শুক্রবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০০৫
দুই-শূন্য-শূন্য-পাঁচ
জমা হয়ে থাকা অ্যাসাইনমেন্ট এর পাহাড় , Oscilloscope থেকে তোলা ছবি কোনটা কিসের অনেক কষ্টের পরও মনে করতে না পারা এবং ডেডলাইন পার করেও আপাততঃ অলসতায় গা ভাসানো ::
থেমে যাওয়া সময় :: অলস দিন :: অলস বিদায় আরেকটা সৌরবর্ষকে ।
দুই-শূন্য-শূন্য-পাঁচ :: পারিপার্শ্বিকতার বদলে যাওয়া, বদলানোর চেষ্টা নিজেরও - মানবিক সম্পর্কগুলোর দ্বিমাত্রিক হয়ে ওঠা, বাস্তবতা হয়ে ওঠা মনোক্রোম এবং গোজাঁমিল দিয়ে কোনওভাবে মিলিয়ে ফেলা বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান আসলে বাগ্ মুক্ত নয় - বিলম্বিত উপলব্ধি ।
আরেকটা নতুন বছর , আবার জানুয়ারি এবং মকর রাশি হিসেবে ২০ এর সংখ্যারেখার আরেকটা ঘর পার করে ফেলা :: বছরের প্রথম তিন মাসে যারা জন্ম নেয়, তারা অন্যদের থেকে বোকা হয় - এরকম একটা সমীক্ষা ফলাফল দেখে সংখ্যাতত্ত্বে অবিশ্বাসী আমারও বিশ্বাসী হয়ে ওঠা~
দুই-শূন্য-শূন্য-ছয় :: প্রত্যাশা - সবার ভালো হোক :: বিশেষতঃ চারপাশের মানুষগুলোর ..... সবকিছু হয়ে উঠুক অর্থপূর্ণ !
রবিবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০০৫
শনিবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০০৫
গেম !
যেমন অসত্য ছিলো, দীর্ঘ গতকাল ।
যেমন অসত্য হবে অনন্ত আগামী ।
:::: নবনীতা দেবসেন :: পাণিগ্রহণ
আমরা যখন স্কুলে , ক্লাস সিক্স বা সেভেনে :: পার্সনাল কম্পিউটার তখনও পার্সনাল কোন কিছু হয়ে ওঠেনি :: মাইক্রোসফট বা উইন্ডোজ :: ( তখনও ৩.১ বোধহয় ) - এই জাতীয় কোন শব্দের সাথে পরিচিতি থাকারও কোন প্রশ্ন আসেনা ।
একটা সময়ে দেখতাম বন্ধুরা বেশিরভাগ টিফিন এর সময়টা স্কুল থেকে উধাও ; মোটামুটি সবাইকে পাওয়া যেত ছোট-ছোট নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা দোকানে , খটখট শব্দ আর শত্রু বিনাশের উল্লাস । ভিডিও গেম বুম :: আমাদের স্কুলের চারপাশেই কমপক্ষে ১০-১২টা দোকান ছিল :: স্কুল ড্রেস পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে সারাদিন গেম খেলা - আর মাঝে মধ্যে বেশি সচেতন বাবা-মা কারও হাতে ধরা খেয়ে যাচ্ছেতাই শারীরিক শাস্তি -এরকম বন্ধুরও অভাব ছিল না ।
তারপর একটা সময় পরে অন্য সবকিছুর মত আপনাআপনিই ব্যাপারটা উধাও হয়ে যায় ।
ইদানীং কালের ভার্চুয়াল গেম গুলো এত বাস্তব আর বিশ্বাসযোগ্য, আর সত্যিকারের দৈনন্দিন সিম্যুলেশন করে বানানো , যে মাঝে মধ্যে মুগ্ধ হয়ে যাই :: পিএসপি (Play Station Portable - Sony) বা নিনতেনদো ডিএস(Dual Screen - Nintendo) নিয়ে ভার্সিটির ক্লাসের ফাঁকে মগ্ন হয়ে যাওয়া কাউকে দেখলে আর অবাক হই না ।
মাঝেমধ্যেই নিজেকে কোন ভার্চুয়াল গেমের চরিত্র মনে হয়, ভেবে পাই না এই গেমে নিজের ভূমিকা ::
না, ভূমিকা ভেবে চরিত্র রূপায়নের কোন প্রয়োজনও নেই :: আমাদের চরিত্রও প্রোগ্রামড্ সম্ভবতঃ, কে জানে ? কেবল আমরা 'খেলবো না এ খেলা' বলে বেঁকে না বসলেই হলো ~
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০০৫
রাজনৈতিক
শারীরিক অসুস্থতা, আলস্য ভরা একটা লম্বা সময় :: কোন পোস্টিং করা হয় নি ।
প্রায় ঘুমিয়ে কাটিয়েছি ৩-৪ দিন, সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙার পর আবার শুয়ে পড়া - একরকম অস্বাভাবিক জীবনযাপন ::
নিজের কথা লেখা বাদ দিই ।
আমাদের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী হিন্দু জঙ্গিবাদ বলে একটা নতুন টার্ম আমাদের উপহার দিয়েছেন এবং অবস্থা বেগতিক দেখে আবার ঢোক গিলেছেন । আমরা এর আগে পার্থ সাহা নামের একজনকে পেয়েছিলাম , এবার পেলাম একজন আত্মাকে ::
হ্যা, অবশেষে তিনি বলার মত কিছু সাফল্য পেয়েছেন ; ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদকে মূলমন্ত্র করে গড়ে ওঠা একটা সংগঠন ছোটখাটো ধাক্কায় হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে, এমনটা আশা করার মত কোন কারণ নেই ::
রাজনীতিবিদ দের কি মিথ্যে এবং উদ্দেশ্যমূলক কথা বলাটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায় ? গতকাল মিঃ বুশ ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে ভুল তথ্যের কথা স্বীকার করেছেন :: তিনি যে প্রথম থেকেই মিথ্যে বলছেন না - আমাদের এটা বিশ্বাস করানোর জন্যে এরপর তিনি কী বলবেন ? আমেরিকানরা এই লোকটাকে সহ্য করে কীভাবে ? অবশ্য ব্যাপারটা অস্বাভাবিক নয় সম্ভবতঃ ..
রাষ্ট্রনীতি এবং রাজনীতি বিষয়ক সমালোচনা এখানেই বন্ধ করি । এতক্ষণে মনে হল , কাল ১৬ই ডিসেম্বর ।
যখন পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের নিয়ে নিজামী বা মুজাহিদ নামের কোন যুদ্ধাপরাধী জাতীয় পতাকা উড়িয়ে ঘুরে বেড়ান , তখন দিনটা ভুলে যাওয়াই ভাল ::
শনিবার, ডিসেম্বর ০৩, ২০০৫
ঈশ্বরই জানেন
আমাদের অনুভূতি সত্তা বোধহয় অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, তবে সম্ভবতঃ মরে যায়নি ।
ধর্মবিশ্বাস ব্যাপারটা অনেকটা মাদকের মত, আর ধর্মব্যবসায়ীরা মাদক বিক্রেতা - না, উপমাটা হয়তবা সাধারণভাবে ধর্ম বিশ্বাস করে জীবনযাপন করেন এমন কারও কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে , কিন্তু ব্যাপারটা তাই - অন্ততঃ আমি তাই মনে করি । প্রবলভাবে ধর্মবিশ্বাসী ( না, আমি জঙ্গিবাদী অর্থে বলছি না, সাধারণ মানুষ) কাউকে দেখলে আমার তাই মনে হয় ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে এরকম বেশকিছু মানুষ দেখেছি:: আমাদের সমাজ, যেখানে ধর্ম কোনো ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, বরং ধর্ম পালন করলে ভাল মানুষের দলে ফেলা হয় - সেখানে এরকম মানুষের অনেক আচরণ আমি বুঝতে পারি না ; কখনো লোকদেখানো মনে হয় , কখনো উপরের উপমাটা মনে পড়ে :: এমনকি শিক্ষিত এবং দায়িত্বশীল অবস্থানের মানুষও আছেন তাদের মধ্যে ~
আমি অনেককেই কারো সম্পর্কে বলতে শুনেছি "লোকটা ভালো, নামাজ-কালাম পড়ে ......" নামাজ-কালাম পড়া ভালো লোক হওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত শর্ত ?
আর অর্ধশিক্ষিত, বঞ্চিত মানুষকে তো ধর্মের কথা বলে সহজেই বিভ্রান্ত করা যায় :: কাজেই আমাদের দেশে যা ঘটছে সেটা রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা, সমাজকাঠামোর অসারতার উপস্থাপন, নয় কি?
ধর্মে অন্ধ সব মানুষের জন্য এখন করূণা ছাড়া আর কিছু বোধ হচ্ছে না ।
কিন্তু, এখন কী করার আছে, আমাদের দক্ষ এবং বুদ্ধিমান শাসকদের ? যারা নিজেরাই ধর্মব্যবসায়ী পালন করেন ক্ষমতায় থাকার জন্য !
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের জন্যে ভিভিআইপি নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে । আমাদের স্বজন এবং সুহৃদ দের তারা কী নিরাপত্তা দেবেন ?
আমরা শুধুই পার্সন ?(কোনো বিশেষণ ছাড়া ) , কিংবা যারা ভিভিআইপি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন, তাদের নিরাপত্তা দেবে কে ?
ঈশ্বরই জানেন !
বুধবার, নভেম্বর ৩০, ২০০৫
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৪, ২০০৫
সাময়িক
কোন কারণ ছাড়াই ::
অবশ্য এমন কিছু অর্থপূর্ণ পোস্টিং যে করি তাও তো নয় ;
(যেরকম ঠাণ্ডা পড়ছে ইদানীং, হাইবারনেশন স্টেটে যাওয়া ছাড়া উপায় দেখছি না ! )
এর মাঝে কেউ যদি পোস্টিং এক্সপেক্ট করে থাকেন ( তেমন কারও থাকার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি যদিও ! ) তবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ।
শুক্রবার, নভেম্বর ১৮, ২০০৫
??
অদিতি ফাল্গুনীর এই লেখাটা - আমাদের সহপাঠী অথবা বোমায় নিহত বিচারক জগন্নাথ শিরোনামে ~ ধিক ধর্ম-বেসাতি কাপুরুষদের !
আমরা আর বোধহয় বিচার অথবা নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করছি না , অবস্থাটা এর থেকে যেন আরও খারাপ না হয় - এটাই সম্ভবত প্রত্যাশা !
বুধবার, নভেম্বর ১৬, ২০০৫
?
এই লিস্ট টা আরো কত লম্বা হলে ধর্মান্ধরা আমাদের মুক্তি দেবে ?
কিংবা এই অন্ধকার পথটা আরো কতদূর - এটা কি কেউ বলতে পারবেন ? গানম্যান দিয়ে কারো নিরাপত্তা দেয়া যায় না - এই সহজ সত্যটুকু কেউ বলছেন না - ভীষণ অদ্ভূত ! আমাদের নার্ভ এত অনুভূতিহীন হয়ে পড়েছে ?
শনিবার, নভেম্বর ১২, ২০০৫
ব্যক্তিগত পঃ বিঃ
মাঝে ঈদ ছিল , ঘুমিয়ে কাটানো :: অন্য সব ঈদের সাথে পার্থক্য সেটুকুই, কারণ ঘটনাক্রমে ছুটির দিনের সাথে মিলে যাওয়া ; উল্টো সেটা বিরক্তিকর অবশ্য, উইক্-ডে হলেই দিনটা সহজে পার করা যায় । উইকএন্ডে বাঙালিদের টাইপড্ ঈদ গ্যাদারিং , টাইপড্ এই অর্থে যে, যেটা যেমন হয় তেমনই :: যেটা ভাল লাগে সেটা ভালই আর যেটাতে অনিচ্ছে নিয়ে যাই, সেটাতে যাওয়ার পরও ইচ্ছেটা বাড়ে এমনটা নয় ।
কয়েকদিন আগে ভার্সিটিতে বুয়েটের এক স্যারের সাথে দেখা হল, ১/১ এ ( আমার বুয়েটজীবনের একমাত্র টার্ম ) - আমাদের কেমিস্ট্রি সেশনাল নিতেন এবং আমি যে হলে থাকতাম- আউল্লা পঃ - এর প্রভোস্ট ছিলেন :: সম্ভবতঃ দুই মাসের কিছু একটা রিসার্চ সম্পর্কিত কাজে এসেছেন ।
এই সিমেস্টারের কোর্স মোটামুটি সবগুলোই ভাল লাগছে - বিষয়বস্তু হিসেবে একেবারেই মেজর-সম্পর্কিত ব্যাপার-স্যাপার, সেজন্যেই বোধহয় :: তবে অ্যাসাইনমেন্ট বেশি - এটাই ঝামেলার ; প্রতি সপ্তাহে UML class ডায়াগ্রাম আঁকতে ভীষণ বিরক্ত লাগে , এই অ্যাসাইনমেন্ট করার আগে টিচারকে কিছুক্ষণ গালিগালাজ করে নিই এবং সাবমিট করার আগে Apple কে আরেকবার ; Mac OS এর জন্যে , শেষ মুহূর্তে ল্যাব থেকে প্রিন্ট নিতে গিয়ে প্রতিদিনই ঝামেলায় পড়তে হয় , Mac server মাঝে-মধ্যেই ঘুমিয়ে নেয় । ( পঃ বিঃ -২)
অল্প সময়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে আমি খুবই অপটু , বিশেষ কিছু কেনাকাটা করতে গেলে একবার বাইরে বের হয়ে কিছুক্ষণ ভেবে নিই । অবশ্য শেষ পর্যন্ত নেয়া সিদ্ধান্ত যে সঠিক প্রমাণিত হয় এমনটাও নয় ~
:: পঃ বিঃ - পরস্পরবিরোধিতা ::
:: আউল্লা পঃ - আহসানউল্লাহ হল পশ্চিম , বুয়েট ::
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ০৩, ২০০৫
পরাজয়
সত্য প্রকাশে
কোনোই অলঙ্কার হয় না প্রয়োজন ।
অশ্বারোহী সৈনিকের মৃত্যুর পর
সওয়ারবিহীন, ঘরে ফেরা নতমুখ ঘোড়া
বলে দেয় সবকিছু ,
না বলে একটিও কথা ।
<<ফিলিস্তিনি কবি মাওরিদ বারখতি র কবিতা থেকে অনুবাদ :: প্রথম আলো সাময়িকীতে প্রকাশিত >>
কোন কিছুই আর আগের মত নেই ।
সেরকম কথাও ছিল না অবশ্য - প্রত্যাশাও করিনি কখনও শেকলটা ছেঁড়ার কিংবা দেয়ালটা ভাঙার :: প্রতীক্ষাও ছিলনা, শূন্যতার জায়গা নেবে অসীম :: সীমাহীনতার মাঝে হারিয়ে যেতে ভয় হয় বলে ।
মাঝে মাঝে অট্টহাসি দিয়ে ভাসিয়ে দিতে ইচ্ছে করে মেকি মুখোশ পরা মানুষগুলোর মিথ্যেদের ::
মিথ্যেরা মুখ ভ্যাংচায় ; পারিনা , এখন আর কিছুই পারি না । কিছুই হয় না এখন , কোন কিছুই আর আগের মত নেই বলে।
স্বপ্নেরা আজ অ্যাসফাল্টে ঘেরা নগরে আকাশছোঁয়া অট্টালিকা র তৈরি শহর-দ্বীপ থেকে বেরুবার পথ পায়না , শিকার হয় যান্ত্রিক ক্ষুধার :: বাস্তবতা নামের পরা-দানব ঘিরে ফেলে স্বপ্নযোদ্ধাদের , যুদ্ধটা জেতা হয়না কারও :: পরা হয় না ঘাসফুল-মালা - ধূসর অন্ধকার নেমে আসে; ঢেকে ফেলে রক্তাক্ত নাবিকদের , ভয়ের আবরণে ঢাকা পড়ে নীল জোছনা - ভয় , যে কোন সময় নেমে আসবে অমানিশা-প্রিয়-শ্বাপদের দল !
তবুও প্যান্ডোরার বাক্মের শেষ জিনিষটা থেকে গেছে প্রমিথিউসের মানুষের জন্যে ; অপেক্ষায় থাকে রত্নগর্ভা জননীর সন্তানেরা , দিগন্তরেখায় কখন দেখা দেবে বাদামী নক্ষত্রের আভা ! সে অপেক্ষার শেষ কোথায় কে জানে ?
মঙ্গলবার, নভেম্বর ০১, ২০০৫
মাথা ব্যথা
বায়োইনফরমেটিক্স নিয়ে গবেষণা করেন এরকম এক নতুন টিচারের জন্যে প্রায় জোর করে একটা কোর্স চালু করা হয়েছে , সেই ক্লাসটাতে বসে থাকতে গিয়ে মাথা ব্যথাটার শুরু :: ভদ্রলোক কী যে বলেন বুঝতে পারার কোন প্রশ্নই ওঠেনা :: প্রাণের জন্ম হলো কোত্থেকে এই জিনিষের উল্টোপাল্টা থিওরি নিয়ে আজকের লেকচার ; বিটকেল কোথাকার ! এই প্রাণের গবেষকেরা প্রাণহীন যন্ত্র-পাতির ডিপার্টমেন্টে ঢোকে কীভাবে ? এর ক্লাস যদি আর করেছি ...
ইদানীং কালেকশনের প্রায় সব গানের সিডি XPতে ব্লান্ক দেখাচ্ছে :: বন্যা র রবীন্দ্রসংগীতের কালেকশনের একটা mp3 সিডি পুরোপুরিই নষ্ট, কোথায় যে সমস্যা -- ড্রাইভে সমস্যা হলে আমি গেছি , ল্যাপটপের ওয়ারেন্টির সময় শেষ :: কিছু হলেও কিছুই করার নেই -- অর্থনীতির অবস্থা ভাল নয় ।
শুক্রবার, অক্টোবর ২৮, ২০০৫
দন্ত্য ন অণুকাব্য
এই টার্মে অ্যাসাইনমেন্ট বেশি, এবং বেশিরভাগই ভীষণ ঝামেলার :: ক্লাসে ঘুম পায়, তবে ঘুমাই না খুব একটা ; লজ্জ্বার ব্যাপার লেকচার এর মাঝে ঘুমিয়ে পড়া :: ঘুম পেলে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলেই হয় , ঘুমানোর জন্যে ক্লাসে বসে থাকাটা অর্থহীন ।
ইদানীং পড়ছি দন্ত্যস রওশন এর অণুকাব্যসমগ্র :: ভীষণ মজার , ভদ্রলোকের নামটা অদ্ভূত, (প্রকৃত নাম নয় অবশ্যই! ) অণুকাব্য ব্যাপারটা নতুন, না-কবিতা, না-ছড়া ; একটু ঝাল, একটু মিষ্টি ।
আমায় দেখে
দরোজা দিলে, একি
তাই তো তোমায়
জানালা দিয়ে দেখি ।
কিংবা ,
বরাবরই সে বসত
একদম লাস্ট বেঞ্চে
আমার চাকরি হলো
তারই রেফারেন্সে ।
আরেকটা আছে এরকম ::
যে দেশে ভালো সরকার নেই
সে দেশে থাকার দরকার নেই ।
<<দন্ত্যস রওশনের অণুকাব্যসমগ্র :: সময় , প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০০৫ >>
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২০, ২০০৫
বুধবার, অক্টোবর ১৯, ২০০৫
অধন্যাত্মক দিন!
দুদিন ধরে বৃষ্টি, একেবারে টিপিক্যাল জাপানি শারদীয় বর্ষণ সারাদিন ; টিপটিপ ও নয়, ঝমঝমও নয় ; (ধন্যাত্মক শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না এই মুহূর্তে ) , কী বলা যায় , রিনরিন ? ঝিমঝিম ?
সবকিছু বিট্রে করছে :: এমনকি যন্ত্রও , মেইলে প্রোগ্রামিং এর অ্যাসাইনমেন্ট পাঠানোর কিছুক্ষণ পর একটা কনফার্মেশন-রিপ্লে আসার কথা :: আজকে খেয়াল করলাম গত দু সপ্তাহ ধরে অন্য সবার সেটা ঠিকই আসছে, আমার আসছে না ; মজা লাগল ভীষণ । অটো-রিপ্লে প্রোগ্রামে কিছু একটা বাগ আছে সম্ভবত , আর সেটার একমাত্র শিকার আমার অসহায় লগইন ID ; পড়াশুনা বলতে অ্যাসাইনমেন্ট টাই করি, সেটাতেও বাগড্ হয়ে গেলে কী আর করা !
সন্ধ্যায় ভার্সিটিতে একটা পিছলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধুপ করে পড়ে গেছি, এখনও পা ব্যথা করছে :: আজকে আমার জন্যে নিশ্চয়ই কেউ শুভ কামনা করছে ; নইলে আরো খারাপ ভাবে পড়তেও পারতাম, কে জানে ?
বৃষ্টির একটা উপমা মনে পড়ছে এই মুহূর্তে :: কাক-ভেজানো বৃষ্টি ; ..... না এটাও বোধহয় ভুল হলো !
*****************************************
আমরা আবারও প্রথম হয়েছি ! অভিবাদন (!!!) সবার জন্যে ..
সোমবার, অক্টোবর ১০, ২০০৫
শিরোনামবিহীন
বাসায় ফিরেছি ১০টার পরে, ঘুমিয়ে পরেছিলাম ট্রেনে :: আমার স্টেশনে এসে ঠিকই ঘুম ভেঙে গেছে অবশ্য । এর আগে ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়ে নিজের স্টেশন পার করে চলে গেছি বেশ কয়েকবার । সারাদিন মেঘলা, সামান্য বৃষ্টি ; ঠাণ্ডা ভাব, সবার পোষাকে শীতের ভাব, যদিও সময়টা এখনও ফল ::
শেষ পোস্টিং** টাতে অন্ধকার :: সেজন্যে ক্ষমাপ্রার্থী ।
আজ সারাদিন বৃষ্টি, ছুটির দিন , Health Sports Day :: একটা বিরক্তিকর অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে মাথা ব্যথা হয়ে গেছে, যেটা সাবমিট করতে হবে আগামীকাল সকালে ::
টিভির নিউজ প্রোগ্রামে এ প্রায় সবটা সময় পাকিস্তানের ভূমিকম্পের চিত্র আর বিশ্লেষণ :: ধ্বংসস্তুপের পাশে বসে আত্মজনের জন্যে প্রতীক্ষায় এক তরুণী বলছেন , "I have no grief, no sorrow; no hope even!" :: কথাটা এখনো কানে বাজছে ।
পুরো একটা প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে গেছে - এরকম শিরোনাম দেখলাম বিবিসি সাইটে :: আমরা কতটা অসহায় !
**এই মূহুর্তে অপ্রকাশিত - as on Nov 18-2005
রবিবার, অক্টোবর ০৯, ২০০৫
ভীষণ
আজ একা একা অনেক দূর হেঁটে চলে গেছি, উদ্দেশ্যহীন ::
বিকেল পাঁচটায় রোজকার বাজনার শব্দ, বাস্কেটবল কিংবা বেসবল খেলে বাড়ি ফেরা স্কুলের বাচ্চারা ; কিংবা বাচ্চা কোলে তরুণ মা
কোন দিকে ভ্রক্ষেপ নেই, একা একা চুপচাপ বসে ছিলাম অনেকটা সময়, ভাবনাহীন ::
ভীষণ কাঁদতে ইচ্ছে করছিল, ইচ্ছে করছিল এই অসময়ের বৃষ্টিতে ঠান্ডা লাগানোর ;
যদিও ১৮ পেরোনোর পর কেঁদেছি বলে মনে পড়ে না ।
প্রায় মৃত একজন হয়ে আছি । ১০ স্কেলে বললে মাত্রাটা ৬ এর উপরে ::
::এই পোস্টিং অসম্পূর্ন; হয়ত শেষ করবো আরেকদিন ::
বুধবার, অক্টোবর ০৫, ২০০৫
আদরের নৌকো
হ্যালোজেন বৃষ্টিতে ; রঙ লিখে ঘর পাঠায় ।
ভিখিরিরা স্বপ্ন পায় , তুষারের রাজধানী ধুয়ে যায় জোসনায় ;
ধুয়ে যায় আদরের পথঘাট , ভেসে যায় আরামের অঞ্চল
রেলিঙের ঘুমঘোরে ; টুপ করে কাঁদলো জল
ডানাভাঙা একলা কাক, পথ ভেসে থাক, একলাটি থাক
এই জন্মের রেলগাড়িরা যায়, জলপরী হাত ধূলো হাওয়ায়
হাওয়াকে ; এসে আঁকে তালডানায়
এই নরম চুল , ধূলোর ফুল , যায় ভেসে যায় ।
ভেসে যায় আদরের নৌকো, ভেসে যায় সোহাগের শামপান,
সিগারেট টুকরো রা, মুখচোরা শিখছে স্নান
দড়িঘেঁরা বালিস্তুপ, জোনাকির রূপ, বুকে নিয়ে চুপ
এই জন্মের রেলগাড়িরা যায়, জলপরী হাত ধূলো হাওয়ায়
হাওয়াকে ; এসে আঁকে তালডানায়
এই নরম চুল, ধূলোর ফুল, যায় ভেসে যায় ।
ভেসে যায় আদরের নৌকো, তোমাদের ঘুম ভাঙে কোলকাতায়
হ্যালোজেন বৃষ্টিতে ; রঙ লিখে ঘর পাঠায় ।
ভিখিরিরা স্বপ্ন পায় , তুষারের রাজধানী ধুয়ে যায় জোসনায় ;
"আদরের নৌকো" :: গান : চন্দ্রবিন্দু :: অ্যালবাম এবং প্রকাশকাল : জানা নেই
এই গানটা ভীষণ অদ্ভূত, গত কয়েকদিনে সবচেয়ে বেশিবার শোনা ; হয়ত অর্থহীন কিন্তু উপমাগুলো কেমন যেন মন কেড়ে নেয় , বহুবার শুনলেও আবার শুনতে ইচ্ছে করে ।
:::: কৃতজ্ঞতা : আমাদের গান ডট কম, গানের লিন্ক এর জন্যে ::
নভেম্বর ১২, ২০০৫ :: সম্ভবত: উপরের লিন্কটা এখন আর কাজ করছে না , আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে নতুন লিন্ক:: আদরের নৌকো
রবিবার, অক্টোবর ০২, ২০০৫
কেমন আছি?
শেষ সিমেস্টারের রেজাল্ট হয়েছে প্রায় ভূতুড়ে :: যে কোর্সে পাস মার্কই পাবোনা ধরে বসেছিলাম , সেটাতে ফুল মার্কস :: আর যেটাতে অবশ্যই :এ: পাবো আশা করছিলাম সেটা কোনভাবে পাস করেছি - নিজের কাছেই অর্থহীন মনে হচ্ছে ::
সে যাইহোক, রেজাল্ট নিয়ে এত মাথা ঘামানোর দিন অনেকদিন আগেই পেরিয়ে এসেছি, কাজেই সে গল্প এখানেই শেষ ।
*********************************************************
আজকাল কোন কিছুতেই খুব একটা আগ্রহ অনুভব করি না , বাংলা খবরের কাগজও এক নজর মেইন পেজ দেখে বিস্তারিত না পড়েই ব্রাউজার বন্ধ করে ফেলি :: কয়েকদিন আগে বুয়েটে পূজার ছুটি নিয়ে হৈ-চৈ এর খবর পড়ে খারাপই লাগল অবশ্য । তথাকথিত সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনেও বন্ধুরা আছে , আছে ছোট বাম সংগঠনেও :: কাজেই বন্ধুরাই বন্ধুদের মারপিট করছে - সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় তার ছবি দেখতে ভাল্লাগবেনা অবশ্যই । ( আমি তথাকথিত শব্দটা ব্যবহার করছি কারণ বুয়েটের রাজনীতিকে আমাদের দেশের ছাত্র রাজনীতির সত্যিকার চেহারার সাথে এক করে দেখাটা বোধহয় ঠিক হবেনা )
আমি দায়ী করবো প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ; আমি স্বল্প সময় বুয়েটে ছিলাম :: সেই একটা টার্মেই (২০০১ এর শেষার্ধ ) পরীক্ষা পেছানোর মত ক্ষুদ্র ব্যাপার নিয়ে তাঁরা যেরকম কাণ্ড করেছিলেন এবং সাধারণত যেমনটা তারা করে থাকেন তাতে মনে হতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাঁদের শত্রু ।
আসলে সমস্যাটা বোধহয় অন্য জায়গায় , আমাদের দেশে যার যে আসনে বসার যোগ্যতা থাকেনা তাকে সেখানে বসানো হয় ; ব্যাপারটাকে প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ নাম দিয়েছিলেন স্থানচ্যুতির অস্থিরতা :: তাঁর একটা প্রবন্ধ পড়ছিলাম ;
"একটা রোগ বাঙালির আগে ছিল না ; কিন্তু গত দু-দশকে উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছে ওই রোগটির , যার নাম 'স্থানচ্যুতির অস্থিরতা বা বৈকল্য' । ব্রিটিশ পর্বে বাঙালি জানতো সমাজে তার স্থান কোথায় , সে চাষী হবে , না হবে দারোগা , না কেরানি , না মেজিস্ট্রেট ? পাকিস্তানপর্বেও জানতো কী হতে পারে সে .....
.....যার হওয়ার কথা ছিলো , বা সুখী বোধ করতো নিম্নপদস্থ হয়ে , সে হঠাত্ একদিন নিজেকে দেখতে পাচ্ছে উচ্চপদে ; যে কেরানিও হতে পারতো না , সে মন্ত্রণালয়ের প্রভু হচ্ছে ; যার কথা ছিলো অসরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার , সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো অধ্যাপক হচ্ছে । যার বাসে ঝোলার কথা ছিলো , সে হঠাত্ হয়ে উঠছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত । ফলে চারদিকে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে । পদ আর ব্যক্তিটির মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি হচ্ছে না , পদটিকে মনে হচ্ছে ব্যক্তির ওপরে , বা ব্যক্তিটির মাথার ওপর চেপে আছে পদটি । চারপাশে এখন দেখা যাচ্ছে স্থানচ্যুতি রোগটি । তাই কোথাও কিছু চলছে না ঠিক মতো । চারদিকে বিকলন । "
আমাদের দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্তাব্যক্তিদের আচরণ দেখলে ব্যাপারটা এমনিতেই বোঝা যায় । দায়িত্বশীল পদে আসীন হলে কথাও যে দায়িত্ব নিয়ে বলতে হয় এই ক্ষুদ্র ব্যাপারটাও কেউ জানেন বলে মনে হয় না ।
(::: মাঝের অংশটুকু বাঙালি : একটি রুগ্ন জনগোষ্ঠি ? প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত :::)
সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০০৫
তিন দিন!
আবার পরবাসে ফেরা, দেশ থেকে এসে পৌঁছেছি শুক্রবারে ; প্রায় ঘরবন্দি হয়ে আছি তিনটা দিন - শুক্রবার পাবলিক হলিডে থাকায় তিনদিনের উইকএন্ড :: ভাল লাগছে না কিছুই, রান্নাবান্না দূরের কথা, বাজার ই করতে ইচ্ছে করছেনা ; ফোন-নেট হাতের কাছে না থাকলে বন্দি জীবন বলা যেত এটাকে ।
স্কুলের হোমপেজ বলছে, গ্রেডশীট মেশিনে চলে এসেছে ; আমলনামা নিতে কাল যাবো, ভয়ই লাগছে :: কী যে হবে ! এবার নতুন সিমেস্টারের ক্লাস শুরু না হতেই রেজাল্ট দিচ্ছে , স্কুল প্রশাসনে কিছু উন্নতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে !
আইচি এক্সপো (Aichi Expo) আজকে শেষ হলো, যাওয়ার ইচ্ছে ছিল ভীষণ , সুযোগ হল না ।
রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০০৫
শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০০৫
বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০০৫
কনফেশন - ১
সে দিনটা আজ হোক আর অন্য আরেকদিন ।
আমার সবসময় তাই মনে হয় ; কেন, জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতে পারবোনা ।
এই ছুটিটা কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা, আত্মোপলব্দ্ধি কিংবা এড়াতে না পারা কিছু বাস্তব সত্যের জন্য কখনোই ভুলতে পারবোনা সম্ভবতঃ । এই ব্লগটার ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়েছে , ইচ্ছে করে অবশ্যই নয় ; নিজেকে লুকিয়ে ফেলার জন্যে ।
আমি সবসময়ই তাই করি ; নিজেকে লুকিয়ে ফেলি, নিজের রঙ টুকু মুছে ফেলে আমি বা আমি সম্পর্কিত কারণে অন্য কেউ যেন প্রভাবিত না হয়, সে চেষ্টা করি ।
ছোটবেলায় প্রথম যখন সাইকেল চালানো শিখি, চালাতে গিয়ে কারো সাথে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা থাকলে আমি নিজেই আগে ইচ্ছে করে পড়ে যেতাম, যাতে ধাক্কাটা না লাগে ।
আমার সাথে কোনভাবে দেখা হয়ে গেলে বিব্রত হয়ে পড়বে, এরকম মানুষ আমি নিজের থেকেই এড়িয়ে চলি ।
যে কোন তর্কে আমি যখন বুঝতে পারি , অন্যপক্ষটি হারতে ভীষণ অপছন্দ করেন, তখন আমি তার যুক্তির পক্ষে (অযৌক্তিক হলেও ! ) হ্যাঁ-হুঁ করা শুরু করি ।
কৈশোরে আমি যখন প্রথম অপোজিট সেক্সের একজন মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম, আমি সেটা প্রকাশ করিনি কারণ আমি সেখানে আমার মত দ্বিতীয় একজনের উপস্থিতি অনুভব করেছিলাম ।
আমি যুদ্ধ ভীষণ অপছন্দ করি, এমনকি খুব সাধারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়াও ;
আমি জানি, আমি একটা ক্ষুদ্র মানুষ যার অস্তিত্বের রং ভীষন হালকা ।
আমি অসংখ্য প্যারাডক্স এ ডুবে থাকা অনেক কিছুতেই দ্বৈত মানসিকতার একজন ।
আমি জানি একদিন আমি নিজেকে মেরে ফেলব, তবে সে দিনটা আজ নয়; কিংবা নয় আগামীকালও ।
কোন একদিন ।
::::প্রথমে এই পোস্ট এর শিরোনাম ছিল 'আমি জানি', পরে পরিবর্তন করেছি:::::
বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৮, ২০০৫
দুঃস্বপ্ন
কোনও পদশব্দ ?দেখতে কি পাচ্ছেন না
ভয়ন্কর একপাল না জন্তু-না মানুষ
তেড়ে আসছে চৌদিক খেকে ? ওদের দাঁত-নোখে
লেগে আছে পুরনো আর নতুন রক্তচিহ্ন ,
মানুষের হাড় দিয়ে ওরা পেটাচ্ছে কান-ফাটানো
ঢাকঢোল ;
<শামসুর রাহমান :: আমার একটি দুঃস্বপ্ন :: সৌন্দর্য আমার ঘরে, বিউটি বুক হাউস, প্রথম প্রকাশ ১৯৯৮>
..........................................................................................
এরপর আমরা কোথায় যাবো ?
সম্ভবতঃ আমরা দেয়ালের থেকে খুব বেশি দূরত্বে নেই , এবং আর সামান্য পিছিয়ে গেলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবে ।
রাজনীতি এবং রাষ্ট্র শাসন নামক ভীষণ জটিল জিনিষগুলোর সাথে জড়িত সম্মানিত রা কি দেয়ালটা দেখতে পাচ্ছেন না ?
মফস্বলে থাকি, কাজেই হরতালেও খুব একটা দুশ্চিন্তা ছাড়াই বাইরে বেরিয়ে যাই, এবং ঠাণ্ডা-ঠাণ্ডা একটা মফুস্বলে ভাব উপভোগ করি, কখনও কখনও দাঁড়িয়ে পড়ি মিছিল দেখার জন্য ; ছোটবেলা থেকে দেখা ছবিটা পাল্টায় না দেখে কিছুটা অবাকও লাগে ।
আর বোধহয় সেটা করার সাহস হবে না , আপাততঃ মরতে চাচ্ছি না কোন কূপমণ্ডুক কাপুরুষের বোমায় কিংবা গ্রেনেডে।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রধান দুটো রাজনৈতিক দলের একে অপরকে দোষারোপ করে চ্যাঁচামেচি শুরু হয়ে গেছে এবং আমরাও ভ্যাঁড়ার মত কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে খেলাটায় নিজেদের ভূমিকা বুঝে উঠতে পারছি না । কি আর করা, আসুন, আমরা ক্যাবল টেলিভিশনে সবার কাভারেজ উপভোগ করি এবং তালি বাজাই মাঝে-মধ্যে অন্য বারের মত এবারও ।
<রাজশাহী:: আগস্ট ১৮ :: ২:০৫ >
সোমবার, আগস্ট ১৫, ২০০৫
রবিবার, আগস্ট ১৪, ২০০৫
বন্ধুরা
আমাদের স্কুলে ক্লাস ক্যাপ্টেনের একটা কাজ ছিল :: রেজাল্ট বা অন্য কোন প্রয়োজনে সবার নামের লিস্ট দরকার পড়লে তৈরি করে দেওয়া :: এই কাজ করতে করতে পুরো ক্লাসের নেইম-লিস্ট টা মুখস্থ হয়ে থাকতো ।
বন্ধুরা বেশিরভাগই গ্রাজুয়েশন শেষের পথে কিংবা কারো কারো শেষ; খবর জিজ্ঞেস করলে শুনতে পাই, "দোস্ত, বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করতেছি ।" উত্সাহিত করি, অনেকদিন পর দেখা উপলক্ষে এক কাপ চা ও হয়ে যায় , তারপর নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি, "বাইরে ই সব ভালো, তাই না, রবি রেমান? নদীর ওপার টাতেই সব সুখ ! "
***********************************************************
<আগের পোস্টে এ একটা অসম্পূর্ণ তথ্য ছিল । এক সুহৃদ জানিয়েছেন, চক্র এর প্রথম প্রকাশ :: জানুয়ারি ২০০৪ (খন্ড আকারে ); ধন্যবাদ তাকে । আমি যেটা পড়ছিলাম, সেটা অখন্ড সংস্করণ এবং প্রথম প্রকাশ :: ফ্রেবুয়ারি ২০০৫ >
শনিবার, আগস্ট ১৩, ২০০৫
চক্র
বুড়োর হাতে পেনসিল, হাঁটুর ওপর রাখা একটা খাতা । বুড়ো মন দিয়ে একটা অঙ্ক কষছে । যুবকটি জিজ্ঞেস করে, আর কত দূর ?
বুড়ো খরখরে গলায় বলে, আর বেশি দূর নয় বাবারা । এসে গেছি । তবে ঠিকানাটা বড্ড প্যাঁচালো, অনেকটা ধাঁধাঁর মতো । এই অঙ্কটা মিলে গেলেই ঠিকানাটা বেরিয়ে আসবে ।
কিশোরটি বলে, আমার যে খিদে পেয়েছে বুড়ো ।
আর একটু চেপে থাকো বাবা, কাছেপিঠেই এসে গেছি । অঙ্কটা মিললেই হয়ে গেল ।
পিছনের বাচ্চাটা বলে উঠল, তুমি যে বলেছিলে বাবার কাছে নিয়ে যাবে !
হ্যাঁগো দাদুভাই, বাবাও এখানেই আছেন । এইসব ধাঁধাঁধন্ধ কেটে গেলেই বাপের কোল । একটু রোখো বাবাসকল, অঙ্কটা মিললেই হয় ।
বালকটি বলে ওঠে, আর অঙ্ক না মিললে ?
না মিলে কি উপায় আছে শালার ? সহজে ছাড়ব ভেবেছ ? সেই কবে থেকে কষে আসছি, কষতে কষতে বুড়ো হয়ে গেলুম, না মিললে চলবে কেন ?
যুবকটি চড়া গলায় বলে, অনেকক্ষণ ধরে তুমি ধাপ্পা দিয়ে যাচ্ছ বুড়ো, তোমার সব ফক্বিকারি । তোমার চালাকি আমি বুঝে গেছি । নৌকো ঝাঁকিয়ে এবার তোমাকে ফেলে দেব ।
বুড়ো ঘ্যাঁস,ঘ্যাঁস করে মাথা চুলকায় । ছেলেগুলোর দিকে চোরা চোখে চায়, তারপর বলে, অঙ্কটার মধ্যে কিছু ফক্কিকারি ভয় আছে বটে, কিন্তু মিলে যাওয়ারই কথা ।
বাচ্চাটা চেঁচিয়ে বলল, আমি বাড়ি যাব ।
যাবে বইকী বাবা, যাবে বইকী । এখানেই কাছেপিঠেই তোমাদের বাড়িঘর । শুধু অঙ্কটা মিলে গেলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে । বাড়ির ঘাটের ভিড়ে যাবে নৌকো ।
এসব তোমার চালাকি বুড়ো ।
বুড়ো আর্তনাদ করে ওঠে, না না, মাইরি বলছি । আমি ঘাটের গন্ধ পাচ্ছি ।
যুবকটি হিংস্র গলায় বলে, ছাই পাচ্ছ । তোমার সব মিথ্যে কথা ।
বুড়ো ভারী জড়সড় হয়ে বলে, না গো বাবাসকল, এই শেষের পথটুকুই যা গোলমেলে । আর দু-চার লাইনের মধ্যে অঙ্কটা মিলে যাবে মনে হয় । মেরে এনেছি প্রায় । আর অঙ্ক মিললেই কেল্লাফতে ।
অঙ্কফঙ্ক আমরা বুঝি না । আমরা বাড়ি যেতে চাই ।
বুড়ো ভয়ে ভয়ে বলে, সে তো আমিও যেতে চাই বাবা সকল । একটু চেপে বসে থাকো, আর দেরি নেই ।
কতকাল ধরে তুমি একই কথা বলে যাচ্ছ বুড়ো ! আর নয়, এবার তোমাকে নৌকো থেকেই ফেলে দেব ।
বুড়ো ফঁত করে নাকটা ঝেড়ে নিয়ে আতঙ্কিত গলায় বলে, তাহলে যে বড্ড পাপ হবে বাবা । আত্মহত্যা যে পাপ ।
আত্মহত্যা ?
না । আমাকে মারলে যে তুমি তোমাকেই মারবে ।
তার মানে ?
ভাল করে ঠাহর করে দেখ দিখি বাবা, আমার মুখখানা চেনা লাগছে না ?
না তো !
ওই যে একটা বড় তারা আসছে কাছে, তার আলোয় ভাল করে দেখ । চেনা লাগে ?
যুবকটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, তাই তো ! তুমিই তো বুড়ো বয়সের আমি ।
বুড়ো শতখান হয়ে হেসে বলে, তাই তো বলছি বাবা, এক নৌকায় এই আমরা কজনা কি আলাদা ? ওই আঁতুড় থেকে এই সেকেলে বয়স অবধি একটাই যে লোক । আলাদা আলাদা মনে হয় বটে, আসলে একটাই লোক যে,আবার একটা লোক হয়েও আলাদা বটে ।
তার মানে কী ?
ওইটেই তো ধাঁধাঁ । আর ওই ধাঁধাঁর জন্যইতো শালার অঙ্কটা মিলে গিয়েও মিলতে চায় না । কেবলই ফ্যাকড়া বেরোয় । একটু চুপ করে বসো তো বাবারা । আর একবার মাথা ঠাণ্ডা করে অঙ্কটা শুরু থেকে কষে দেখি । কোথায় যে শালা ভুল হচ্ছে ।
সবাই চুপ করে বসে রইল । নৌকোটা দুলে দুলে চলতে লাগল । কত যুগ কেটে যেতে লাগল । কত আলোকবর্ষ পার হল তারা । তবু পৌঁছল না । শুধু কাগজের উপর পেন্সিলের শব্দ হয়ে যাচ্ছে খস্ খস্ খস্ খস্ ।
<চক্র:: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় :: ৪১৬ পৃষ্ঠা :: আনন্দ পাবলিশার্স, প্রথম প্রকাশ: ফ্রেবুয়ারি ২০০৫>
অসাধারণ একটা বই; গল্পের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কহীন এই রুপক অংশটুকু বই এর শেষ দুটো পৃষ্ঠা থেকে তুলে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা । (কপিরাইটের কথা চিন্তা না করে!)
আমরা সবাই একটা চক্রে পড়ে আছি, শুধু চেষ্টা চক্রটা কাটিয়ে বের হয়ে আসার; ব্যাপারটা বোধহয় আত্মঘাতী, নয় কি?
বুধবার, আগস্ট ১০, ২০০৫
এলেবেলে
কখন বৃষ্টি আসে-যায়, ঠিক-ঠিকানা নাই । বাইরে বের হলে কখনো কখনো এক পলকের বৃষ্টিতে ভিজেও যাই , কেয়ার করি না । কিছুটা ঢিলেঢালা সময় যাচ্ছে । ঘুমানো, টিভিতে খেলা দেখা আর আড্ডা মারা - অলস মানুষ হয়ে যাচ্ছি ; প্যারাডক্স এ ভরা জীবন যাপন করা একজন অলস মানুষ !
অবশ্য কয়েকবার পড়া বই আবার পড়ছি, এই মুহূর্তে পড়ছি লোটাকম্বল - সঞ্জীব চট্ট্যোপাধ্যায় এর । এককথায় অসাধারণ । বই আমি ভীষণ মিস করি সবসময় ; বুয়েটে ক্লাস শুরুর আগে কোচিং-ট্যুইশনি করিয়ে যে টাকা পেতাম ; গল্পের বই কিনেই শেষ করে ফেলতাম ।
এবার বুয়েটের সাথে সম্পর্ক শেষ করে ফেলার ইচ্ছা আছে :: ভর্তি ক্যানসেল করবো ; এইচ-এস-সি র মার্কশিটটাও তোলা হয়নি; যদিও কোন কাজে লাগবে কিনা কে জানে ?
বৃষ্টি হলে আমাদের বাসার ফোন কথাবার্তা বন্ধ করে দেয় ; এবং ফলাফল হিসেবে আপাততঃ নেট বিচ্ছিন্ন, অবশ্য নেট খুব একটা প্রয়োজনও দেখছি না ; যে কোন ধরনের যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন কোথাও চলে যেতে ইচ্ছে করে মাঝে-মধ্যে, ভীতু মানুষের মতো !
<০২:১০,আগস্ট ১০, রাজশাহী>
সোমবার, আগস্ট ০৮, ২০০৫
দেশে ~
চতুর্থ সিমেস্টারে একটা কোর্স নিতাম, সমাজ, অর্থনীতি টাইপের ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে; এরকম একটা থিওরি ছিল যে, কোন ঘটনার বাইরে দাঁড়িয়ে সেটার সমালোচনা কিংবা মূল্যায়ন করা যায় খুব সহজেই :: কিন্তু ঘটনার মধ্যে থেকে ব্যাপারটা প্রায় অসম্ভব।
বাইরে থেকে দেশ নিয়ে, সমাজ নিয়ে কমেন্ট করাটা সহজ ; ঘটনার ভিতরে থেকে উপলব্ধ সত্যিগুলো যখন কষ্টকর মনে হয় তখন সেগুলো নিয়ে কমেন্ট করাটা নিজের বেঁচে থাকা প্রতিবেশ নিয়ে হেসে ওঠার মত ব্যাপার বলে মনে হতে পারে।
যন্ত্রের মত সবাই বলে ভাল আছি, কেমন যেন জোর করে বলা কথাটা কানে বাজে :: সত্যিকার ভাল থেকে ভাল আছি বললে এমনি বোঝা যায়, নয় কি ?
ভাল নেই বললে একগাদা ব্যাখ্যা বলতে হয়, সেজন্যে সবাই এড়িয়ে চলে বোধহয় বলাটা।
কে জানে কোন্ টা ভাল থাকা আর কোন্ টা এড়িয়ে চলা ?
কে ই বা জানে ?
শুক্রবার, আগস্ট ০৫, ২০০৫
সাদাসিধে ভাইব্রেশন
<দেশে ফেরার আগে; ৫ই আগস্ট >
বুধবার, আগস্ট ০৩, ২০০৫
দ্য হোয়াইট ব্যান্ড
সাদা ব্যান্ড :: "Global Call to Action Against Poverty" আন্দোলনে অংশগ্রহণের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত ব্যান্ড
<সম্পর্কিত ব্লগ>
আজকে হোয়াইট ব্যান্ড এর খোঁজ পেয়ে গেলাম কুরি র কাছে; এই প্রথম একজনকে পেলাম যে এই আন্দোলন সম্পর্কে জানে । এবং আমার বন্ধুদের মাঝেই ; ভাল লাগল ভীষণ ।
সোমবার, আগস্ট ০১, ২০০৫
রবিবার, জুলাই ৩১, ২০০৫
মধ্যবিত্ত
আজকের যুগান্তর এ একটা রিপোর্ট দেখছিলাম, মধ্যবিত্ত হারিয়ে যাচ্ছে শিরোনামে ;
মধ্যবিত্তের সংজ্ঞা বেশ জটিল; সমাজের কোন স্তরের মানুষকে মধ্যবিত্ত বলা হবে ব্যাপারটা সম্ভবত খুব একটা পরিষ্কার নয়, কিন্তু একটা সমাজে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ যে স্তরে পড়ে, সেটাই বোধহয় মধ্যবিত্ত । আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাঁধা আয়ের মধ্যবিত্ত সমাজ যে অসহায়, রিপোর্টে সেটাই মনে করিয়ে দেয়া । মোবাইল, রিকশা কমে গিয়ে প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠা সিএনজি - নতুন খরচের আরো অনেক উপাদান যোগ হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারে; সেই খরচ বিয়োগ করে হিসেব মেলানোর রাস্তাটা জানা নেই মধ্যবিত্ত বাবা-মা র । রিপোর্টের বক্তব্য অনেকটা এরকম ।
একটা প্রশ্ন অবশ্য আছে, আমাদের দেশে পিজা হাট কিংবা ডমিনোজ পিজা (অবশ্য সত্যিকারের ডমিনোজ এর সাথে সম্পর্কহীন, আমি ভুঁয়াই বলব ) এর মত জিনিষগুলো কিংবা পুঁজিবাদের অন্যান্য উপাদান ঠিকই ঢুকছে ; আমার মনে আছে, অর্থমন্ত্রী নিজেই কোন একটা এরকম চেইন এর উদ্বোধন করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে ট্যাক্স ঠিকমত দেয়া নিয়ে সংসদে এর প্রশংসাও করেছিলেন । জাকজমকে ভরা শপিং মল আর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ছড়াছড়ি গত ২/৩ বছরে, এসব জায়গায় যাওয়ার মত কনজ্যুমার নিশ্চয়ই যথেষ্ট তৈরি হয়েছে ?
আমি গত বছর এক বন্ধু সহ ঢাকায় এরকম একটা শপে খেতে গিয়ে খাবারের মান এবং মূল্য দেখে বিস্ময় চেপে রাখতে পারিনি । কনজ্যুমাররা অসহায় !
তথাকথিত উন্নত পৃথিবীতে সাধারণ মধ্যবিত্তের জন্যই এই চেইন ফার্স্ট ফুড শপগুলো; কিন্তু আমাদের মধ্যবিত্তের আয় কি এই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ? তাহলে ধরে নিতে হবে, আমাদের সমাজে মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক সামর্থ্যের গ্রাফ অনেক উপরে উঠে এসেছে অথবা মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে অনুভূমিক অক্ষ বরাবর স্থাপন করা হলে গ্রাফের রেখাটা খুব একটা সমান্তরাল হবে না ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে পুঁজিবাদ এবং বিশ্বায়নের বিরোধী, কিন্তু ব্যাপারটা অনেকটা আত্মবিরোধিতার মত, আমাকে বাধ্য হয়েই ম্যাকডোনাল্ডস, মস বার্গার কিংবা কেনটাকি চিকেন টাইপের জায়গাগুলোতে ঢুকতে হয় প্রায়ই, পেট ঠান্ডা করার জন্যে; কাজেই নামেই বিরোধিতা ?
শনিবার, জুলাই ৩০, ২০০৫
পরীক্ষা শেষ!
ব্যক্তিগত:
লম্বা সময় পর ব্লগ সাইটে ঢুকলাম, আজকে আরেকটা সিমেস্টার শেষ হলো; এখন পর্যন্ত ব্যস্ততম একটা সিমেস্টার । খুব স্বাভাবিক ভাবেই পরীক্ষা খারাপ হয়েছে এবং কেমন যেন বিপদের গন্ধ পাচ্ছি । গত এক মাসে প্রায় অস্বাভাবিক একটা সময় পার করেছি ; জাপানিজ বন্ধুদের স্ট্যামিনা দেখে অবাক হওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না; আমার চেয়ে ২-৩ টা কোর্স বেশি নিয়েও কত স্বাভাবিক ! যাইহোক, ঝামেলা মুক্ত হয়েছি; প্রতীক্ষা ভাল কিছু র;
চারপাশে:
গত সপ্তাহের তাইফুন-৭ এর পর সত্যিকারের গরম কাকে বলে বুঝতে পারছি; অবশ্য পুরো গরম একটা বছরও জাপানে থাকলাম না; এ বছরেও নয়, আগামী সপ্তাহে দেশের পথে পা বাড়াবো ।
পশ্চিমা পৃথিবী আবারো সেই পুরনো ইসলামী মৌলবাদের ভয়ে আক্রান্ত, পশ্চিমা রাজনৈতিক নেতারাও কম মৌলবাদী নন; কাজেই কোন পক্ষের সমালোচনা করছি না। তবে ভেঁড়া হচ্ছি আমরা সাধারণ মানুষ; ধর্মীয় মৌলবাদ, বর্ণবাদ - এই ভূতেরা পৃথিবী ছাড়বে কবে ?
শুক্রবার, জুলাই ১৫, ২০০৫
অজুহাত
অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে সাইট টা । (অবশ্য প্যাঁচাল অর্থহীন ই হয় !)
তবে ব্লগটা নিয়মিত লিখতে পারছি না, কোন অজুহাত ও নেই নিয়মিত না লেখার । শেষ এক সপ্তাহে অজুহাত দেখিয়ে বেশ কিছু দায়িত্ব এড়িয়েছি; XML নিয়ে সামান্য কিছু কাজ, জিনিষটা নতুন হলেও অসম্ভব নয় ; বাদ দিয়ে দিতে হল ; এই প্রজেক্টটায় আমি কোন কাজই করছি না ।
অবশ্য অজুহাত একটা আছে, পড়াশুনার ছ্যাড়াব্যাড়া অবস্থা !
একই অজুহাতে আগামী দুই সপ্তাহে কোন ব্লগ হয়ত লেখা হবে না ।
শুক্রবার, জুলাই ০৮, ২০০৫
(?)
আবারও রক্তাক্ত হলো মানবতা, এবার লন্ডন; কাল সন্ধ্যায় ভার্সিটি থেকে ফিরে টিভি খুলতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল! আজও টিভি পর্দা কিংবা নিউজ সাইট গুলোর প্রথম পৃষ্ঠা জুড়ে মানুষের ভীত মুখ ...
এ আমরা কোথায় যাচ্ছি?
রবিবার, জুলাই ০৩, ২০০৫
Live-8 Concert এবং ....
জি-৮ সামিট কে সামনে রেখে পৃথিবীর বড় সংগীত তারকাদের নিয়ে লন্ডন, প্যারিস, বার্লিন, টোকিও র মত বড় ১০টি শহরে চলছে Live-8 Concert । উদ্দেশ্য আফ্রিকা এবং পুরো পৃথিবীর অন্যান্য অংশের দারিদ্রের ব্যাপারে জি-৮ এর নেতাদের ঘুম ভাঙানো; ম্যাডোনা, ব্রায়ান অ্যাডামস্ , green day, U2 র মত শিল্পীরা বিপ্লবের আহবান জানাচ্ছেন ।
ঘুম কি ভাঙবে মিঃ বুশ, কিংবা তার অতি অনুগত ব্লেয়ার কিংবা কোইজুমি র?
না বোধহয়, ইরাকে আক্রমণের আগে পুরো পৃথিবীর মানুষের চেষ্টায়ও যাদের সামান্যতম বোধদয় ঘটানো যায়নি, তাদেরকে গান শুনিয়ে লাভ নেই !
তবু চেষ্টা করতে দোষ কি ? জাপানে এই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন ফুজিওয়ারা নোরিকার মত মডেল কিংবা নাকাতা হিদেতোশির মত ক্রীড়া ব্যক্তিত্ত্ব । শ্লোগান হিসেবে বলা হচ্ছে, ধরিত্রীর এই দারিদ্র ফেলে রাখার সুযোগ নেই ("hottoke nai sekai no mazushisa")।
ধনতান্ত্রিক পৃথিবীর মানুষের ঘুম ভাঙাটা সম্ভবতঃ বেশি জরুরী ; প্রাচুর্যে ভরা পৃথিবীটাই পুরোটা নয় - বেশি দরকার এ সত্যটা জানানো । সফল হোক এ প্রচেষ্টা । জয় হোক মানুষের জন্যে মানুষের ভালবাসার !
মঙ্গলবার, জুন ২৮, ২০০৫
অস্বাভাবিক ?
প্রায় এক সপ্তাহ পর লিখছি, আবহাওয়ার কথা দিয়েই শুরু করি; প্রচণ্ড গরম, তাপমাত্রা দিয়ে বললে আজকে টোকিওর গড় তাপমাত্রা ৩৬+ ডিগ্রি সে.। সাথে যোগ হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত আর্দ্রতা; প্রায় অসহনীয়! অথচ মাত্র ২০০ কিমি দূরের নিগাতা বৃষ্টিতে প্রায় ডুবে যাওয়ার অবস্থা !
চারপাশের পৃথিবীও গরম এবং অস্বাভাবিক, দেশের পত্র-পত্রিকার ইন্টারনেট সংস্করণ খুলে আশ্চর্য হই, বিরক্ত হই এবং শব্দহীন হয়ে যাই; সন্ত্রাসীদের মৃত্যু তে শোক প্রকাশ করেন আমাদের জনপ্রতিনিধিরা, এমনকি আমাদের অতিব্যস্ত সরকারপ্রধানও হাজির হয়ে যান ফুল দেওয়ার জন্যে! লজ্জ্বা হচ্ছে সরকারপ্রধান হিসেবে তাকে মেনে নিতে। আমাদের নীতির সামান্যও অবশিষ্ট থাকল না । মন্ত্রীরা বহুজাতিক কোম্পানির কাছে দেশটাকে নিজেদের সম্পত্তির মত ব্যবহার করছেন এবং বিনিময়ে গাড়িও পাচ্ছেন ঘুষ হিসেবে; সেটাতেও কিছুই মনে করবো না; শুধু আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ কেড়ে নেবেন না এইটুকুই কামনা থাকবে ।
................................................................................................
ব্যক্তিগত:
নানা ধরনের সমস্যা চারদিক থেকে ঘিরে ধরছে, "বিপদ একা আসে না" - প্রবাদ টা হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছি। আপাতত হাইবারনেশন(Hibernation) এ ঢুকে যেতে ইচ্ছে করছে, চারপাশের সমস্যা গুলোর সমাধান হয়ে গেলে রানিং স্টেট এ ফিরে আসবো ! তবে আদৌ সমাধান হবে কি? আইনস্টাইন এর এরকম একটা উক্তি আছে, "সমস্যা যে পর্যায়ের চিন্তা দিয়ে তৈরি করা হয়, সেই পর্যায়ের চেষ্টা দিয়ে সমাধান করা যায় না " (The significant problems we face cannot be solved by the same level of thinking that created them.)
শনিবার, জুন ১৮, ২০০৫
সামার প্রজেক্ট
......................................................................................
অর্কুট বুয়ুকোকটেন : জাতীয়তা টার্কিশ; সার্চ ইঞ্জিন গুগল এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সোশ্যাল কমিউনিটি নেটওয়ার্ক "অর্কুট(Orkut)" এর নির্মাতা। গুগল এর পলিসি হচ্ছে, কর্মীরা নিজের পছন্দের কাজে শতকরা ২০ ভাগ সময় ব্যয় করবে, এর জন্যে কোম্পানির কাছে কোন কিছুই বলতে হবে না । এই পলিসি এবং বুয়ুকোকটেন এর পছন্দের কাজে ব্যবহৃত সময় থেকেই "অর্কুট" এর জন্ম (জানুয়ারি ২০০৪), এবং নির্মাণের পর মিঃ বুয়ুকোকটেন কে নিজের নামেই কমিউনিটি নেটওয়ার্কটা চালু করার অনুমতি দেয়া হয়।
বুধবার, জুন ১৫, ২০০৫
শিরোনামবিহীন সময়!
ব্যক্তিগত:
ব্যস্ততা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে; কেমন যেন মটো (motto) বিহীন এবং অনুভূতিহীন হয়ে যাচ্ছি; পড়াশুনার যাচ্ছে তাই অবস্থা ! গরমের ছুটিতে দেশে যাবো কি না সেটাও এখনও ঠিক করতে পারিনি। ইদানীং রান্না দারুণ হচ্ছে, (নিজের কাছে তাই মনে হচ্ছে!!) যদিও অলসতা করে সেটা নিয়মিত করা হয়ে ওঠেনা।
চারপাশে:
ইদানীং টিভি কম দেখা হয়, যেটুকু দেখি, তাতে টিভিতে দেখানোর মত খবরের অভাব মনে হচ্ছে। জাপানী মিডিয়া যখন প্রচার করার মত কোন খবর পায় না, তখন প্রাইভেট চ্যানেল গুলো উত্তর কোরিয়ার তথাকথিত নিউক্লিয়ার বোমা, সামরিক প্রশাসকের হাস্যকর দেশ চালানো - এই জিনিষ দিয়েই দিনের পর দিন চালিয়ে যায়; আর জনগণের ট্যাক্সে পরিচালিত NHK তার চিরাচরিত ভঙ্গিতে বাচ্চাদের স্কুলে মেলা, কোন এক চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথির আগমন, চীনের সমাজে অর্থনৈতিক অসমতা - এই জাতীয় নিউজ দিয়েই কাজ সেরে ফেলে। খু্বই টাইপড্ একটা ব্যাপার !!
দেশে:
দেশে সেলফোনের সিম কার্ড, রিম কার্ড এর উপরে ট্যাক্স নিয়ে বেশ তূলকালাম মনে হচ্ছে; ২০০ টাকায়ও নাকি সিম কার্ড পাওয়া যেত, ব্যাপারটা জানতাম না। দেশে গেলে এই একটা জিনিষ একটু কষ্ট করে শুনে যেতে হয়, বন্ধুদের মাঝে সেলফোনের গল্প ! সেলফোন জিনিষটা সময়টাকে অনেক পাল্টে দিয়েছে, এখন অপেক্ষা অপটিক ফাইবার লাইনের কাজ শেষ হওয়ার, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ দেশে পাল্টে দেবে আরো অনেক কিছু। সেসময়ের অপেক্ষায় !
শনিবার, জুন ১১, ২০০৫
ছাতা !
তবে ব্যাপারটা খুব একটা ভাল মনে হচ্ছে না, পরশু এক্সপেরিমেন্ট এর ক্লাসে দেরি হচ্ছিল আর একটু হলেই; সকাল ৯:১৫ তে ঘুম থেকে উঠে ৯:৪৫ এর ক্লাস ধরা, যেখানে বাসা থেকে স্কুল পৌঁছতেই সময় লাগে ১৫ মিনিট এর বেশি । (এই এক্সপেরিমেন্ট এর ক্লাসে সার্ভারে লগইন এর সময় দেখে সিমেস্টার শেষে Latecomers' Ranking করে ল্যাব পরিষ্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়; কাজেই ....)
.................................................................................................
শেষ পর্যন্ত তাইফুন-৪ এর কারণে গতকাল (শুক্রবার) সারাদিন বৃষ্টি, একটা বিশাল ছাতা দিয়েও কোন সু্বিধা করতে পারিনি। (তাইফুন গুলো কে উদ্ভবের সময়ক্রম অনুসারে সংখ্যা দিয়ে পরিচিত করা হয়, এটা ছিল ৪ নম্বর );
স্কুলজীবনে বাসা থেকে জোর করে ছাতা ধরিয়ে দিলেও ছাতা ছাড়াই চলে যেতাম ভিজতে-ভিজতে; পরে ভাজ করে রাখা যায় এমন একটা ছোট ছাতা ব্যবহার করতাম; সেটা হারিয়েছি এস.এস.সি টেস্ট পরীক্ষার সময় । (আমাদের এস.এস.সি পরীক্ষার ঐ বছরে অক্টোবর মাসে খুব অদ্ভূত বৃষ্টি হত, একটা পরীক্ষা ১ ঘন্টা পরে শুরু করা হয়েছিল, সবার গোসল করার মত অবস্থা হওয়ায়! )
তারপরে অনেক ছাতা হারিয়েছি, শুধু নিজের ছাতা নয়, ধার নেওয়া ছাতাও আমি হারিয়ে ফেলি, সেই কারণে ছাতা জিনিষটা ধার নিতে আমি ভয় পাই ।
বুধবার, জুন ০৮, ২০০৫
গরম!
........................................................................................................
দেশে ভীষণ গরম পড়ছে, বিশেষ করে রাজশাহীতে নাকি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী গরম, ৪২ডিগ্রির উপরে...সহানুভূতি থাকল সবার জন্যে এই গরমে।
এখানে সত্যিকার অর্থে গরম এখনও পড়েনি; তবে তাইফু (taifoon)আসা শুরু হয়ে গেছে; বৃষ্টিমাখা অপছন্দের আবহাওয়া চলবে মাঝেমধ্যেই।
টিভিতে ইদানীং একটা মজার জিনিষ দেখছি, প্রধানমন্ত্রী কোইজুমি এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা ইলেকট্রিসিটি খরচ কমানোর জন্যে ক্যাজুয়াল ড্রেসে অফিস করছেন - নো কোট, নো নেকটাই আন্দোলন; ব্যাপারটার উদ্দেশ্য নিজেদের ব্যয় কমানো নয়; পরিবেশের উপর চাপ কমানো। এই দেশে রাজনীতিবিদ সবাই ধোঁয়া তুলসী পাতা, সেটাও বলা যায়না। তবে উদাহরণটা দারুণ; নয় কি? ফর্মাল পোশাক আসলেই দরকার আছে কি? আমি তো উল্টো চিন্তা করি, এই গরমে কোট-নেকটাই মানুষ পরে কেমনে ?
রবিবার, জুন ০৫, ২০০৫
সোনার তরী
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি---
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী॥
---------------------------
সোনার তরী; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মাঝেমধ্যে মনে হয়, সোনার তরীর জন্যে আমিও যেন কূলে একা বসে আছি।
শনিবার, জুন ০৪, ২০০৫
শিরোনামবিহীন
মানুষের বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য বলতে আসলেই কিছু আছে?
অর্থপূর্ণ বেঁচে থাকাটাই বা কী?...
শুধু জলের স্রোতের মত ভেসে চলাটা অর্থপূ্র্ণ কিছু নয় নিশ্চয়ই ?
রবিবার, মে ২৯, ২০০৫
নাম না জানা ফুল
রাশি
কাওসার আহমেদ চৌধুরী মকর রাশি প্রসঙ্গে লিখেছেন কথাটা। (প্রাসঙ্গিক ব্লগ...)
অনেক পুরনো কথা ঘুরিয়ে বলা ।
তবে, নদীর কাছে না গিয়ে নদী পার হওয়ার কোন অ্যালগরিদম থাকলেও থাকতে পারে, কে জানে?
বুধবার, মে ১৮, ২০০৫
বুধবার !
এক্সপেরিমেন্ট-৩ এ ক্যাড এর গ্রাফ ডেটা নেওয়ার জন্যে ভার্সিটিতে গিয়ে বেশ হতাশ হলাম, এই দিন-দুপুরে কার্ড ছাড়া ঢোকা যাচ্ছেনা; আর আমি কার্ডটাও ভুলে ফেলে এসেছি। কাজেই অর্থহীন সময় নষ্ট হল ! এই এক্সপেরিমেন্ট টার ব্যবস্থাপনা ভীষন হাস্যকর।( বাংলা গালি লিখতে ইচ্ছে করছে যদিও, এবারের মত . . .)
আজকে প্রায় পুরো জাপানে বৃষ্টি হলেও টোকিওতে হচ্ছেনা; জাপানী বৃষ্টি ভীষন বিরক্তিকর, ২-৩ দিন ধরে একই ধরনের বৃষ্টি দেখতে ইচ্ছে করেনা।
আজকে একটা মজার কোটেশন পড়লাম, "In a world without wall and fences, who needs windows and gates?" ভীষণ হাসি পাচ্ছিল।
বুধবার, মে ১১, ২০০৫
বাংলাদেশ!
বুধবার, মে ০৪, ২০০৫
মঙ্গলবার, মে ০৩, ২০০৫
অনেক দিনের পরে....
অনেক দিন পরে লিখছি, এর মধ্যে অনেক কিছুই ঘটে গেছে; শারীরিক অসুস্হতা, বাসা-বদল, নতুন একটা টার্ম , সবকিছু মিলিয়ে -নতুন করে আবার সবকিছু শুরু করা। ব্লগটা চালিয়ে যাব কি না, কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও আবার লিখতে ইচ্ছে করল, তাই লিখে ফেললাম। গ্রাজুয়েশনের পড়াশুনার তৃতীয় বছরের প্রথম টার্মে কোর্সের সংখ্যাও বেশী, বিষয়বস্তু হিসেবে কঠিন; কাজেই বিপদসংকেত এর লেভেল বেড়ে গেছে!
মঙ্গলবার, মার্চ ১৫, ২০০৫
ছুটি
এখন বসন্তের ছুটি চলছে, বসন্ত বললেও এখনও শীত শেষ হয়নি; আর ছুটিটাকে বসন্তের ছুটি না বলে শিক্ষাবর্ষ সমাপ্তিজনিত অলস ছুটি বলা ভাল। এরকম ছুটি আমার কাছে বিরক্তিকর লাগে, তবে লম্বা ছুটির জীবন শেষ হচ্ছে, আগামী বছরে এই ছুটিটা নাও পেতে পারি।
শুধু বসন্তের ছুটিই নয়, আমার ভার্সিটিতে গরমের ছুটিও দীর্ঘ, প্রায় ২ মাস এবং কবে শুরু, কবে শেষ সবকিছুই পূর্বনির্ধারিত; এবং দুটো সিমেস্টারের মাঝখানে; (ফলে একটা গা-ছাড়া ভাব নিয়ে দেশে চলে যাই, ২ মাস বাড়ির রান্না খেয়ে ২/৩ কিলো ওজন বাড়িয়ে আরও গা-ছাড়া এবং অলস ভাব নিয়ে ফিরে আসি)
তবে এইবারের ছুটিটা খুব একটা বোরিং লাগছে না, শরীরও খুব একটা ভাল না, কাজেই ছুটিটা হয়তবা উল্টো ভালোর জন্যে; কে জানে?
শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০০৫
মাৎস্যন্যায়
আমাদের দেশে বেঁচে থাকাটা কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠছে, কল্পনা করতে পারছি। একজন ন্যায়নিষ্ঠ রাজনীতিবিদ কে মেরে ফেলা হলো, সরকারের প্রতিক্রিয়া কিংবা মিডিয়ার কাছে আমাদের মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে হাসবো না কাঁদবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে সবসময় একজন কৌতুকাভিনেতা কে রাখা হয় পাবলিক কে মজা দেওয়ার জন্যে; আগে এক ভদ্রলোক ছিলেন, আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে গেছে জাতীয় কথাবার্তা বলতেন। এখনকার ভদ্রলোক আরো জটিল।
মাত্স্যন্যায় বলে একটা বাংলা শব্দ আছে, অর্থ ঠিকমত বুঝতে পারিনি, যখন শব্দটা শিখেছিলাম; এখন বুঝতে পারছি। শুধু আমাদের দেশে নয়, প্রায় পুরো পৃথিবীতে এখন মাত্স্যন্যায় এর মত অবস্থা চলছে। কিন্তু আমাদের দেশে অবস্থা বোধহয় বেশী ভয়াবহ! পচনটা যে মাথায়; আর সমস্যাটা এত জটিল যে সমাধানের কোন অ্যালগরিদম কারও জানা নেই বোধহয়। ঈশ্বর নিশ্চয় কোন দেবদূত পাঠিয়ে দেবেন না বোমাবাজ দের ধরার জন্যে কিংবা আমাদের দাতা-প্রভূরাও এমন কিছু ম্যাজিক শিখিয়ে দেবেন না; তাহলে?
আমার ধারণা ছিল, যে কোন বিষয়েরই একটা সম্পৃক্ত অবস্থা থাকে, কোন পরিবর্তনই, ভাল হোক আর খারাপ; সেটা এ অবস্থাকে অতিক্রম করতে পারেনা; আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সম্পৃক্ত রেখাটা কি আরও দূরে?
শুক্রবার, জানুয়ারী ১৪, ২০০৫
চড়ুইভাতি
ফাহমিদা ম্যাডাম,ফয়সাল দুজনের জন্যেই বেশ খারাপ লাগছিল,আনিসুল হকের গল্পের সাথে খুবই মানানসই চরিত্র হলেও কেমন যেন অন্যরকম!
ধন্যবাদ `চড়ুইভাতি` নির্মাণের সাথে জড়িত সবাইকে।
রবিবার, জানুয়ারী ০৯, ২০০৫
বেঁচে থাকার অর্থ
(時々楽しいことがあるから、生き延びてほしい。>>橋田信介)
ইরাকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জাপানী সাংবাদিক হাশিদা শিনসুকের ডায়রি থেকে। সারাজীবন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে রিপোর্টিং করে যাওয়া এই সাংবাদিকের জীবনের শেষ মিনিটও কাটে যুদ্ধক্ষেত্রে ।