মঙ্গলবার, জুন ২৮, ২০০৫

অস্বাভাবিক ?


প্রায় এক সপ্তাহ পর লিখছি, আবহাওয়ার কথা দিয়েই শুরু করি; প্রচণ্ড গরম, তাপমাত্রা দিয়ে বললে আজকে টোকিওর গড় তাপমাত্রা ৩৬+ ডিগ্রি সে. সাথে যোগ হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত আর্দ্রতা; প্রায় অসহনীয়! অথচ মাত্র ২০০ কিমি দূরের নিগাতা বৃষ্টিতে প্রায় ডুবে যাওয়ার অবস্থা !


চারপাশের পৃথিবীও গরম এবং অস্বাভাবিক, দেশের পত্র-পত্রিকার ইন্টারনেট সংস্করণ খুলে আশ্চর্য হই, বিরক্ত হই এবং শব্দহীন হয়ে যাই; সন্ত্রাসীদের মৃত্যু তে শোক প্রকাশ করেন আমাদের জনপ্রতিনিধিরা, এমনকি আমাদের অতিব্যস্ত সরকারপ্রধানও হাজির হয়ে যান ফুল দেওয়ার জন্যে! লজ্জ্বা হচ্ছে সরকারপ্রধান হিসেবে তাকে মেনে নিতে আমাদের নীতির সামান্যও অবশিষ্ট থাকল না মন্ত্রীরা বহুজাতিক কোম্পানির কাছে দেশটাকে নিজেদের সম্পত্তির মত ব্যবহার করছেন এবং বিনিময়ে গাড়িও পাচ্ছেন ঘুষ হিসেবে; সেটাতেও কিছুই মনে করবো না; শুধু আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ কেড়ে নেবেন না এইটুকুই কামনা থাকবে

................................................................................................

ব্যক্তিগত:
নানা ধরনের সমস্যা চারদিক থেকে ঘিরে ধরছে, "বিপদ একা আসে না" - প্রবাদ টা হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছি আপাতত হাইবারনেশন(Hibernation) এ ঢুকে যেতে ইচ্ছে করছে, চারপাশের সমস্যা গুলোর সমাধান হয়ে গেলে রানিং স্টেট এ ফিরে আসবো ! তবে আদৌ সমাধান হবে কি? আইনস্টাইন এর এরকম একটা উক্তি আছে, "সমস্যা যে পর্যায়ের চিন্তা দিয়ে তৈরি করা হয়, সেই পর্যায়ের চেষ্টা দিয়ে সমাধান করা যায় না " (The significant problems we face cannot be solved by the same level of thinking that created them.)

শনিবার, জুন ১৮, ২০০৫


আবারও ফুল, রঙ আর সাজ Posted by Hello

সামার প্রজেক্ট

আরেকটা সপ্তাহ শেষ হল; পড়াশুনার দিক দিয়ে বললে সিমেস্টারের ৯ম সপ্তাহ, বেশ তাড়াতাড়িই যাচ্ছে সময়; সোমবার এলেই শুক্রবার এসে পড়ে। আজকে সামার প্রজেক্ট এর ব্যাখ্যা শুনলাম, মনে হচ্ছেনা পুরো গরম ধরে এই জিনিষ করে কোন কাজে আসবে - নিজের পছন্দের টপিক নিয়ে গরমের ছুটির ২ মাস কাজ করে -- ২ ক্রেডিট এবং একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা । ক্রেডিট নিয়ে চিন্তা করি না, অভিজ্ঞতার জন্যে করবো ভাবছিলাম, সম্ভবতঃ করা হবে না । অর্কুট বুয়ুকোকটেন (Orkut Buyukkokten) হতে পারবোনা, এটা ভাল করেই জানি; সেই সৃজনশীলতা কিংবা প্রতিভা কোনটাই নেই। তার থেকে বাড়ি ফিরে যাই, সেটাই ভাল বোধহয় । Home, Sweet home! মায়ের মুখটা প্রায় ভুলে গেছি, এক বছর সময় হিসেবে বেশ লম্বা, নয় কী?

......................................................................................


অর্কুট বুয়ুকোকটেন : জাতীয়তা টার্কিশ; সার্চ ইঞ্জিন গুগল এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সোশ্যাল কমিউনিটি নেটওয়ার্ক "অর্কুট(Orkut)" এর নির্মাতা। গুগল এর পলিসি হচ্ছে, কর্মীরা নিজের পছন্দের কাজে শতকরা ২০ ভাগ সময় ব্যয় করবে, এর জন্যে কোম্পানির কাছে কোন কিছুই বলতে হবে না । এই পলিসি এবং বুয়ুকোকটেন এর পছন্দের কাজে ব্যবহৃত সময় থেকেই "অর্কুট" এর জন্ম (জানুয়ারি ২০০৪), এবং নির্মাণের পর মিঃ বুয়ুকোকটেন কে নিজের নামেই কমিউনিটি নেটওয়ার্কটা চালু করার অনুমতি দেয়া হয়।

বুধবার, জুন ১৫, ২০০৫

শিরোনামবিহীন সময়!


ব্যক্তিগত:
ব্যস্ততা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে; কেমন যেন মটো (motto) বিহীন এবং অনুভূতিহীন হয়ে যাচ্ছি; পড়াশুনার যাচ্ছে তাই অবস্থা ! গরমের ছুটিতে দেশে যাবো কি না সেটাও এখনও ঠিক করতে পারিনি ইদানীং রান্না দারুণ হচ্ছে, (নিজের কাছে তাই মনে হচ্ছে!!) যদিও অলসতা করে সেটা নিয়মিত করা হয়ে ওঠেনা


চারপাশে:
ইদানীং টিভি কম দেখা হয়, যেটুকু দেখি, তাতে টিভিতে দেখানোর মত খবরের অভাব মনে হচ্ছে জাপানী মিডিয়া যখন প্রচার করার মত কোন খবর পায় না, তখন প্রাইভেট চ্যানেল গুলো উত্তর কোরিয়ার তথাকথিত নিউক্লিয়ার বোমা, সামরিক প্রশাসকের হাস্যকর দেশ চালানো - এই জিনিষ দিয়েই দিনের পর দিন চালিয়ে যায়; আর জনগণের ট্যাক্সে পরিচালিত NHK তার চিরাচরিত ভঙ্গিতে বাচ্চাদের স্কুলে মেলা, কোন এক চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথির আগমন, চীনের সমাজে অর্থনৈতিক অসমতা - এই জাতীয় নিউজ দিয়েই কাজ সেরে ফেলেখু্বই টাইপড্ একটা ব্যাপার !!


দেশে:
দেশে সেলফোনের সিম কার্ড, রিম কার্ড এর উপরে ট্যাক্স নিয়ে বেশ তূলকালাম মনে হচ্ছে; ২০০ টাকায়ও নাকি সিম কার্ড পাওয়া যেত, ব্যাপারটা জানতাম না দেশে গেলে এই একটা জিনিষ একটু কষ্ট করে শুনে যেতে হয়, বন্ধুদের মাঝে সেলফোনের গল্প ! সেলফোন জিনিষটা সময়টাকে অনেক পাল্টে দিয়েছে, এখন অপেক্ষা অপটিক ফাইবার লাইনের কাজ শেষ হওয়ার, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ দেশে পাল্টে দেবে আরো অনেক কিছুসেসময়ের অপেক্ষায় !


শনিবার, জুন ১১, ২০০৫

ছাতা !

এখন রাত ২টা বাজতে ১০ মিনিট বাকি; গত এক সপ্তাহ রাত সাড়ে ৩টার পরে ঘুমোতে গেছি; কারণ, সন্ধ্যায় এক প্রস্থ ঘুমিয়ে নেওয়া

তবে ব্যাপারটা খুব একটা ভাল মনে হচ্ছে না, পরশু এক্সপেরিমেন্ট এর ক্লাসে দেরি হচ্ছিল আর একটু হলেই; সকাল ৯:১৫ তে ঘুম থেকে উঠে ৯:৪৫ এর ক্লাস ধরা, যেখানে বাসা থেকে স্কুল পৌঁছতেই সময় লাগে ১৫ মিনিট এর বেশি । (এই এক্সপেরিমেন্ট এর ক্লাসে সার্ভারে লগইন এর সময় দেখে সিমেস্টার শেষে Latecomers' Ranking করে ল্যাব পরিষ্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়; কাজেই ....)

.................................................................................................

শেষ পর্যন্ত তাইফুন-৪ এর কারণে গতকাল (শুক্রবার) সারাদিন বৃষ্টি, একটা বিশাল ছাতা দিয়েও কোন সু্বিধা করতে পারিনি(তাইফুন গুলো কে উদ্ভবের সময়ক্রম অনুসারে সংখ্যা দিয়ে পরিচিত করা হয়, এটা ছিল ৪ নম্বর );

স্কুলজীবনে বাসা থেকে জোর করে ছাতা ধরিয়ে দিলেও ছাতা ছাড়াই চলে যেতাম ভিজতে-ভিজতে; পরে ভাজ করে রাখা যায় এমন একটা ছোট ছাতা ব্যবহার করতাম; সেটা হারিয়েছি এস.এস.সি টেস্ট পরীক্ষার সময় । (আমাদের এস.এস.সি পরীক্ষার ঐ বছরে অক্টোবর মাসে খুব অদ্ভূত বৃষ্টি হত, একটা পরীক্ষা ১ ঘন্টা পরে শুরু করা হয়েছিল, সবার গোসল করার মত অবস্থা হওয়ায়! )


তারপরে অনেক ছাতা হারিয়েছি, শুধু নিজের ছাতা নয়, ধার নেওয়া ছাতাও আমি হারিয়ে ফেলি, সেই কারণে ছাতা জিনিষটা ধার নিতে আমি ভয় পাই


বুধবার, জুন ০৮, ২০০৫

গরম!

আগের দুটো ব্লগ একটা অন্ধকার অন্ধকার ভাব; কাজেই নিজের গল্প বাদ দিই
........................................................................................................

দেশে ভীষণ গরম পড়ছে, বিশেষ করে রাজশাহীতে নাকি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী গরম, ৪২ডিগ্রির উপরে...সহানুভূতি থাকল সবার জন্যে এই গরমে

এখানে সত্যিকার অর্থে গরম এখনও পড়েনি; তবে তাইফু (taifoon)আসা শুরু হয়ে গেছে; বৃষ্টিমাখা অপছন্দের আবহাওয়া চলবে মাঝেমধ্যেই

টিভিতে ইদানীং একটা মজার জিনিষ দেখছি, প্রধানমন্ত্রী কোইজুমি এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা ইলেকট্রিসিটি খরচ কমানোর জন্যে ক্যাজুয়াল ড্রেসে অফিস করছেন - নো কোট, নো নেকটাই আন্দোলন; ব্যাপারটার উদ্দেশ্য নিজেদের ব্যয় কমানো নয়; পরিবেশের উপর চাপ কমানোএই দেশে রাজনীতিবিদ সবাই ধোঁয়া তুলসী পাতা, সেটাও বলা যায়না তবে উদাহরণটা দারুণ; নয় কি? ফর্মাল পোশাক আসলেই দরকার আছে কি? আমি তো উল্টো চিন্তা করি, এই গরমে কোট-নেকটাই মানুষ পরে কেমনে ?

রবিবার, জুন ০৫, ২০০৫

সোনার তরী


ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি---
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী

---------------------------
সোনার তরী; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর




মাঝেমধ্যে মনে হয়, সোনার তরীর জন্যে আমিও যেন কূলে একা বসে আছি।

শনিবার, জুন ০৪, ২০০৫

শিরোনামবিহীন

কিচ্ছু ভাল লাগছে না, অর্থহীন জীবনযাপন!
মানুষের বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য বলতে আসলেই কিছু আছে?
অর্থপূর্ণ বেঁচে থাকাটাই বা কী?...

শুধু জলের স্রোতের মত ভেসে চলাটা অর্থপূ্র্ণ কিছু নয় নিশ্চয়ই ?