার নিয়ে তাঁরা যেরকম কাণ্ড করেছিলেন এবং সাধারণত যেমনটা তারা করে থাকেন তাতে মনে হতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাঁদের শত্রু ।
আসলে সমস্যাটা বোধহয় অন্য জায়গায় , আমাদের দেশে যার যে আসনে বসার যোগ্যতা থাকেনা তাকে সেখানে বসানো হয় ; ব্যাপারটাকে প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ নাম দিয়েছিলেন স্থানচ্যুতির অস্থিরতা :: তাঁর একটা প্রবন্ধ পড়ছিলাম ;
"একটা রোগ বাঙালির আগে ছিল না ; কিন্তু গত দু-দশকে উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছে ওই রোগটির , যার নাম 'স্থানচ্যুতির অস্থিরতা বা বৈকল্য' । ব্রিটিশ পর্বে বাঙালি জানতো সমাজে তার স্থান কোথায় , সে চাষী হবে , না হবে দারোগা , না কেরানি , না মেজিস্ট্রেট ? পাকিস্তানপর্বেও জানতো কী হতে পারে সে .....
.....যার হওয়ার কথা ছিলো , বা সুখী বোধ করতো নিম্নপদস্থ হয়ে , সে হঠাত্ একদিন নিজেকে দেখতে পাচ্ছে উচ্চপদে ; যে কেরানিও হতে পারতো না , সে মন্ত্রণালয়ের প্রভু হচ্ছে ; যার কথা ছিলো অসরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার , সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো অধ্যাপক হচ্ছে । যার বাসে ঝোলার কথা ছিলো , সে হঠাত্ হয়ে উঠছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত । ফলে চারদিকে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে । পদ আর ব্যক্তিটির মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি হচ্ছে না , পদটিকে মনে হচ্ছে ব্যক্তির ওপরে , বা ব্যক্তিটির মাথার ওপর চেপে আছে পদটি । চারপাশে এখন দেখা যাচ্ছে স্থানচ্যুতি রোগটি । তাই কোথাও কিছু চলছে না ঠিক মতো । চারদিকে বিকলন । "
আমাদের দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্তাব্যক্তিদের আচরণ দেখলে ব্যাপারটা এমনিতেই বোঝা যায় । দায়িত্বশীল পদে আসীন হলে কথাও যে দায়িত্ব নিয়ে বলতে হয় এই ক্ষুদ্র ব্যাপারটাও কেউ জানেন বলে মনে হয় না ।
(::: মাঝের অংশটুকু বাঙালি : একটি রুগ্ন জনগোষ্ঠি ? প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত :::)
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)