রবিবার, জুলাই ৩১, ২০০৫

মধ্যবিত্ত


আজকের যুগান্তর এ একটা রিপোর্ট দেখছিলাম, মধ্যবিত্ত হারিয়ে যাচ্ছে শিরোনামে ;

মধ্যবিত্তের সংজ্ঞা বেশ জটিল; সমাজের কোন স্তরের মানুষকে মধ্যবিত্ত বলা হবে ব্যাপারটা সম্ভবত খুব একটা পরিষ্কার নয়, কিন্তু একটা সমাজে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ যে স্তরে পড়ে, সেটাই বোধহয় মধ্যবিত্ত আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাঁধা আয়ের মধ্যবিত্ত সমাজ যে অসহায়, রিপোর্টে সেটাই মনে করিয়ে দেয়া মোবাইল, রিকশা কমে গিয়ে প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠা সিএনজি - নতুন খরচের আরো অনেক উপাদান যোগ হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারে; সেই খরচ বিয়োগ করে হিসেব মেলানোর রাস্তাটা জানা নেই মধ্যবিত্ত বাবা-মা র রিপোর্টের বক্তব্য অনেকটা এরকম

একটা প্রশ্ন অবশ্য আছে, আমাদের দেশে পিজা হাট কিংবা ডমিনোজ পিজা (অবশ্য সত্যিকারের ডমিনোজ এর সাথে সম্পর্কহীন, আমি ভুঁয়াই বলব ) এর মত জিনিষগুলো কিংবা পুঁজিবাদের অন্যান্য উপাদান ঠিকই ঢুকছে ; আমার মনে আছে, অর্থমন্ত্রী নিজেই কোন একটা এরকম চেইন এর উদ্বোধন করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে ট্যাক্স ঠিকমত দেয়া নিয়ে সংসদে এর প্রশংসাও করেছিলেন জাকজমকে ভরা শপিং মল আর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ছড়াছড়ি গত ২/৩ বছরে, এসব জায়গায় যাওয়ার মত কনজ্যুমার নিশ্চয়ই যথেষ্ট তৈরি হয়েছে ?

আমি গত বছর এক বন্ধু সহ ঢাকায় এরকম একটা শপে খেতে গিয়ে খাবারের মান এবং মূল্য দেখে বিস্ময় চেপে রাখতে পারিনি কনজ্যুমাররা অসহায় !


তথাকথিত উন্নত পৃথিবীতে সাধারণ মধ্যবিত্তের জন্যই এই চেইন ফার্স্ট ফুড শপগুলো; কিন্তু আমাদের মধ্যবিত্তের আয় কি এই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ? তাহলে ধরে নিতে হবে, আমাদের সমাজে মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক সামর্থ্যের গ্রাফ অনেক উপরে উঠে এসেছে অথবা মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে অনুভূমিক অক্ষ বরাবর স্থাপন করা হলে গ্রাফের রেখাটা খুব একটা সমান্তরাল হবে না


আমি ব্যক্তিগতভাবে পুঁজিবাদ এবং বিশ্বায়নের বিরোধী, কিন্তু ব্যাপারটা অনেকটা আত্মবিরোধিতার মত, আমাকে বাধ্য হয়েই ম্যাকডোনাল্ডস, মস বার্গার কিংবা কেনটাকি চিকেন টাইপের জায়গাগুলোতে ঢুকতে হয় প্রায়ই, পেট ঠান্ডা করার জন্যে; কাজেই নামেই বিরোধিতা ?

শনিবার, জুলাই ৩০, ২০০৫

পরীক্ষা শেষ!


ব্যক্তিগত:
লম্বা সময় পর ব্লগ সাইটে ঢুকলাম, আজকে আরেকটা সিমেস্টার শেষ হলো; এখন পর্যন্ত ব্যস্ততম একটা সিমেস্টার খুব স্বাভাবিক ভাবেই পরীক্ষা খারাপ হয়েছে এবং কেমন যেন বিপদের গন্ধ পাচ্ছি গত এক মাসে প্রায় অস্বাভাবিক একটা সময় পার করেছি ; জাপানিজ বন্ধুদের স্ট্যামিনা দেখে অবাক হওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না; আমার চেয়ে ২-৩ টা কোর্স বেশি নিয়েও কত স্বাভাবিক ! যাইহোক, ঝামেলা মুক্ত হয়েছি; প্রতীক্ষা ভাল কিছু র;

চারপাশে:
গত সপ্তাহের তাইফুন-৭ এর পর সত্যিকারের গরম কাকে বলে বুঝতে পারছি; অবশ্য পুরো গরম একটা বছরও জাপানে থাকলাম না; এ বছরেও নয়, আগামী সপ্তাহে দেশের পথে পা বাড়াবো

পশ্চিমা পৃথিবী আবারো সেই পুরনো ইসলামী মৌলবাদের ভয়ে আক্রান্ত, পশ্চিমা রাজনৈতিক নেতারাও কম মৌলবাদী নন; কাজেই কোন পক্ষের সমালোচনা করছি নাতবে ভেঁড়া হচ্ছি আমরা সাধারণ মানুষ; ধর্মীয় মৌলবাদ, বর্ণবাদ - এই ভূতেরা পৃথিবী ছাড়বে কবে ?

শুক্রবার, জুলাই ১৫, ২০০৫

অজুহাত

কী সব ভুতুড়ে ব্লগ পোস্ট করছি আজকাল !
অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে সাইট টা । (অবশ্য প্যাঁচাল অর্থহীন ই হয় !)
তবে ব্লগটা নিয়মিত লিখতে পারছি না, কোন অজুহাত ও নেই নিয়মিত না লেখার শেষ এক সপ্তাহে অজুহাত দেখিয়ে বেশ কিছু দায়িত্ব এড়িয়েছি; XML নিয়ে সামান্য কিছু কাজ, জিনিষটা নতুন হলেও অসম্ভব নয় ; বাদ দিয়ে দিতে হল ; এই প্রজেক্টটায় আমি কোন কাজই করছি না

অবশ্য অজুহাত একটা আছে, পড়াশুনার ছ্যাড়াব্যাড়া অবস্থা !
একই অজুহাতে আগামী দুই সপ্তাহে কোন ব্লগ হয়ত লেখা হবে না

শুক্রবার, জুলাই ০৮, ২০০৫

(?)


আবারও রক্তাক্ত হলো মানবতা, এবার লন্ডন; কাল সন্ধ্যায় ভার্সিটি থেকে ফিরে টিভি খুলতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল! আজও টিভি পর্দা কিংবা নিউজ সাইট গুলোর প্রথম পৃষ্ঠা জুড়ে মানুষের ভীত মুখ ...

এ আমরা কোথায় যাচ্ছি?

রবিবার, জুলাই ০৩, ২০০৫

Live-8 Concert এবং ....


জি-৮ সামিট কে সামনে রেখে পৃথিবীর বড় সংগীত তারকাদের নিয়ে লন্ডন, প্যারিস, বার্লিন, টোকিও র মত বড় ১০টি শহরে চলছে Live-8 Concert উদ্দেশ্য আফ্রিকা এবং পুরো পৃথিবীর অন্যান্য অংশের দারিদ্রের ব্যাপারে জি-৮ এর নেতাদের ঘুম ভাঙানো; ম্যাডোনা, ব্রায়ান অ্যাডামস্ , green day, U2 র মত শিল্পীরা বিপ্লবের আহবান জানাচ্ছেন

ঘুম কি ভাঙবে মিঃ বুশ, কিংবা তার অতি অনুগত ব্লেয়ার কিংবা কোইজুমি র?
না বোধহয়, ইরাকে আক্রমণের আগে পুরো পৃথিবীর মানুষের চেষ্টায়ও যাদের সামান্যতম বোধদয় ঘটানো যায়নি, তাদেরকে গান শুনিয়ে লাভ নেই !


তবু চেষ্টা করতে দোষ কি ? জাপানে এই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন ফুজিওয়ারা নোরিকার মত মডেল কিংবা নাকাতা হিদেতোশির মত ক্রীড়া ব্যক্তিত্ত্ব শ্লোগান হিসেবে বলা হচ্ছে, ধরিত্রীর এই দারিদ্র ফেলে রাখার সুযোগ নেই ("hottoke nai sekai no mazushisa")।

ধনতান্ত্রিক পৃথিবীর মানুষের ঘুম ভাঙাটা সম্ভবতঃ বেশি জরুরী ; প্রাচুর্যে ভরা পৃথিবীটাই পুরোটা নয় - বেশি দরকার এ সত্যটা জানানো সফল হোক এ প্রচেষ্টা জয় হোক মানুষের জন্যে মানুষের ভালবাসার !